বিএসএমএমইউর ইমেরিটাস অধ্যাপক হলেন ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ

মো. মনির উদ্দিন: প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ইউজিসি অধ্যাপক এবিএম আব্দুল্লাহকে ইমেরিটাস অধ্যাপক হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ)।
আজ সোমবার (৩১ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০টায় শহীদ ডা. মিল্টন হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর (ভিসি) অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ৮৫তম সিন্ডিকেটের সভায় সর্বসম্মত সিদ্ধান্তক্রমে এ নিয়োগ সম্পন্ন হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ বিকেলে মেডিভয়েসকে বলেন, ‘বিএসএমএমইউর ইমেরিটাস অধ্যাপক হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত হলাম। এজন্য কর্তৃপক্ষের প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি।’
‘বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানাই বিএসএমএমইউ ভাইস চ্যান্সেলর (ভিসি) অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদকে, প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ডা. একেএম মোশারফ হোসেনকে, অধ্যাপক ডা. মো. জাহিদ হোসেনকে, অধ্যাপক ডা. সাইফ উদ্দিন আহমেদকে, কোষাধ্যক্ষ ডা. মো. আতিকুর রহমানকে, রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল হান্নানকে, মেডিসিন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. মাসুদা বেগমকে, মেডিসিন অনুষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. সোহাইল মাহমুদ আরাফাতকে, মেডিসিন অনুষদের সকল অধ্যাপক, সহযোগী অধ্যাপক এবং সহকারী অধ্যাপক বৃন্দকে, সিন্ডিকেটের সকল সম্মানিত সদস্যবৃন্দকে। আপনাদের সকলের প্রচেষ্টায় আমি এ বিশেষ সম্মানে সম্মানীত হয়েছি’, যোগ করেন তিনি।
এর আগে ২০১৯ সালের ৬ আগস্ট অধ্যাপক ডা. এবিএম আবদুল্লাহকে দুই বছরের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের ‘ইউজিসি প্রফেসরশিপ’ প্রদান করা হয়।
জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে শিক্ষকতা, গবেষণা ও প্রকাশনা ক্ষেত্রে অনন্য অবদান রাখাসহ বাংলাদেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপকদের মধ্যে যারা বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষা, গবেষণা, প্রকাশনা অব্যাহত রাখতে ইচ্ছুক তাদের মধ্য থেকে ‘ইউজিসি প্রফেসরশিপ’ প্রদান করা হয়।
ইউজিসি নীতিমালা অনুযায়ী, একজন সিলেকশন গ্রেডপ্রাপ্ত প্রফেসর সর্বোচ্চ যে সুযোগ-সুবিধাপ্রাপ্ত হন ইউজিসি প্রফেসরগণও একই সুযোগ-সুবিধাপ্রাপ্ত হবেন। ইউজিসি প্রফেসররা তাদের পছন্দানুযায়ী যে কোনো বিশ্ববিদ্যালয় অথবা গবেষণা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সংযুক্ত থেকে গবেষণা কাজ পরিচালনা করতে পারবেন।
প্রখ্যাত এ চিকিৎসককে ২০১৯ সালে ২৪ ডিসেম্বর সচিব পদমর্যাদায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ব্যক্তিগত চিকিৎসক পদে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেওয়া হয়।
অধ্যাপক আবদুল্লাহর আরও অর্জন
দেশের চিকিৎসা শিক্ষা, চিকিৎসাসেবা ও গবেষণাসহ সামগ্রিক পেশার উন্নয়ন, মর্যাদা বৃদ্ধি ও সুনাম অক্ষুণ্ণ রাখতে অধ্যাপক ডা. এ বি এম আব্দুল্লাহর অসামান্য অবদান রয়েছে।
গবেষণায় অবদানের জন্য ২০১৬ সালে সরকার তাঁকে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা একুশে পদকে ভূষিত করে। ২০১৭ সালে বাংলা একাডেমি তাঁকে সম্মানসূচক ফেলোশিপ প্রদান করে।
করোনা প্রতিরোধে সম্মুখযোদ্ধা হিসেবে চিকিৎসা কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়া, জনসচেতনতা সৃষ্টি, অনলাইনে চিকিৎসা সেবাসহ সার্বিক কার্যক্রমের স্বীকৃতি হিসেবে সম্প্রতি এই মেডিসিন বিশেষজ্ঞকে রোটারি ইন্টারন্যাশনাল প্রেসিডেন্ট অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়। এ ছাড়াও বিভিন্ন পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন তিনি।
বেড়ে ওঠা
তিনি ১৯৫৪ সালে জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলার হাড়িয়াবাড়ী গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। নিজ গ্রামের প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তাঁর শিক্ষাজীবনের হাতেখড়ি। এর পর ১৯৬৯ সালে ইসলামপুর নেকজাহান উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক সম্পন্ন করেন। ১৯৭২ সালে ঢাকা কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক সম্পন্ন করার পর ঢাকা মেডিকেল কলেজে ভর্তি হন। সেখান থেকে ১৯৭৮ সালে এমবিবিএস ডিগ্রি লাভ করেন ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ।
এর পর কিছুদিন গ্রামে চিকিৎসা সেবা প্রদান করেন তিনি। পরবর্তীতে ঢাকা মেডিকেল কলেজে মেডিকেল অফিসার হিসেবে হিসেবে যোগদান করেন ডা. আব্দুল্লাহ। এরপর চলে যান সৌদি আরবে। সেখানে পাঁচ বছর চিকিৎসক দায়িত্ব পালনের পর উচ্চশিক্ষার জন্য ১৯৯২ সালে পাড়ি জমান লন্ডনে।
যুক্তরাজ্যে রয়েল কলেজ অব ফিজিশিয়ান্স থেকে এমআরসিপি ডিগ্রি লাভ করে দেশে এসে রাজধানীর হলিফ্যামিলি মেডিকেল কলেজের মেডিসিন বিভাগে দুই বছর পরামর্শক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
১৯৯৫ সালে পিএসসি পরীক্ষার মাধ্যমে সহকারী অধ্যাপক হিসেবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (তৎকালীন পিজি হাসপাতাল) যোগদান করেন।
এ বিশ্ববিদ্যালয়ে মেডিসিন অনুষদের ডিন ও মেডিসিন বিভাগের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৮ সালের ২৮ ডিসেম্বর বিএসএমএমইউ থেকে অবসরে যান অধ্যাপক ডা. এবিএম আবদুল্লাহ।
-
১৪ নভেম্বর, ২০২৩
-
২৬ অক্টোবর, ২০২৩
-
২৫ অক্টোবর, ২০২৩
-
০৭ জুলাই, ২০২২
-
১৯ জুন, ২০২২
সকল বাবার প্রতি অতল শ্রদ্ধা
বাবা, উত্তপ্ত সূর্যের নিচে সন্তানের শীতল ছায়া
-
২৮ মার্চ, ২০২২
-
৩১ জানুয়ারী, ২০২২