১৭ মার্চ, ২০২৩ ১১:৩১ এএম

অধ্যাপক আব্দুল্লাহর মুকুটে আরেকটি পালক

অধ্যাপক আব্দুল্লাহর মুকুটে আরেকটি পালক
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক প্রথিতযশা এ চিকিৎসকের হাতে পুরস্কার তুলে দেন।

মেডিভয়েস রিপোর্ট: এবার বাংলাদেশ প্রাইভেট মেডিকেল কলেজ এসোসিয়েশনের (বিপিএমসিএ) পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ইমেরিটাস অধ্যাপক ডা. এবিএম আবদুল্লাহকে আজীবন সম্মাননা দেওয়া হয়েছে।

দেশের স্বাস্থ্য খাতে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য গত ১৪ মার্চ রাজধানীতে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তাঁকে এই সম্মাননা দেওয়া হয়। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক প্রথিতযশা এ চিকিৎসকের হাতে পুরস্কার তুলে দেন। 

এ সময় ব্যাপক সংখ্যক চিকিৎসক উপস্থিত ছিলেন।

সম্মাননা প্রদানের জন্য বাংলাদেশ প্রাইভেট মেডিকেল কলেজ এসোসিয়েশনের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন অধ্যাপক ডা. এবিএম আবদুল্লাহ।

অধ্যাপক আবদুল্লাহর আরও অর্জন

দেশের চিকিৎসা শিক্ষা, চিকিৎসাসেবা ও গবেষণাসহ সামগ্রিক পেশার উন্নয়ন, মর্যাদা বৃদ্ধি ও সুনাম অক্ষুণ্ণ রাখতে অধ্যাপক ডা. এ বি এম আব্দুল্লাহর অসামান্য অবদান রয়েছে।

এর স্বীকৃতি স্বরূপ দেশি-বিদেশি ১৪টি পুরস্কার ও সম্মাননায় ভূষিত হয়েছেন প্রখ্যাত এ মেডিসিন বিশেজ্ঞ। 

চিকিৎসা সেবায় অবদানের জন্য গত ২৪ ফেব্রুয়ারি শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত স্মৃতি পদকে ভূষিত হন অধ্যাপক আবদুল্লাহ।

এর আগে গত বছরের ২৬ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ব্যক্তিগত চিকিৎসককে আজীবন সম্মাননা দেয় বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল 'দেশ টিভি’। রাজধানীর একটি হোটেলে তাকে এ সম্মাননা দেওয়া হয়।

একই বছরের এপ্রিল মাসে মেডিসিনের বাইবেলখ্যাত পাঠ্যপুস্তক ডেভিডসনস’ প্রিন্সিপ্যাল অ্যান্ড প্রাকটিস অব মেডিসিন’র ২৪তম আন্তর্জাতিক সংস্করণের উপদেষ্টা বোর্ডের সদস্য মনোনীত হন প্রখ্যাত এ মেডিসিন বিশেষজ্ঞ। 

গবেষণায় অবদানের জন্য ২০১৬ সালে সরকার তাঁকে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা একুশে পদকে ভূষিত করে। ২০১৭ সালে তাঁকে বাংলা একাডেমি সম্মানসূচক ফেলোশিপ প্রদান করা হয়।

এর পরের বছর আগস্ট মাসে দুই বছরের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের ‘ইউজিসি প্রফেসরশিপ’ সম্মানে ভূষিত হন অধ্যাপক ডা. এবিএম আবদুল্লাহ।

গত বছরের বছরের ৩১ জানুয়ারি অধ্যাপক এবিএম আব্দুল্লাহকে ইমেরিটাস অধ্যাপক হিসেবে নিয়োগ দেয় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ)। 

করোনা প্রতিরোধে সম্মুখযোদ্ধা হিসেবে চিকিৎসা কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়া, জনসচেতনতা সৃষ্টি ও অনলাইনে চিকিৎসা সেবাসহ সার্বিক কার্যক্রমের স্বীকৃতি হিসেবে ২০২১ সালে তাঁকে রোটারি ইন্টারন্যাশনাল প্রেসিডেন্ট অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়। একই বছর ‘এটিএন বাংলা-উন্নয়নে বাংলাদেশ এ্যাওয়ার্ড-২০২১’ পান ডা. আব্দুল্লাহ। এ ছাড়াও বিভিন্ন পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন তিনি।

বেড়ে ওঠা

তিনি ১৯৫৪ সালে জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলার হাড়িয়াবাড়ী গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। নিজ গ্রামের প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তাঁর শিক্ষাজীবনের হাতেখড়ি। এর পর ১৯৬৯ সালে ইসলামপুর নেকজাহান উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক সম্পন্ন করেন। ১৯৭২ সালে ঢাকা কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক সম্পন্ন করার পর ঢাকা মেডিকেল কলেজে ভর্তি হন। সেখান থেকে ১৯৭৮ সালে এমবিবিএস ডিগ্রি লাভ করেন ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ।

এর পর কিছুদিন গ্রামে চিকিৎসা সেবা প্রদান করেন তিনি। পরবর্তীতে ঢাকা মেডিকেল কলেজে মেডিকেল অফিসার হিসেবে হিসেবে যোগদান করেন ডা. আব্দুল্লাহ। এরপর চলে যান সৌদি আরবে। সেখানে পাঁচ বছর চিকিৎসক হিসেবে দায়িত্ব পালনের পর উচ্চশিক্ষার জন্য ১৯৯২ সালে চলে যান লন্ডনে।

যুক্তরাজ্যে রয়েল কলেজ অব ফিজিশিয়ান্স থেকে এমআরসিপি ডিগ্রি লাভ করে দেশে এসে রাজধানীর হলিফ্যামিলি মেডিকেল কলেজের মেডিসিন বিভাগে দুই বছর পরামর্শক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

১৯৯৫ সালে পিএসসি পরীক্ষার মাধ্যমে সহকারী অধ্যাপক হিসেবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (তৎকালীন পিজি হাসপাতাল) যোগদান করেন।

এ বিশ্ববিদ্যালয়ে মেডিসিন অনুষদের ডিন ও মেডিসিন বিভাগের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৮ সালের ২৮ ডিসেম্বর বিএসএমএমইউ থেকে অবসরে যান অধ্যাপক ডা. এবিএম আবদুল্লাহ।

এমইউ

মেডিভয়েসের জনপ্রিয় ভিডিও কন্টেন্টগুলো দেখতে সাবস্ক্রাইব করুন MedivoiceBD ইউটিউব চ্যানেল। আপনার মতামত/লেখা পাঠান [email protected] এ।
  এই বিভাগের সর্বাধিক পঠিত
এক দিনে চিরবিদায় পাঁচ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক
করোনা ও বার্ধক্যজনিত অসুস্থতা

এক দিনে চিরবিদায় পাঁচ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক