মেডিভয়েস রিপোর্ট: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) ‘কম্প্রিহেনসিভ ম্যানেজমেন্ট অব হাইপারগ্লাইসেমিয়া ইন প্রেগনেন্সি’ শীর্ষক বৈজ্ঞানিক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ সোমবার (২০ নভেম্বর) দুপুরে শহীদ ডা. মিল্টন হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের মা ও প্রসূতি বিভাগ, ফিটোমেটাল মেডিসিন বিভাগ ও এন্ডোক্রাইনোলোজি বিভাগ যৌথভাবে এ সেমিনারের আয়োজন করে।

সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএসএমএমইউর ভাইস-চ্যান্সেলর (ভিসি) অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, গর্ভাবস্থায় কোনো মায়ের ডায়াবেটিস ধরা পড়লে তার দ্রুত চিকিৎসা করা প্রয়োজন। এ ডায়াবেটিস অনাগত নবজাতকের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে ডায়াবেটিস প্রতিরোধ ও প্রতিকারের বিষয়ে একটি গবেষণা চলামান রয়েছে।

সেমিনারে বলা হয়, শতকরা ৩৫ ভাগ গর্ভবতী মহিলার রক্তের গ্লুকোজ অস্বাভাবিক পাওয়া গেছে। প্রতি ছয়জন মায়ের মাঝে একজন ডায়াবেটিসে আক্রান্ত। সন্তান জন্মের ৬ সপ্তাহ পর শতকরা ৫০ ভাগ গর্ভকালীন ডায়াবেটিসে আক্রান্ত মায়ের রক্তের গ্লুকোজ স্বাভাবিক হয়নি। আমাদের দেশে গর্ভকালীন ডায়াবেটিস আশঙ্কাজনকভাবে বেড়ে যাচ্ছে। এর ফলে মা ও অনাগত শিশু উভয়েই ঝুঁকির সম্মুখীন। গর্ভকালীন ডায়াবেটিস সুনিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে এর কুফল থেকে মা ও সন্তানকে মুক্ত রাখা যায়। গর্ভকালীন ডায়াবেটিস রোগীকে একজন ডায়াবেটিস ও হরমোন বিশেষজ্ঞের তত্ত্বাবধানে খাদ্যাভ্যাসে কিছু পরিবর্তন আনতে হয় এবং প্রয়োজনে ইনসুলিন ব্যবহার করতে হয়। পরবর্তী জীবনে ডায়াবেটিসের ঝুঁকি থাকার মাকে স্বাস্থ্যকর অভ্যাসগুলো সারা জীবন ধরে রাখতে হবে।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের এন্ডোক্রাইনোলোজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মো. হাসনাত। কো-চেয়ারম্যান হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মা ও প্রসূতি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. বেগম নাসরিন। প্যানেল অব এক্সপার্ট হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এন্ডোক্রাইনোলোজি বিভাগের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মো. ফরিদ উদ্দিন ও মেডিসিন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মো. সোহেল মাহমুদ আরাফাত।

এসএস/এএনএম