৪০৯ চিকিৎসকের নিয়োগ নিয়ে হাইকোর্টের রুল
মেডিভয়েস রিপোর্ট: বিধিমালা সংশোধন করে ৪০৯ জুনিয়র কনসালটেন্ট (অ্যানেস্থেসিয়া) নিয়োগ কেন বাতিল করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে এ নিয়োগে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের গত ২৮ জুনের গেজেট কেন বাতিল করা হবে না তাও জানতে চাওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (২১ সেপ্টেম্বর) বিচারপতি মামনুন রহমান ও বিচারপতি খোন্দকার দিলুরুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত ভার্চুয়াল বেঞ্চ এই রুল জারি করেন। আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ সংশ্লিষ্টদের এই রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
মৌখিক পরীক্ষার মাধ্যমে ৪০৯ চিকিৎসকের নিয়োগ নিয়ে হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন ৫৬ জন চিকিৎসক।
এ নিয়ে গত ১২ সেপ্টেম্বর জারি করা রুলের লিখিত আদেশ সম্প্রতি প্রকাশ করা হয়েছে বলে গণমাধ্যমন রিটকারী আইনজীবী দেবজীত দেবনাথ।
ওই দিন রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী অ্যাডভোকেট জহিরুল ইসলাম খান (জেডআই) পান্না। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী দেবজীত দেবনাথ। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাস গুপ্ত ও মো. লুকমান হোসাইন। সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল সাইফুল আলম ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল অপূর্ব কুমার বিশ্বাস।
গত ২০ ও ২১ আগস্ট জুনিয়র কনসালটেন্ট পদে নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। ২২ আগস্ট ফলাফল প্রকাশ করা হয়। তারপর গত ৫ সেপ্টেম্বর গেজেট প্রকাশ করা হয়।
এর আগে করা রিট আবেদন শুনানি নিয়ে গত ১৭ আগস্ট চার সপ্তাহের জন্য মুলতবি (স্ট্যান্ডওভার) করেন আদালত। কিন্তু ওই সময়ের মধ্যে ওই পদে নিয়োগ কার্যক্রম সম্পন্ন হয়ে যায়। গত ১২ সেপ্টেম্বর স্বাস্থ্যমন্ত্রীর উপস্থিতিতে ওসমানী মিলনায়তনে উৎসবমুখর পরিবেশে তাদের যোগদান সম্পন্ন করা হয়। এখন তাঁদের পদায়ন করা হচ্ছে।
রিটকারী আইনজীবী দেবজীত দেবনাথ জানান, শুধুমাত্র মৌখিক পরীক্ষার মাধ্যমে বিসিএস (স্বাস্থ্য) ক্যাডারের মতো সংবেদনশীল বিষয়ে নিয়োগ, তাও একেবারে ষষ্ঠ গ্রেডের কনসালটেন্ট পদে!
আইনজীবী বলেন, কথা ছিল করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় ৪০৯ জন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক নিয়োগ দেবে সরকার। কিন্তু এখন তাদের দেশের বিভিন্ন জেলা উপজেলায় নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে।
চিকিৎসকদের অভিযোগ, অনেকে ২৫তম থেকে সর্বশেষ বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ, স্বাস্থ্য ক্যাডারে সারাদেশে সরকারি হাসপাতালে কর্মরত আছেন। তাঁরা ১৫ বছর পার করলেও পদোন্নতি না পেয়ে নবম গ্রেডেই রয়েছেন। তাদের সুযোগ না দিয়ে শুধু মৌখিক পরীক্ষার মাধ্যমে সরাসরি ষষ্ঠ গ্রেডে নিয়োগ দিয়ে এ ক্যাডারে বড় ধরনের বৈষম্য তৈরি করা হয়েছে।
তারা বলেন, যাঁদের পাঁচ বছরের অভিজ্ঞতা আছে, তাদের ষষ্ঠ গ্রেডে নিয়োগ দেওয়া হলে বর্তমান চাকরিতে যারা অ্যানেস্থেসিয়া বিষয়ে পোস্ট-গ্র্যাজুয়েশন করে নবম গ্রেডে মেডিকেল অফিসার পদে আছেন, তারা কোথায় যাবেন? নতুনদের ষষ্ঠ গ্রেডে যোগদান করালে সিনিয়র চিকিৎসকরা জুনিয়র হবেন, আর জুনিয়ররা সিনিয়র হয়ে যাবেন।
এদিকে এ নিয়োগ সামনে রেখে বিধিমালা সংশোধনের বিরোধিতা করেন অনেক জ্যেষ্ঠ চিকিৎসক। তারা বলেন, বিসিএস নিয়োগ বিধিমালা ১৯৮১ সংশোধন করে জুনিয়র কনসালটেন্ট নিয়োগের এ প্রক্রিয়ায় অ্যানেস্থেসিওলজিতে পোস্ট গ্রাজুয়েশন করা চিকিৎসকরা বঞ্চিত হবেন। তারা বলেন, এসব পদে পদোন্নতি প্রত্যাশী অনেক চিকিৎসক পোস্ট গ্রাজুয়েশন করে উপজেলা, জেলা ও মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দীর্ঘদিন কর্মরত আছেন। তাদের পদোন্নতি দিলেই জুনিয়র কনসালটেন্টের প্রয়োজনীয়তা মিটে যায়।
-
১৩ অক্টোবর, ২০২৩
-
১৪ জুন, ২০২২
-
২২ সেপ্টেম্বর, ২০২১
-
০৮ সেপ্টেম্বর, ২০২১
-
০৬ ফেব্রুয়ারী, ২০২১
-
২০ জানুয়ারী, ২০২১
-
০৮ জানুয়ারী, ২০২১
-
০৭ জানুয়ারী, ২০২১
-
২৬ ডিসেম্বর, ২০২০
জুনিয়র কনসালটেন্ট
পদোন্নতিতে সিনিয়র হয়েও নামে ঝুললো জুনিয়র তকমা!
-
২৩ ডিসেম্বর, ২০২০