৩১ ডিসেম্বর, ২০২১ ০৬:০৪ পিএম

ফিরে দেখা ২০২১: অরক্ষিত কর্মস্থল, নিরাপত্তাহীনতায় চিকিৎসক

ফিরে দেখা ২০২১: অরক্ষিত কর্মস্থল, নিরাপত্তাহীনতায় চিকিৎসক
ডানে ডা. নিয়াজ মোর্শেদ, মাঝখানে নারী চিকিৎসক সানজিদা আজাদের সরকারি বাসা ও বামে ডা. সুব্রত সাহা।

মো. মনির উদ্দিন: বিদায় হয়ে গেলো আরও একটি ইংরেজি বর্ষ ২০২১। নিয়োগসহ স্বাস্থ্যখাতে নানা সাফল্য থাকলেও করোনায় বিপর্যস্ত বছরটিতেও নিয়মিত বিরতিতে ঘটেছে চিকিৎসকদের ওপর হামলার ঘটনা।

এসব হামলায় অরক্ষিত কর্মস্থল, অনিরাপদ তাঁদের জীবন। তবু থেমে ছিল না অদৃশ্য শত্রু করোনার বিরুদ্ধে লড়াইসহ নিয়মিত স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রম।

পরিসংখ্যান বলছে, প্রতিবছর ৩০ থেকে ৪০ জন চিকিৎসক বিভিন্নভাবে লাঞ্ছনার শিকার হন। প্রায় প্রতি বছরই ঘটছে নিহতের ঘটনাও।

দেশের নিবেদিতপ্রাণ এসব চিকিৎসকের উপর হামলার দৃষ্টান্তমূলক কোনো শাস্তি না হওয়ায় ক্রমাগত বেপরোয়া হয়ে উঠছে হামলাকারীরা। অন্যদিকে জীবনের নিরাপত্তা ও পেশায় টিকা থাকা নিয়ে উদ্বিগ্ন স্বাস্থ্যখাতের প্রাণভোমরা চিকিৎসকরা। 

ঘটনা বিশ্লেষণে জানা গেছে, ঠুনকো কারণেই শারীরিক ও মানসিকভাবে লাঞ্ছিত হতে হয় জাতির এ মেধাবী সন্তানদের। দুঃখজনক হলো, নিগ্রহের এসব ঘটনার পেছনে স্বাস্থ্য দুর্যোগের এসব সম্মুখযোদ্ধার দূরতম সম্পৃক্ততাও নেই। এসব খবর পত্রিকার শিরোনাম হলেও হামলা বন্ধে নেই কোনো দৃশ্যমান উদ্যোগ।

চিকিৎসাধীন রোগী মৃত্যুসহ তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে গেল বছর এক জডনের বেশি চিকিৎসক নিগ্রহের ঘটনা ঘটেছে। নিচে বছরের আলোচিত কয়েকটি চিকিৎসক নিগ্রহের ঘটনা তুলে ধরা হলো।

ডা. সুব্রত সাহার ওপর পৈশাচিক হামলা

গত বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর সন্ত্রাসীদের হামলার শিকার হন গোপালগঞ্জের কাশিয়ানি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. সুব্রত সাহা

সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজের (সিওমেক) ৪৬তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ডা. সুব্রত সাহাকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে সন্ত্রাসীরা। গত ৩০ সেপ্টেম্বর বিকেলে স্থানীয় সন্ত্রাসীরা তাঁর ওপর হামলা চালায়। 

নিজ চেম্বার থেকে হাসপাতালে ফেরার পথে আনুমানিক সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায় দিকে মাইক্রোবাস যোগে কতিপয় সন্ত্রাসী অতর্কিতে ধারালো অস্ত্র দিয়ে ডা. সুব্রত সাহার ওপর হামলা চালায়। পৈশাচিক এ হামলায় তাঁর শরীরের বিভিন্ন স্থানে মারাত্মক জখম হয়। তাঁকে মৃতপ্রায় অবস্থায় রাস্তায় ফেলে যায় দুর্বৃত্তরা।

পরে স্থানীয়রা রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে দ্রুত কাশিয়ানি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন। এ সময় প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে দ্রুত তাঁকে খুলনা মেডিকেল কলেজে প্রেরণ করা হয় এবং সেখানে জরুরি অস্ত্রোপচারের পর উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানে স্থানান্তর করা হয়। এর পর লালমাটিয়া আল-মানার হাসপাতালে চিকিৎসা নেন সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজের (সিওমেক) ৪৬তম ব্যাচের এ শিক্ষার্থী।

স্থানীয় ডায়াগোনস্টিক সেন্টারের দালালদের সঙ্গে ডা. সুব্রত সাহার বিরোধের জেরেই তাঁর ওপর হামলা হয় বলে অভিযোগ ওঠে।

৩৯তম বিসিএসে স্বাস্থ্য ক্যাডার হিসেবে সরকারি চাকরিতে যোগ দেওয়া ডা. সুব্রতর বাড়ি গোপালগঞ্জ জেলায়। নিজ জেলার কাসিয়ানি উপজেলায় কর্মরত আছেন তিনি।

মাইন্ড এইড হাসপাতালের পরিচালক ডা. নিয়াজের মৃত্যু

গেল বছর স্বাস্থ্য খাতে আলোচিত ঘটনার মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল রাজধানীর আদাবরে জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) আনিসুল করিম শিপন হত্যা মামলার আসামি ‘মাইন্ড এইড’ হাসপাতালের পরিচালক ডা. নিয়াজ মোর্শেদের মৃত্যুর ঘটনা। তাঁর মৃত্যুর পেছনে নির্যাতনের অভিযোগ তুলেন চিকিৎসকরা।

শিপন হত্যা মামলার আসামি ‘মাইন্ড এইড’ হাসপাতালের পরিচালক ডা. নিয়াজ মোর্শেদ গত ৫ নভেম্বর রাত ১০টার দিকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে (কেরানীগঞ্জ) অসুস্থ হয়ে পড়েন। এরপর কারারক্ষীরা তাঁকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (পরিদর্শক) ইন্সপেক্টর বাচ্চু মিয়া মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, পুলিশ কর্মকর্তা হত্যা মামলায় নিয়াজ মোর্শেদ হাজতি হিসাবে কারাগারে ছিলেন। তবে তিনি প্যারালাইসিস রোগী ছিলেন, অসুস্থ অবস্থায় তাকে হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করে।

২০২০ সালের ৯ নভেম্বর আদাবরের মাইন্ড এইড হাসপাতালে সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) আনিসুল করিম শিপনকে চিকিৎসা করাতে আনা হয়। বেলা ১১টার দিকে তাকে একটি কক্ষে রেখে নির্যাতন করে মারার অভিযোগ আসে।

এ ঘটনায় শিপনের বাবা বাদী হয়ে ১৫ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। মামলার ৯ নম্বর আসামি ছিলেন ডা. নিয়াজ মোর্শেদ। সেই মামলায় কেন্দ্রীয় কারাগারে ছিলেন তিনি।

হত্যাকাণ্ডে সম্পৃক্ততার অভিযোগে গত বছরের ১০ নভেম্বর রাজধানীর ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস হাসপাতাল থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। অসুস্থতার কারণে পরে আবারও ডা. নিয়াজকে একই হাসপাতালে কিছু দিন ভর্তি রাখা হয়। এর পর থেকেই কেরানীগঞ্জ কারাগারে ছিলেন তিনি।

মহেশপুরে ইউএইচএফপিও’র ওপর হামলা

নির্দিষ্ট সময়ের পর হাসপাতালের বহির্বিভাগ বন্ধ থাকার কারণে জরুরি বিভাগে চিকিৎসা নিতে বলায় নিগ্রহের শিকার হন ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (ইউএইচএফপিও) ডা. জমির মো. হাসিবুস সাত্তার। এ ঘটনায় গত ৭ নভেম্বর বিকালে দুই জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন তিনি। 

জানা গেছে, জ্বরে আক্রান্ত হয়ে ৭ নভেম্বর রোববার বিকাল ৩টার দিকে মহেশপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসেন হারুন নামে এক ব্যক্তি। এ সময় চিকিৎসা নিতে ডা. জমির মো. হাসিবুস সাত্তারের কাছে যান তিনি। বহির্বিভাগ বন্ধ থাকায় তাকে জরুরি বিভাগে চিকিৎসা নিতে বলেন এই স্বাস্থ্য প্রশাসক।

এতে ক্ষুব্ধ হয়ে তাঁর ওপর চড়াও হন হারুন এবং তার সাথে থাকা নয়ন নামে এক যুবক। তারা ডা. হাসিবকে এলোপাথাড়ি কিল-ঘুষি ও থাপ্পড় মারতে থাকেন। পরে আশপাশের স্বাস্থ্যকর্মী এসে তাঁকে উদ্ধার করেন।

প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে থানায় গিয়ে অভিযোগ দায়ের করেন ডা. জমির হাসিবুস সাত্তার। 

হামলাকারী হারুন মহেশপুর উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক বলে জানা গেছে।

নারী চিকিৎসকের সরকারি বাসায় ডাকাতি

পিরোজপুর জেলা হাসপাতালের চিকিৎসকদের সরকারি বাসভবনের একটি ফ্ল্যাটে জানালার গ্রিল কেটে ঢুকে ডা. সানজিদা আজাদ শিখাকে পিটিয়ে আহত ও ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। 

গত ১১ আগস্ট ডাকাতরা ওই চিকিৎসকের বাসার আলমারি খুলে নগদ ৫২ হাজার টাকা, একটি ল্যাপটপ ও দুটি মোবাইল ফোন নিয়ে যায়।

সিভিল সার্জন অফিসের মেডিকেল অফিসার ডা. মো. মারুফ মুনসুর একই দিন মেডিভয়েসকে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘চিকিৎসকদের সরকারি কোয়ার্টারের একটি ভবনের নিচতলায় থাকতেন ডা. সানজিদা আজাদ। ১১ আগস্ট (বুধবার) ভোর রাতে একটি সংঘবদ্ধ ডাকাত দল তাঁর বাসার জানালার গ্রিল কেটে ভেতরে প্রবেশ করে। এ সময় তারা তাঁর টাকা-পয়সা, মোবাইল, ল্যাপটপ নিয়ে যায় ও হাতুরি দিয়ে তাঁকে বেধড়ক মারধর ও মাথায় আঘাত করে।’

পিরোজপুর সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আ. জা. মো. মাসুদুজ্জামান গণমাধ্যমকে বলেন, ডাকাতরা আলমারি খুলে নগদ ৫২ হাজার টাকা, একটি ল্যাপটপ ও দুটি মোবাইল ফোন নিয়ে গেছে।

সৈয়দ নজরুল মেডিকেলে চিকিৎসকের ওপর হামলা

চিকিৎসাধীন রোগীর মৃত্যুর ঘটনায় কিশোরগঞ্জের শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ইন্টার্ন চিকিৎসক ও মেডিকেল অফিসারের উপর হামলা করে স্বজনরা। গত ১০ নভেম্বর দিবাগত রাত আনুমানিক ৪টার দিকে স্বাস্থ্যকর্মীদের ওপর হামলার পাশাপাশি হাসপাতালেও ভাঙচুর চালায় তারা।   

হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, হেপাটোসেলুলার কারসিনোমায় (লিভার ক্যান্সার) আক্রান্ত হয়ে দীর্ঘদিন হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগে ভর্তি ছিলেন একজন রোগী।

অবস্থার অবনতি হওয়ায় অপেক্ষাকৃত উন্নত চিকিৎসার জন্য রেফার্ড করা হলে স্বজনরা তাঁকে নিয়ে যেতে অসম্মতি প্রকাশ করেন। তারা যে কোনো পরিণতির দায় নিয়ে রোগীকে সৈয়দ নজরুলেই রেখে দেওয়ার বিষয়ে বন্ড সই করেন।

ওই রাতে আনুমানিক চারটার দিকে রোগী মারা গেলে রোগীর স্বজনরা কর্মরত মেডিকেল অফিসার ও ইন্টার্ন ডাক্তারের উপর অতর্কিতে হামলা চালায়। এতে কর্তব্যরত ইন্টার্ন চিকিৎসক ও মেডিকেল অফিসার গুরুতর আহত হন।

এ সময় ইন্টার্ন চিকিৎসকের কক্ষ ভাঙচুর এবং অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকেন তারা।

রক্ষাকবচ কেবল সুরক্ষা আইন

এমতাবস্থায় নিরাপদ কর্মস্থল নিশ্চিতের লক্ষ্যে চিকিৎসক সুরক্ষা আইন দ্রুততম সময়ে বাস্তবায়নের দাবি জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। চিকিৎসা পেশার প্রতি আগ্রহ অটুট রাখতে প্রতিটি ঘটনার উপযুক্ত শাস্তি নিশ্চিতেরও দাবি জানান তারা।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. নজমুল হক মেডিভয়েসকে বলেন, ‘আইন হাতে তুলে নেওয়ার দায়িত্ব বা অধিকার কারও নেই। যে যেখানে যে অপরাধ করুন সেটি আইনের দৃষ্টিতে দেখতে হবে। চিকিৎসক হোক অথবা একজন রিক্সা চালক হোক, যেই হোক না কেন কাউকে তো আমি ফিজিক্যালি অ্যাসাউল্ট করতে পারি না। সে ক্ষমতা আমার নেই।’

তিনি আরও বলেন, ‘থাইল্যন্ড, মালয়েশিয়া ও সিংগাপুরসহ উন্নত দেশগুলোতে চিকিৎসক নিগ্রহের ঘটনা শোনা যায় না। কারণ সেখানে কেউ আইন হাতে তুলে নিলে তার একটা সঠিক বিচার হয়ে যাচ্ছে। ফলে মানুষ আইন হাতে তুলে নিতে ভয় পান। যখনই কেউ আইন নিজের হাতে তুলে নিবে, তখনই যদি তাকে আইনের আওতায় নিয়ে আসা যায়, তাহলে চিকিৎসক নিগ্রহ কমে যাবে।’

বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিলের (বিএমডিসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ সহিদুল্লাহ মেডিভয়েসকে বলেন, ‘যিনি চিকিৎসা দিবেন, তিনি যদি ভয়ের মধ্যে থাকেন—তাহলে তার মাথায় কাজ করবে না। অনেক সময় চিকিৎসক হামলার শিকার হচ্ছেন, অনেক সময় তিনি যে প্রতিষ্ঠানে চিকিৎসা দিচ্ছেন অর্থাৎ হাসপাতাল বা ক্লিনিকে হামলা ও ভাঙচুর করা হচ্ছে। যেটা খুবই অনভিপ্রেত।’

তিনি আরও বলেন, ‘অনেক সময় রোগীও বলতে পারেন, তিনি সঠিক চিকিৎসা পাচ্ছেন না। সুতরাং রোগী এবং চিকিৎসক সবারই নিরাপত্তা দরকার। সে জন্য সরকার চিকিৎসক এবং রোগী সুরক্ষা আইনের বলিষ্ঠ একটা পদক্ষেপ নিয়েছে, যা প্রায় শেষ পর্যায়ে। আইনটা হয়ে গেলে আমরা এসব অনাকাঙ্খিত ঘটনা থেকে মুক্তি পাবো।’

তবে সমস্যা সমাধানে স্থানীয় প্রশাসন, জনপ্রতিনিধিসহ সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ের আন্তরিক সহযোগিতা প্রয়োজন বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা। 

মেডিভয়েসের জনপ্রিয় ভিডিও কন্টেন্টগুলো দেখতে সাবস্ক্রাইব করুন MedivoiceBD ইউটিউব চ্যানেল। আপনার মতামত/লেখা পাঠান [email protected] এ।
  ঘটনা প্রবাহ : চিকিৎসক নিগ্রহ
  এই বিভাগের সর্বাধিক পঠিত
এক দিনে চিরবিদায় পাঁচ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক
করোনা ও বার্ধক্যজনিত অসুস্থতা

এক দিনে চিরবিদায় পাঁচ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক