ডেভিডসনের উপদেষ্টা বোর্ডের সদস্য হলেন অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ

মো. মনির উদ্দিন: মেডিসিনের বাইবেলখ্যাত পাঠ্যপুস্তক ডেভিডসনস’ প্রিন্সিপ্যাল অ্যান্ড প্রাকটিস অব মেডিসিন’র ২৪তম আন্তর্জাতিক সংস্করণের উপদেষ্টা বোর্ডের সদস্য মনোনীত হয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ইমেরিটাস অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ।
আজ সোমবার (১৮ এপ্রিল) দুপুরে মেডিভয়েসকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তিনি।
অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ বলেন, ‘আল্লাহ তায়ালার অশেষ কৃপায় আমি ডেভিডসনের ২৪তম আন্তর্জাতিক সংস্করণের উপদেষ্টা বোর্ডের সদস্য মনোনীত হয়েছি। আমাকে আপনাদের প্রার্থনায় রাখবেন।’
বিশ্বের বিভিন্ন দেশে পাঠ্যসূচিভুক্ত মেডিসিনের এই বইটি প্রায় প্রতি চার বছর পর পর নতুন আন্তর্জাতিক সংস্করণ প্রকাশিত হয়। শিগগিরই বইটির ২৪তম সংস্করণ প্রকাশিত হতে যাচ্ছে। এতে উপদেষ্টা বোর্ডের সদস্য মনোনীত হলেন দেশের প্রখ্যাত এ মেডিসিন বিশেষজ্ঞ।
এ উপদেষ্টা বোর্ডে আগে থেকেই দুজন বাংলাদেশি মেডিসিন বিশেষজ্ঞ যুক্ত রয়েছেন। তারা হলেন- অধ্যাপক ডা. কাজী টি ইসলাম ও অধ্যাপক ডা. এম আবুল ফয়েজ।
অধ্যাপক আবদুল্লাহর আরও অর্জন
দেশের চিকিৎসা শিক্ষা, চিকিৎসাসেবা ও গবেষণাসহ সামগ্রিক পেশার উন্নয়ন, মর্যাদা বৃদ্ধি ও সুনাম অক্ষুণ্ণ রাখতে অধ্যাপক ডা. এ বি এম আব্দুল্লাহর অসামান্য অবদান রয়েছে।
গবেষণায় অবদানের জন্য ২০১৬ সালে সরকার তাঁকে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা একুশে পদকে ভূষিত করে। ২০১৭ সালে বাংলা একাডেমি তাঁকে সম্মানসূচক ফেলোশিপ প্রদান করে।
এর পরের বছর আগস্টে মাসে দুই বছরের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের ‘ইউজিসি প্রফেসরশিপ’ সম্মানে ভূষিত হন অধ্যাপক ডা. এবিএম আবদুল্লাহ।
চলতি বছরের ৩১ জানুয়ারি অধ্যাপক এবিএম আব্দুল্লাহকে ইমেরিটাস অধ্যাপক হিসেবে নিয়োগ দেয় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ)। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর (ভিসি) অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ৮৫তম সিন্ডিকেটের সভায় সর্বসম্মত সিদ্ধান্তক্রমে এ নিয়োগ সম্পন্ন হয়।
করোনা প্রতিরোধে সম্মুখযোদ্ধা হিসেবে চিকিৎসা কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়া, জনসচেতনতা সৃষ্টি, অনলাইনে চিকিৎসা সেবাসহ সার্বিক কার্যক্রমের স্বীকৃতি হিসেবে সম্প্রতি এই মেডিসিন বিশেষজ্ঞকে রোটারি ইন্টারন্যাশনাল প্রেসিডেন্ট অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়। এ ছাড়াও বিভিন্ন পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন তিনি।
বেড়ে ওঠা
তিনি ১৯৫৪ সালে জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলার হাড়িয়াবাড়ী গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। নিজ গ্রামের প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তাঁর শিক্ষাজীবনের হাতেখড়ি। এর পর ১৯৬৯ সালে ইসলামপুর নেকজাহান উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক সম্পন্ন করেন। ১৯৭২ সালে ঢাকা কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক সম্পন্ন করার পর ঢাকা মেডিকেল কলেজে ভর্তি হন। সেখান থেকে ১৯৭৮ সালে এমবিবিএস ডিগ্রি লাভ করেন ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ।
এর পর কিছুদিন গ্রামে চিকিৎসা সেবা প্রদান করেন তিনি। পরবর্তীতে ঢাকা মেডিকেল কলেজে মেডিকেল অফিসার হিসেবে হিসেবে যোগদান করেন ডা. আব্দুল্লাহ। এরপর চলে যান সৌদি আরবে। সেখানে পাঁচ বছর চিকিৎসক হিসেবে দায়িত্ব পালনের পর উচ্চশিক্ষার জন্য ১৯৯২ সালে পাড়ি জমান লন্ডনে।
যুক্তরাজ্যে রয়েল কলেজ অব ফিজিশিয়ান্স থেকে এমআরসিপি ডিগ্রি লাভ করে দেশে এসে রাজধানীর হলিফ্যামিলি মেডিকেল কলেজের মেডিসিন বিভাগে দুই বছর পরামর্শক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
১৯৯৫ সালে পিএসসি পরীক্ষার মাধ্যমে সহকারী অধ্যাপক হিসেবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (তৎকালীন পিজি হাসপাতাল) যোগদান করেন।
এ বিশ্ববিদ্যালয়ে মেডিসিন অনুষদের ডিন ও মেডিসিন বিভাগের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৮ সালের ২৮ ডিসেম্বর বিএসএমএমইউ থেকে অবসরে যান অধ্যাপক ডা. এবিএম আবদুল্লাহ।

বিএসএমএমইউ অ্যালামনাই এসোসিয়েশনের পুনর্মিলনীতে কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন
‘মানুষ জন্ম থেকে মৃত্যু অবধি চিকিৎসকদের কাছে ঋণী’
বিএসএমএমইউ অ্যালামনাই এসোসিয়েশনের পুনর্মিলনীতে কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন
‘মানুষ জন্ম থেকে মৃত্যু অবধি চিকিৎসকদের কাছে ঋণী’
জোটেনি ডব্লিউএফএমইর স্বীকৃতি
চিকিৎসকদের বহির্বিশ্বে চাকরি-প্রশিক্ষণ হুমকির মুখে
বিএসএমএমইউ অ্যালামনাই এসোসিয়েশনের পুনর্মিলনীতে কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন
‘মানুষ জন্ম থেকে মৃত্যু অবধি চিকিৎসকদের কাছে ঋণী’
জোটেনি ডব্লিউএফএমইর স্বীকৃতি
চিকিৎসকদের বহির্বিশ্বে চাকরি-প্রশিক্ষণ হুমকির মুখে
