৩১ মে, ২০২২ ১১:৫০ এএম

অবৈধ হাসপাতাল-ক্লিনিক বন্ধ: সুফল ধরে রাখতে জরুরি অব্যাহত অভিযান

অবৈধ হাসপাতাল-ক্লিনিক বন্ধ: সুফল ধরে রাখতে জরুরি অব্যাহত অভিযান
মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ-কিট পাওয়ায় এ্যাকটিভ ব্লাড ব্যাংক, ট্রান্সফিউশন এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে ৫০ হাজার এবং মেডিপাথ ডায়াগনোস্টিক সেন্টারকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা। ছবি: এবি রিমন

মো. মনির উদ্দিন: কাঙিক্ষত ফল পেতে অনিবন্ধিত হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধের অভিযান অব্যাহত রাখার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। তারা বলেছেন, অপচিকিৎসা বন্ধের এই অভিযান চালিয়ে যেতে প্রয়োজনে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্ট বিভাগে জনবল বাড়াতে হবে। কারণ এ অভিযান থেমে গেলে বন্ধ হওয়া ক্লিনিকগুলো স্বাস্থ্যসেবার নামে আগের মতোই আবারও প্রতারণায় নামবে। এতে মারাত্মক ঝুঁকিতে পড়বে মানুষের জীবন। এ ক্ষেত্রে নিবন্ধন প্রক্রিয়া সহজতর করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন তাঁরা।

এ অভিযানকে স্বাগত জানিয়েছে বাংলাদেশ বেসরকারি হাসপাতাল মালিক সমিতি। দেশের চিকিৎসার ৭০ ভাগই বেসরকারি পর্যায়ের জানিয়ে তারা বলেছে, বৃহত্তর স্বাস্থ্যসেবার অংশ বিবেচনায় ছোট-খাটো শূন্যতার জন্য প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ না করে যেন সতর্ক ও সংশোধনের সুযোগ দেওয়া হয়।

এদিকে চিকিৎসাক্ষেত্রে শৃঙ্খলা ফেরানোর লক্ষ্যে অনিবন্ধিত স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠান বন্ধের এ অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

কাঙিক্ষত ফল পেতে চাই দীর্ঘস্থায়ী পদক্ষেপ

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) সাবেক ভিসি অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান খান মেডিভয়েসকে বলেন, ‘চিকিৎসার বেলায় অব্যবস্থাপনা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। রোগীরা ক্লিনিকে ভুল চিকিৎসা পাবে কিংবা যথাযথ চিকিৎসা পাবে না, এটা হতে পারে না। যেসব অবৈধ ক্লিনিক আছে, তাদের যে মান থাকা উচিত, তা নেই। সেখানে কোনো চিকিৎসক নেই, কোনো ধরনের মান নিয়ন্ত্রণ করা হয় না। ল্যাবে যেসব যন্ত্রপাতি আছে, সেগুলোও মানহীন। রোগীরা প্রতারিত হবেন বা সঠিক চিকিৎসা পাবেন না, এ রকম ক্লিনিক বা হাসপাতাল দরকার নেই। এসব বন্ধে সরকার ব্যবস্থা নিয়েছে। ৭২ ঘণ্টার একটি অভিযান পরিচালিত হয়েছে। এটা ভালো। তবে কাঙিক্ষত ফল পেতে দীর্ঘস্থায়ী পদক্ষেপ দরকার। এটা যেন থেমে না যায়। এজন্য সার্বক্ষণিকভাবে পর্যবেক্ষণ করতে হবে। এর ধারাবাহিকতা রক্ষা করতে হবে। ভুল ও অপচিকিৎসা বন্ধের এই অভিযান চালিয়ে যেতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের যদি জনবলের সংকট থাকে, তাহলে জনবল বাড়িয়ে তা নিয়মিত করতে হবে, এটা আমাদের প্রত্যাশা। এগুলো যদি আবার খুলে যায়, তাহলে তারা শুধু অর্থ উপার্জনে লিপ্ত হবে। এটা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য না।’

নিবন্ধন প্রক্রিয়া সহজতর করার পরামর্শ 

তবে রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া সহজ করার পরামর্শ দিয়ে অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান খান বলেন, রেজিস্ট্রেশনে দীর্ঘসূত্রতাসহ নানা জটিলতা আছে। এ জন্য অনেকগুলো জায়গায় যেতে হয়, এটা ঠিকই আছে; তবে এগুলো একটি সহজ পদ্ধতির আওতায় নিয়ে আসতে হবে। হয়রানি বন্ধ করতে হবে, যাতে ক্লিনিক মালিকরা নিবন্ধনে নিরুৎসাহিত না হয়।

ইতিবাচক অভিযান

এই অভিযানকে ইতিবাচক উল্লেখ করে রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজের মেডিসিন বিভাগের সাবেক প্রধান অধ্যাপক ডা. মো. রিদওয়ানুর রহমান মেডিভয়েসকে বলেছেন, একটি হাসপাতাল মানুষের জীবন ও স্বাস্থ্য নিয়ে কাজ করে। এই প্রতিষ্ঠান যদি অনিবন্ধিত হয় এবং নিয়ম-নীতির মধ্যে না চলে, তাহলে এখানে অনেক ক্ষতিকারক কর্মকাণ্ড হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে, ক্ষতিকারক ফলাফলের আশঙ্কা রয়েছে। আগে যা ছিল, তা নিয়ে কথা নেই। এখন সরকার যে উদ্যোগ নিয়েছে, এটা অত্যন্ত ভালো উদ্যোগ। সুফল ধরে রাখতে চাইলে এটা বারবার করতে হবে। কারণ আজকে যেগুলো বন্ধ হয়ে যাচ্ছে, সেগুলো আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই আবারও চালু হয়ে যাবে। ওরা যেন অনিয়মের সঙ্গে আসতে না পারে, সেজন্য এই পদক্ষেপ অব্যাহত রাখতে হবে। নিবন্ধনহীন কোনো ক্লিনিক, স্বাস্থ্য পরিচর্যা কেন্দ্র যেন না থাকে; সেই পদক্ষেপ অবশ্যই দরকার আছে। আর তা রোগীদের নিরাপত্তার জন্য, মানুষের স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্যই।

শর্ষের ভেতর ভূত

অনেক ক্লিনিকে ব্যাপক শূন্যতা আছে উল্লেখ করে অধ্যাপক ডা. মো. রিদওয়ানুর রহমান বলেন, ‘দেখে-শুনে এসব ক্লিনিককে রিনিউ করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা সই করে এসেছেন। অথচ ওই ক্লিনিকে শূন্যতা আছে। এর সমাধান কী? এটা রাতারাতি সমাধান হবে না, আস্তে আস্তেই হবে। যারা মনিটরিং করতে যাচ্ছেন, তাদেরকে ধরতে হবে যে, তুমি কেন অনুমতি দিয়েছো? তুমি ছয় মাস আগে বলেছো, ঠিক আছে। এখন আমরা গিয়ে দেখলাম, কিছুই ঠিক নেই।’

এই কার্যক্রমকে একটি সুনির্দিষ্ট পদ্ধতির মধ্যে নিয়ে আসার পরামর্শ দিয়ে প্রখ্যাত এ মেডিসিন বিশেষজ্ঞ বলেন, ‘আমরা সহসা কোনো অ্যাকশন নিয়ে মানুষকে দেখাই। ধারাবাহিকতা ধরে রাখি না।’

দুর্নীতিগ্রস্তদের বাঁচার রাস্তা বন্ধ হোক

অভিযানে সরকার নির্ধারিত কর্মঘণ্টার মধ্যে কোনো কোনো কনসালটেন্টকে বেসরকারি ক্লিনিকে প্রাইভেট প্রাকটিস করতে দেখা গেছে। বিষয়টি কিভাবে দেখেন? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘তাদের ব্যাপারে অত্যন্ত কঠিন ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। একজন সরকারি ডাক্তার অফিস চলাকালীন বাইরে প্র্যাকটিস করবেন, চিকিৎসা দেবেন; এটা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য না। সরকারের নজরে এলে এর জন্য কঠিন শাস্তির দরকার আছে, যাতে ভবিষ্যতে এর পুনরাবৃত্তি না ঘটে। এসব চিরতরে বন্ধ করার স্বার্থেই ওদেরকে আইনের আওতায় নিয়ে আসতে হবে। এসব অপরাধের জন্য কোনো শাস্তি হয় না বলেই এই কর্মকাণ্ড চলমান আছে। অভিযান বন্ধ হয়ে গেলেই তদবির কিংবা কোনো না কোনোভাবে তারা আবার আগের মতো চলতে চাইবে। ওরা ধরেই নেয়, এটা কেটে উঠা সম্ভব। একটু কৌশলের আশ্রয় নিলেই হলো। সুতরাং পার পেয়ে যাওয়ার কোনো পথ যেন খোলা না থাকে, সেটা নিশ্চিত করতে হবে।’

‘নীতি-নৈতিকতার দিক থেকে এটা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। কিন্তু কথা হলো, বাংলাদেশে যারা চিকিৎসক হয়েছেন, তারা তো আর ফেরেশতাদের ভেতর থেকে আসেননি। এই দেশেই জন্মগ্রহণ করেছেন। এই দেশেই বেড়ে উঠেছেন। দেশে সব সেক্টরে ৮০-৯০ ভাগ যদি খারাপ হয়, তাহলে চিকিৎসকদের মধ্যে ৮০-৯০ ভাগ খারাপ না হলেও বিশ ভাগ তো হবে। সমস্যা হলো, ২০ ভাগ একটু বেশ-কম করছে, তাতে ৮০ ভাগ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। তাদের নৈতিকতাবিবর্জিত কার্যকলাপের কারণে ৮০ ভাগের ওপর আস্থা হারাচ্ছে মানুষ। কোনো দুর্বলতার কারণে ওরা পার পেয়ে যাচ্ছে। সেই পদ্ধতি বিদ্যমান আছে। এইগুলো আমাদেরকে চিহ্নিত করতে হবে। নিয়ম লঙ্ঘিত হলে এটা শক্ত হাতে দমন করতে হবে, যাতে আরেকজন এটা করার সাহস না পায়। দুর্ভাগ্যজনক হলো, আমরা এই কাজটা করতে পারছি না। যদি দুইজনকে শাস্তি দিই, দুইজনকে ছেড়ে দিই, তাহলে তো এটা দ্বৈতনীতি হয়ে গেলো। যারা অনিয়মের পথে হাঁটছে, তারা যে কোনো উপায়ে রক্ষা পেয়ে যাবে, এটা নিশ্চিত হয়েই অনৈতিকতায় জড়াচ্ছে। সুতরাং পার পেয়ে যাওয়ার রাস্তাটা বন্ধ করতে হবে। এটা নিশ্চিত না করে এসব গালগল্পে কোনো ফল আসবে না’, যোগ করেন অধ্যাপক রিদওয়ানুর রহমান।

স্বাস্থ্য সেবার ৭০ ভাগই বেসরকারি খাতের

বাংলাদেশ বেসরকারি হাসপাতাল মালিক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ডা. মনিরুজ্জামান মেডিভয়েসকে বলেন, ‘বেসরকারিভাবে স্বাস্থ্যসেবার কল্যাণে দেশের মানুষ সেবা পাচ্ছেন। দেশে মোট স্বাস্থ্যসেবার ৭০ ভাগই বেসরকারি খাতের। যার সুবাদে আমরা এমডিজি লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে পেরেছি। ডেঙ্গু, করোনা মোকাবিলা করতে পেরেছি। কাজেই আমাদের অবদান কোনোভাবেই ছোট করে দেখার নয়। দেশের স্বাস্থ্যখাতের যে উন্নতি ঘটেছে, তার বড় অংশীদার হলো বেসরকারি খাত। এটা আমার কথা নয়, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কথা।’

বেসরকারি খাতে স্বাস্থ্যসেবার অগ্রগতির কথা তুলে তিনি বলেন, ‘১০-১৫ বছর আগে ভাবাও যায়নি যে, দেশে কিডনি রোগের চিকিৎসা হবে। সেখানে অভাবনীয় সাফল্য এসেছে। দেশে এখন বিশ্বমানের কিডনি চিকিৎসা হচ্ছে। আমাদের আন্তর্জাতিক মানের ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোতে পার্শ্ববর্তী দেশের লোকজনও এখন চিকিৎসা নিচ্ছেন। এসবই প্রমাণ করে, বাংলাদেশে চিকিৎসা সেবার অভূতপূর্ব উন্নতি সাধিত হয়েছে। এর পেছনে রয়েছে বেসরকারি খাতের ব্যাপক ভূমিকা।’

অভিযানকে মালিক সমিতির স্বাগত

নিবন্ধনহীন স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠান বন্ধের এ অভিযানকে স্বাগত জানিয়ে অধ্যাপক মনিরুজ্জামান বলেন, ‘কাজ করলে ভুল হয়। সুতরাং সে হিসাবে আমাদের কাজেও কিছু ভুল থাকতে পারে। কিছু প্রতিষ্ঠান থাকতে পারে, যারা অননুমোদিত। তাদের কেউ কেউ নিবন্ধনের জন্য আবেদনই করেননি। তারা অপরিষ্কার-অপরিচ্ছন্ন পরিবেশে ক্লিনিক চালিয়েছেন। এসব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে পরিচালিত অভিযানে আমাদের কোনো আপত্তি নেই। এ রকম অভিযানকে আমরা অভিনন্দন জানাই।’

‘কিন্তু এ অভিযান পরিচালনা করতে গিয়ে যেন স্বাস্থ্যসেবার সমস্যা না হয়, সে দিকে খেয়াল করা দরকার। বিশেষ করে অনেকে আবেদন করেছেন, কিন্তু এটি প্রক্রিয়াধীন আছে, এখনও তাদের কাছে কাগজ-পত্র আসেনি। এ অবস্থায় যেন তাদের কাজটি থামিয়ে দেওয়া না হয়। অথবা একটি প্রতিষ্ঠান পুরোপুরি মানসম্মত, হয় তো ছোট-খাটো শূন্যতা আছে, বৃহৎ স্বাস্থ্যসেবার অংশ বিবেচনায় তাদেরকে যেন বন্ধ করে দেওয়া না হয়। তাদের যেন সতর্ক করা হয়, সংশোধনের সুযোগ দেওয়া হয়’, যোগ করেন এ পেশাজীবী নেতা।

অভিযান অব্যাহত থাকবে

নিয়মিত কার্যক্রমের অংশ হিসেবে অবৈধ হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগোনস্টিক সেন্টার বন্ধের অভিযান অব্যাহত থাকবে জানিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (ক্লিনিক ও হাসপাতালসমূহ) ডা. মো. বেলাল হোসেন মেডিভয়েসকে বলেন, ‘আমাদের সর্বাত্মক অভিযানটি রোববার (২৯ মে) শেষ হয়েছে। এখন রুটিন কাজের মধ্যে এগুলো চলমান থাকবে। তবে ৭২ ঘণ্টার মতো অতটা জোরালোভাবে নয়। সিভিলসার্জনগণ সংশ্লিষ্ট জেলায়, ইউএইচএন্ডএফপিওগণ উপজেলায় অনিবন্ধিত প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অভিযান চালাবে।’

জরিমানা দেওয়া ক্লিনিক কর্তৃপক্ষের অভিযোগ, অপেক্ষাকৃত দুর্বল হওয়ায় তাদের জরিমানা করা হয়েছে। অথচ অনেক অনিয়ম থাকার পরও ক্ষমতাধরদের পরিচালিত প্রতিষ্ঠানকে ধরা হচ্ছে না।

জানতে চাইলে এমন অভিযোগের বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক বলেন, ‘আমাদের কাছে এমন কোনো অভিযোগ আসেনি, এলে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে। আমরা অনিবন্ধিত হাসপতাল, ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোতে অভিযান চালিয়েছি, তাদের কার্যক্রম বন্ধ করেছি। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ যেভাবে নির্দেশনা দেবে, তা বাস্তবায়নে আমরা সেভাবে কার্যক্রম পরিচালনা করবো।’

এবারের অভিযান এতো গতিশীল হওয়ার রহস্য জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘কোভিডের কারণে দীর্ঘ দুই বছর আমরা সমস্যাগ্রস্ত ছিলাম। কোভিড পরিস্থিতি মোকাবিলায় গণমাধ্যমসহ সবাই যথেষ্ট সহযোগিতা করেছেন। সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আমরা কোভিড নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম হয়েছি। দীর্ঘ দুই বছর আমরা হাসপাতাল-ক্লিনিকগুলো সেভাবে নজরদারিতে রাখতে পারিনি। অনেক সময় এ কার্যক্রম ব্যাহত হয়েছে। এ সময়ে হাসপাতালগুলোতে সাধারণ রোগীদের সংখ্যা কম ছিল। ফলে কোভিড রোগীদের নিয়েই আমরা ব্যস্ত ছিলাম। সে কারণে এ দিকে (হাসপাতাল-ক্লিনিকের অনিয়ম) নজর কম ছিল।’

প্রসঙ্গত, সারাদেশে অনিবন্ধিত বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধে গত শনিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অভিযান শুরু হয়। অভিযানে এ পর্যন্ত ১ হাজার ১৪৯ নিবন্ধনহীন বেসরকারি স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠান বন্ধ করা হয়েছে। এর মধ্যে ঢাকায় ২৮৬টি, চট্টগ্রামে ১৯০, রাজশাহীতে ১৩৫, রংপুরে ১৪, ময়মনসিংহে ১২১, বরিশালে ৬৫ ও সিলেট বিভাগে ৩৫টি চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। 

 

মেডিভয়েসের জনপ্রিয় ভিডিও কন্টেন্টগুলো দেখতে সাবস্ক্রাইব করুন MedivoiceBD ইউটিউব চ্যানেল। আপনার মতামত/লেখা পাঠান [email protected] এ।
  ঘটনা প্রবাহ : অনিবন্ধিত হাসপাতাল বন্ধে অভিযান
  এই বিভাগের সর্বাধিক পঠিত
এক দিনে চিরবিদায় পাঁচ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক
করোনা ও বার্ধক্যজনিত অসুস্থতা

এক দিনে চিরবিদায় পাঁচ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক