আপাতত অক্সিজেন সরবরাহ বন্ধ
মেডিভয়েস রিপোর্ট: ভারতে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় চিকিৎসা ব্যবস্থায় যোগান বাড়াতে সতর্কতামূলক পদক্ষেপ হিসেবে শিল্প কারখানার আপাতত অক্সিজেন সরবরাহ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৭ এপ্রিল) বিস্ফোরক পরিদপ্তর থেকে অক্সিজেন প্রস্তুতকারক প্রতিষ্টানগুলোকে এই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধান বিস্ফোরক পরিদর্শক আবুল কালাম আজাদ।
তিনি বলেন, ‘করোনা আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসায় অক্সিজেন সরবরাহ নির্বিঘ্ন করতে আমরা আপাতত এই নির্দেশনা দিয়ে রেখেছি। প্রয়োজন হলে নির্দেশনা পরিপালন করা হচ্ছে কিনা সে বিষয়ে মাঠে তদারকিতে নামব।’
বাংলাদেশে চলতি এপ্রিল মাসের শুরুতে সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার পর অক্সিজেনের চাহিদা বাড়লেও তা সঙ্কটের পর্যায়ে যায়নি। তবে ভারতে সঙ্কট দেখা দেওয়ায় সেখান থেকে বাংলাদেশে অক্সিজেন রপ্তানি ইতোমধ্যেই বন্ধ করা হয়েছে। দেশের মোট চাহিদার ২০ শতাংশ অক্সিজেন ভারত থেকে আমদানি করা হয়ে থাকে বলে খাত সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।
এদিকে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক জানিয়েছেন, শুধু করোনাকালে লিকুইড অক্সিজেন আমদানি করার প্রয়োজন হলেও দেশে গ্যাস অক্সিজেনের অভাব নেই। অক্সিজেন নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই বলেও জানান তিনি।
সারাবছর ভারত থেকে অক্সিজেন আমদানি করা হয় না উল্লেখ করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, এই করোনার সময় যখন সংক্রমণ ঊর্ধ্বমুখী ছিল তখন প্রতিদিন আমরা আমদানি করেছি। কিন্তু গত চার পাঁচ দিন কোনও অক্সিজেন আসছে না, আমরা তো চলছি। আমাদের তো অক্সিজেনের অভাব নেই।
জাহিদ মালেক বলেন, আমরা তো শুধু লিকুইড অক্সিজেন দিয়ে কাজ করি না। সেন্ট্রাল অক্সিজেন লাইন তো নতুন হলো, এর আগেও হাসপাতালে অক্সিজেন ছিল। সেগুলোর কিছু লিকুইড অক্সিজেন, আর বেশিরভাগই ছিল গ্যাস অক্সিজেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে গ্যাস অক্সিজেনের অভাব নেই। এর প্রোডাকশন ক্যাপাসিটি অনেক। আমাদের লোকাল যারা লিকুইড অক্সিজেন তৈরি করে তাদের সব নিয়ে আমরা হাসপাতালে দেবো, যেখানে প্রয়োজন হবে। আমাদের অনেক শিল্পকারখানাতেও লিকুইড অক্সিজেন নেয়, সেটাও আমরা রিজার্ভ করে ফেলেছি, প্রায় ৪০ টনের মতো। আমরা আমদানি করতাম ৪০-৫০ টন।
জাহিদ মালেক বলেন, আমাদের হাসপাতালগুলোতে যেখানে গ্যাস অক্সিজেন ব্যবহার করার সুযোগ আছে সেখানে আমরা বলেছি, গ্যাসে কনভার্ট করে ফেলতে। এখন গ্যাস দিয়ে চলতে বলেছি। তাতে আমাদের লিকুইড গ্যাসের প্রয়োজন পড়বে না। পাশাপাশি আমরা ছোট ছোট প্ল্যান্ট ইমপোর্ট করার ব্যবস্থা নিয়েছি। এটাও পর্যাপ্ত না, কারণ সবদেশেও তো প্রয়োজন। এরপরও আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি, এগুলো নিয়ে এসে হাসপাতালে স্ট্যান্ডবাই রাখবো।
-
১৪ মার্চ, ২০২২
-
২৯ জুলাই, ২০২১
-
০৮ জুলাই, ২০২১
-
২৮ এপ্রিল, ২০২১
-
২৫ এপ্রিল, ২০২১
-
২১ এপ্রিল, ২০২১
-
২৩ জানুয়ারী, ২০২১
-
১৩ ডিসেম্বর, ২০২০
-
১৯ অক্টোবর, ২০২০