
ডা. মোহাম্মদ জাহিদ হাসান
হেলথ সিস্টেম গবেষক
লিড গবেষক, পাই রিসার্চ এন্ড ডেভেলপমেন্ট সেন্টার
০৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১০:৪৪ এএম
চিকিৎসকদের ওপর হামলা ও এর সম্ভাব্য প্রতিকার

২০২২ সালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসকদের কাছ থেকে সংগৃহীত ডাটা থেকে প্রকাশিত এক গবেষণায় আমরা দেখেছিলাম, প্রায় ৬৭ শতাংশ চিকিৎসক কোনো না কোনো ধরনের ভায়োলেন্সের শিকার হয়েছেন। এর মধ্যে প্রায় ৮৪ শতাংশ খারাপ কথা বা গালি বা অন্যান্য ধরনের মানসিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। এ ছাড়া ১৩ শতাংশ চিকিৎসক শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন।
এখন প্রশ্ন হলো, এই যে মার খাওয়া বা বিভিন্ন রকম নির্যাতন কি শুধু আমাদের মতো গরিব দেশেই হয়। এর উত্তর হলো, না। এই ধরনের ঘটনা সারাবিশ্বেই ঘটে। ২০১৯ সালে প্রকাশিত ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে একটি রিভিও প্রকাশিত হয়। সেই রিভিওতে সারাবিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে স্বাস্থ্যকর্মীদের (ডাক্তার, নার্স বা অন্যান্য স্বাস্থ্য সহযোগী) নির্যাতনের ওপর ২৫৩টি উচ্চমানের গবেষণাকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
সেখানে দেখা গেছে, প্রায় ৬২ শতাংশ স্বাস্থ্যকর্মী (ডাক্তার, নার্স) রোগী বা রোগীর লোক দ্বারা ভায়োলেন্স বা নির্যাতনের শিকার হয়েছে। গবেষণায় আরও দেখা গেছে, সবচেয়ে বেশি ভায়োলেন্সের শিকার হয়েছে অস্ট্রালেশিয়াতে (অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, পাপুয়া নিউগিনিসহ চারপাশের দ্বীপপুঞ্জ) (৭১%)। এর পরেই রয়েছে নর্থ আমেরিকা (৬৭%) এবং এশিয়াতে (৬৫%)। আফ্রিকাতে এর পরিমাণ ৫৯%। এমনকি ইউরোপের মতো উন্নত দেশেও এর পরিমাণ প্রায় ৫০ শতাংশ (৪৮.১%)। তার মানে প্রতি দুইজন স্বাস্থ্যকর্মীর একজন উন্নত দেশেও বা উন্নত হেলথ সিস্টেমেও নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন।
এই পরিসংখ্যান বলার উদ্দেশ্য ডাক্তার বা অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মীদের (নার্স বা অন্যান্য স্বাস্থ্য সহযোগীদের) মার খাওয়াকে জাস্টিফাই করা নয়, এটি বলার উদ্দেশ্য মূলত দুইটি—
১. কেন ঘটে এ রকম ঘটনা
২. এই ধরনের ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে কি করা হয় বা কি করার আছে
কেন ঘটে এ রকম ঘটনা?
ডাক্তারদের বা স্বাস্থ্যকর্মীদের কাজ করতে হয় মানুষ নিয়ে বা আরেকটু গুছিয়ে বললে ইমোশনালি ভার্নারেবল লোকেদের নিয়ে। তার মানে হলো—সিনেমা দেখতে বা শপিং করতে মানুষ যে রকম আনন্দ নিয়ে যায়, তেমনি হাসপাতাল থেকেও তারা ভালো একটি খবর নিয়ে যেতে চাই।
যদিও তারা আসে চরম ভয়, আতঙ্ক এবং স্বজন হারানোর আশঙ্কা নিয়ে। প্রায়শই রোগীদের মনে হয় তারা সঠিকভাবে চিকিৎসা পাচ্ছেন না বা তাদেরকে প্রোপারলি ট্রিট করা হচ্ছে না বা কখনো কখনো মানবিক আচরণ করা হচ্ছে না। সঠিকভাবে যে ট্রিট হচ্ছে না সেটি আপনি নিজে কোনো রোগী নিয়ে সরকারি হাসপাতালে যান বা ডাক্তারদের চেম্বারে যান বুঝতে পারবেন। এই নিয়ে সবার অভিজ্ঞতাই প্রায় সমান। শুধু যে চিকিৎসকদের দোষ সেটি নয়, এর সাথে সংশ্লিষ্ট সকলেরও দায় রয়েছে।
আমি আমার স্ত্রী, শাশুড়ি এবং বাচ্চা নিয়ে এক হাসপাতালে গেলাম। টাকা জমা দিয়ে রিসিট নিয়ে রক্ত পরীক্ষার জন্য প্রায় এক ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে থাকলাম। কিন্তু যিনি এন্ট্রি দিচ্ছেন তিনি একবার বের হয়ে যাচ্ছেন, কখনও ফোনে কথা বলছেন, এদিক ওদিক যাচ্ছেন, কিন্তু এই এক ঘণ্টায় ৫ জন লোককেও তিনি টাকা জমা নিয়ে রিসিট দিতে পারলেন না। তারপর যখন বেলা ১২টা বেজে গেল, তখন দায়িত্বে থাকা লোকটি বলল এখন আর এন্ট্রি হবে না। তখন লাইনে থাকা রোগী বা রোগীর স্বজনরা ক্ষিপ্ত হয়ে গেল এবং স্বাভাবিকভাবেই উত্তেজনাকর অবস্থা তৈরি হলো।
এই ঘটনার পরে কোনোরকম রিসিট নিয়ে কেউ যখন ডাক্তার দেখাতে গিয়ে আবার লাইনে দাঁড়াবে, তার এত ধৈর্য আর থাকবে না এবং খারাপ ব্যবহার সে করতে পারে। এ রকম ট্রলি পাওয়া নিয়ে সমস্যা, লিফটে ভীড়, মেডিসিন সরবরাহ নেই, এমন হাজারো ব্যবস্থাপনাগত ত্রুটির সরাসরি দায়ভার চলে আসে স্বাস্থ্যকর্মীদের উপর।
অবশ্যই এই ব্যবস্থাপনা চালু রাখা এবং ক্রমাগত উন্নতি ঘটানোর দায় স্বাস্থ্যকর্মীদের রয়েছে। কিন্তু একজন মানুষ যখন তার প্রিয়জনকে রোগী দেখাতে নিয়ে আসে, তখন এত সমস্যা বোঝার বোধগম্যতা তার থাকে না। আর সাধারণ রোগীদের এমনিতেই স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে জ্ঞান খুবই সামান্য। কারণ এই যুগেও সাপে কাটলে অথবা হাড় ভাঙলে মানুষ ওঁঝা বা কবিরাজের কাছে যায়।
এই ধরনের ঘটনায় কি করার আছে
স্বাস্থ্যকর্মীর ওপরে আক্রমণগুলো খুব অকস্মাৎ ঘটে, যে কারণে প্রায়শই এটি কার্যকরভাবে প্রতিরোধ করা যায় না। সম্প্রতি ঢাকা মেডিকেলের একাধিক চিকিৎসকের গায়ে হাত তোলা নিয়ে আন্দোলনের এক পর্যায়ে বলা হলো, হাসপাতালে ১-১ অনুপাতে পুলিশ ও চিকিৎসক থাকতে হবে। এই দাবিও একটু ইমোশনাল। কেন ইমোশনাল তার ব্যাখ্যা দিচ্ছি।
প্রথমত চিন্তার বিষয় হচ্ছে রোগীরা কি ইমারজেন্সি বা অন্য সেবা নিতে গিয়ে কোন ভোগান্তিতে পড়ে, যা তাকে উত্তেজিত করে তুলছে? যদি উত্তর হ্যাঁ হয়, তাহলে তো সমাধান পুলিশ নিয়োগ না। সমাধান হলো ভোগান্তি কমানো। ঢাকা মেডিকেল কলেজের ইমারজেন্সি কি আসলেই কোন জরুরি সেবা দেয়? উত্তর হচ্ছে, না। ২৪ ঘণ্টার মাঝে যদি হাড় ভাঙা বা একসিডেন্ট বা পোড়া রোগী এখানে আসতে পারে, তাহলে মোটামুটি চিকিৎসা পায়। যদিও ঠিকভাবে গোল্ডেন আওয়ারের মাঝে চিকিৎসা শুরু করতে পারে কিনা, সেটা গবেষণার বিষয়। কিন্তু পর্যবেক্ষণ হচ্ছে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সম্ভব হয় না।
বার্ন ইউনিট চালুর পরে পোড়া রোগীদের বেশিরভাগই এখন আর ইমার্জেন্সিতে আসে না। তাহলে ভাঙা বা একসিডেন্ট বা পোড়া রোগী ব্যতীত সবাইকে শুধু জরুরি বিভাগ থেকে অন্যান্য ওয়ার্ডে যাবার জন্য রেফার করা হয়। একজন রোগীকে জরুরি বিভাগ থেকে ওয়ার্ড পর্যন্ত নেয়া যে কি ভোগান্তি, এটা যাদের অজানা তারা কখনও রোগী নিয়ে আসলেই দেখতে পাবেন।
এত বড় হাসপাতালের এই জরুরি সেবা হলো এক ধরনের প্রহসন। এখান থেকে রোগী বা রোগীর লোককে দাদুদের হাতে পায়ে ধরে এবং ঘুষ দিয়ে ট্রলি ম্যানেজ করে ওয়ার্ডে পোঁছাতে হয়। দিনের বেলা কিছু রোগী কপাল গুনে সিট পায়। কিন্ত অনেককেই ফ্লোরিং মানে মাটিতে শুয়ে থাকতে হয় বা আরো বেলা গড়ালে বারান্দায় থাকতে হয়।
আপনি কখনো নিচে শুয়ে দেখবেন হাসপাতালের বারান্দায় বা দুই বেডের মাঝখানে মেঝেতে। কেমন লাগে? আমি জানি, আমি একবার অনেক অসুস্থ হয়ে ভর্তি হয়ে দুই বেডের নিচে বিছানা করে ছিলাম। আমার পরিচয় জানার পরে খুব দ্রুত বেড পাই। কিন্তু আমি সেই অনুভুতি আজও ভুলতে পারিনি। দিনের পরে দিন আমরা এগুলো দেখে বোধহীন হয়ে গেছি, কিন্তু রোগীরা প্রতি সপ্তাহেই নতুন হচ্ছে। এই রোগীগুলো প্রচণ্ড মনোকষ্ট নিয়ে আপনার পাশেই ঘুড়ে বেড়াচ্ছে। এরপরে যখন শুনবে এই টেস্ট এখানে হয় না, এই ওষুধ বাহির থেকে কিনতে হবে, আজকে বড় স্যার রোগী দেখবেন না, স্যারের মিটিং আর আপনার ধমক-সেটা এই কষ্টে থাকা রোগীরা বেশিরভাগই হজম করে যায়।
কিন্তু একটা অংশ পারে না। তারাই তাদের সামর্থ অনুযায়ী চড়াও হয়। স্বভাবতই তখন তারা হুঁশ জ্ঞান নিয়ে এই কাজ করে না। এখন কোথায় এই কাজ ঘটবে সেটা আগে থেকে প্রেডিক্ট করা যাবে না। তাই এই পুলিশ খুব বেশি থাকলেও যে কাজ হবে, আমার তা মনে হয় না। আমি আবারো বলছি—আমি কোনভাবেই এই ব্যাড ইভেন্টগুলোকে জাস্টিফাই করছি না। কিন্তু আগে যে যে কারণে রোগীরা সাফার করছে সেগুলোর দিকে কেন নজর দিচ্ছি না।
কয়েকটি ‘কেন’র জবাব জরুরি
কেন দেশের সবচেয়ে বড় হাসপাতালে ইমার্জেন্সি বিভাগ থাকবে না, কেন ৫ম শ্রেণি পাস করা লোক নাম এন্ট্রি দিচ্ছে, কেন রোগী বহন করার জন্য চাঁদা দিতে হবে, কেন হাসপাতালে ২৪ ঘণ্টা পরীক্ষা-নিরীক্ষার ব্যবস্থা করা যাচ্ছে না? কেন একটা টারশিয়ারি হাসপাতালে রাতে ইন্টার্ন চিকিৎসকদের ওপর বা প্রশিক্ষণার্থী ডাক্তারের ওপর দায়িত্ব দিয়ে ঘুমায় (দুই একটা ব্যতিক্রম ডিপার্ট্মেন্ট বাদে), কেন সিনিয়র বা অভিজ্ঞ ডাক্তারদের পাওয়া যায় না, কেন জুনিয়র কনসালটেন্ট বা মিড লেভেলের ডাক্তারদেরও পাওয়া যায় না, দিনের বেলায় কয়েক ঘণ্টা বাদ দিয়ে ট্রেইনি ডাক্তারদের দিয়ে যে হাসপাতালে চিকিৎসা চলে সেখানে কি মনে করেন আসলেই স্টান্ডার্ড চিকিৎসা হয়?
আমার ইন্টার্নশিপ সময়ের কথা বলতে পারি। সবেমাত্র শুরু করেছি, তখনই প্লেসমেন্ট হল পেডিয়াট্রিক সার্জারিতে (শিশু সার্জারি বিভাগ)। কিছুই বুঝি না জানি না, শিশুদের ডোজ জানি না, আমাদের দেয়া হলো নাইট আর সাথে বড়ভাইয়ের একটি ফোন নম্বর। রোগী আসলে আমার কাজ হলো শিশু হাসপাতালে পাঠিয়ে দেয়া বা বড় ভাইকে ফোন করা। বড় ভাইকে ফোন করলে ধরবে না বা ধরে বলবে পাঠায় দে শিশু হাসপাতালে। কত কষ্ট নিয়ে দূর-দুরান্ত থেকে বাচ্চার অসুখ নিয়ে এই হাসপাতালে আসে। আর আমি যখন কোনো চিকিৎসা না দিয়ে আরেক জায়গায় রেফার করি, আর সে যদি একটু গাল-মন্দ না করে তাহলে তো সেই লোক ফেরেশতা!
এই যদি একটি সর্বোচ্চ সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানের নমুনা হয়, আপনারাই বিবেক দিয়ে বাকিটা বুঝে নেন। আমার তো মনে হয়, ইন্টার্নদের বা ট্রেইনি ডাক্তারদের প্রথম আন্দোলন হওয়া উচিত, ইভিনিং এবং নাইটে সিনিয়র ডাক্তারদের উপস্থিতি নিশ্চিত করা। আরো অনেক দাবি তোলা উচিত—ভাল একাধিক রিডিং রুম, ভাল ডিউটি রুম, সাবসিডাইজ খাবার, একাডেমিক টিচারের প্লেসম্যান্ট, জার্নাল ক্লাব রেগুলার করা, গবেষণা ফান্ড, ভাল ভাল একাডেমিক ট্রেনিং, উন্নত বিশ্বের প্রতিষ্ঠানগুলোর সাথে স্টুডেন্ট এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রাম ইত্যাদি।
যাই হোক প্রসঙ্গে আসি। এত ভাল সার্ভিস দেবার পরেও একজন ডাক্তার বা স্বাস্থ্যকর্মী এই ধরনের ‘ইমোশনাল এসল্টে’ শিকার হতে পারেন। হয়ে গেলে তার জন্য আইনি কাঠামোর মাঝে বিচার হতে পারে। এখন আমাদের দেশে বিচার হয় না বলে আলাদা পুলিশ বা আলাদা আইন করতে হবে এই দাবি খুব শক্তিশালী না। নতুন আইন হলেও আগের মতই বাস্তবায়ন হবে না—এ আর নতুন কি?
এত গেল সরকারের দায়িত্ব। প্রতিষ্ঠানেরও কিছু দায়িত্ব আছে। মূল দায়িত্ব হল ৩টি—
ঘটনার পর রিপোর্টিংয়ের ব্যবস্থা করা
আমাদের গবেষণায় আমরা দেখেছি এই ধরনের কোনো রিপোর্টিংয়ের কথা তারা বেশিরভাগই অবগত নন। কার কাছে করবে, কীভাবে করবে? মামলা করতে হলেও কীভাবে করবে তা অজানা? তাহলে দাবি হওয়া উচিত এই ধরনের ঘটনা ঘটলে তার সবিস্তার প্রতিবেদন করা। আমাদের গবেষণায় আরেকটি চমৎকার তথ্য উঠে এসেছে, সেটি হলো—ডাক্তাররা ১৫% ক্ষেত্রে তাদের সহকর্মী, বা প্রফেসর বা হাসপাতেলের অন্য কর্মীদের কাছ থেকে ভায়োলেন্সের স্বীকার হন। এসব ক্ষেত্রে কই কেউ কি রিপোর্ট করেছেন বা কীভাবে করতে হয় জানেন?
দ্বিতীয়ত এই ধরনের ঘটনার পরে সিনিয়র দায়িত্বপ্রাপ্তদের কাছ থেকে পর্যাপ্ত মানসিক সাপোর্ট, প্রয়োজনে কিছুদিন কাজ থেকে বিরতি বা ছুটিসহ অন্যান্য সাপোর্ট
তৃতীয়ত ঘটনার কারণ অনুসন্ধান করে ভবিষ্যতে যেন না হয় তার জন্য ব্যবস্থা নেওয়া।
কর্মবিরতিই সমাধান?
কর্মবিরতি কি ভালো সমাধান? এক কথায় উত্তর হচ্ছে না।
চিকিৎসা পেশা এমন একটি পেশা, যা অন্যান্য পেশার মতো নয়। আপনি আবেগের বশবর্তী হয়ে বা অন্য কোনো অভাব-অভিযোগের ভিত্তিতে সেবা দেওয়া বন্ধ রাখতে পারেন না। এটি যে কেউ আপনাকে বাধ্য করছে, এমন না। মানুষের কষ্ট, ভোগান্তি, মারা যাওয়া—ইত্যাদি দেখে আপনি নিজেও অনুশোচনায় পড়ে যাবেন। কারণ আপনি জেনে শুনেই ভাল মনে করেই এই পেশা বেছে নিয়েছেন। অন্যভাবে বললে, আল্লাহ বা ভগবান হাজারো মানুষের ভীড়ে আপনাকে এই মহান পেশায় কবুল করে নিয়েছেন। তাই কর্মবিরতি করে আপনি আপনার মা-বা, ভাই-বোন, স্ত্রী-সন্তান, পাড়া-প্রতিবেশী কারো কাছ থেকে সহানুভূতি পাবেন না। কারণ মানুষ আপনাকে এত বড় জায়গায় স্থান দেয় যে, এই দাবি-দাওয়ার বিষয়ে আপনি কঠোর হবেন, এটা তাদের কাছে বোধগম্য হয় না।
তাই আমার আবেদন থাকবে, আমাদের আন্দোলন হবে পরিশীলিত এবং ধাপে ধাপে, যেন আমরা ব্যবস্থাপনাকে বদলাতে পারি, আমাদের ন্যায্য দাবিগুলোকে আদায় করতে পারি এবং সেই সাথে রোগীদের সর্বোচ্চ মানসম্মত চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করতে পারি।
এনএএন/এমইউ
-
১৬ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫
-
১২ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫
-
২৯ ডিসেম্বর, ২০২৪
-
২৬ ডিসেম্বর, ২০২৪
-
২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪
-
১৭ অক্টোবর, ২০২৪
-
১৬ অক্টোবর, ২০২৪
-
০৩ অক্টোবর, ২০২৪