প্রাইভেট প্র্যাকটিস বন্ধে ডেন্টাল সোসাইটির একাত্মতা

মেডিভয়েস রিপোর্ট: সেন্ট্রাল হাসপাতালে চিকিৎসায় প্রসূতি মাহবুবা রহমান আঁখি ও নবজাতক মৃত্যুর ঘটনায় ২ চিকিৎসক গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে সোমবার (১৭ জুলাই) ও মঙ্গলবার (১৮ জুলাই) সারাদেশে প্রাইভেট চেম্বার ও অপারেশন বন্ধ রাখার ঘোষণায় একাত্মততা পোষণ করেছে বাংলাদেশ ডেন্টাল সোসাইটি।
আজ রোববার (১৬ জুলাই) ঢাকা ডেন্টাল কলেজের অধ্যক্ষ এবং বাংলাদেশ ডেন্টাল সোসাইটির মহাসচিব অধ্যাপক ডা. হুমায়ুন কবির বুলবুল মেডিভয়েসকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, ‘সম্প্রতি ঘটে যাওয়া সেন্ট্রাল হাসপাতালের ঘটনাসহ সারাদেশে একর পর এক চিকিৎসক নিগ্রহ, গ্রেপ্তার ও নির্যাতনের বিরুদ্ধে এবং নিরাপদ কর্মস্থলের দাবিতে বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ) সমর্থিত ও সকল চিকিৎসক সোসাইটি ঘোষিত কর্মসূচিতে বাংলাদেশ ডেন্টাল সোসাইটি একাত্মতা ঘোষণা করছে। সোসাইটির সকল সদস্যদের অংশগ্রহণ একান্তভাবে কাম্য।’
এর আগে গতকাল শনিবার বিএমএ ও অবস্ট্রেট্রিক্যাল অ্যান্ড গাইনেকোলজি সোসাইটি অব বাংলাদেশের (ওজিএসবি) যৌথ বৈঠক শেষে সোমবার ও মঙ্গলবার সারাদেশে প্রাইভেট চেম্বার ও অপারেশন বন্ধ রাখার ঘোষণা দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে বিএমএ সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন গণমাধ্যমকে বলেন, বিএমএ’র মানববন্ধনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। কর্মবিরতিসহ প্রাইভেট চেম্বার ও অপারেশন বন্ধের ব্যাপারে ওজিএসবিসহ সোসাইটিগুলো সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তারা এ কর্মসূচি পালন করবে। এটি বিএমএ’র কর্মসূচি নয়।
ওজিএসবির এ সংক্রান্ত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শনিবার দুপুর ১টায় সব চিকিৎসক সোসাইটির নেতারা বিএমএ সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিনের কার্যালয়ে সভা করেছেন। এতে সেন্ট্রাল হাসপাতালের প্রসূতি ও নবজাতক মৃত্যুর ঘটনায় দুইজন চিকিৎসককে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে কর্মসূচি পালনের সিদ্ধান্ত হয়েছে। এসব কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে-
১. আগামী ১৬ জুলাই প্রতিটি মেডিকেল কলেজ, জেলা-উপজেলা এবং প্রাইভেট হাসপাতালে দুপুর ১২টা থেকে ১টা পর্যন্ত মানববন্ধন।
২. ১৭ ও ১৮ জুলাই সরাদেশে সব প্রাইভেট চেম্বার এবং প্রাইভেট অপারেশন বন্ধ থাকবে।
৩. আগামী ১৮ জুলাই আবারও বিএমএ’র সাথে বসে পরবর্তী আন্দোলনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।
এসব কর্মসূচিতে ওজিএসবির ও অন্যান্য সোসাইটির সব সদস্যের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ কামনা করেছেন চিকিৎসক নেতারা।
প্রসঙ্গত, সেন্ট্রাল হসপিটালের অধ্যাপক ডা. সংযুক্তা সাহার (গাইনি) অধীনে গত ৯ জুন ভর্তি হয়েছিলেন মাহাবুবা রহমান আঁখি। কিন্তু সে দিন ডা. সংযুক্তা হাসপাতালেই ছিলেন না। পরে তার দুই সহযোগী চিকিৎসক আঁখির ডেলিভারি করানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু জটিলতা দেখা দেওয়ায় নবজাতককে এনআইসিইউতে রাখা হয়। একই সঙ্গে আঁখির অবস্থার অবনতি হলে তাকে ল্যাবএইড হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। পরে ১০ জুন বিকেলে আঁখির নবজাতক সন্তান মারা যায়। এ ঘটনায় আঁখির স্বামী ইয়াকুব আলী ধানমন্ডি থানায় ‘অবহেলাজনিত মৃত্যু’র একটি মামলা দায়ের করেন।
মামলায় ডা. শাহজাদী মুস্তার্শিদা সুলতানা, ডা. মুনা সাহা, ডা. মিলি, সহকারী জমির, এহসান ও হাসপাতালের ম্যানেজার পারভেজকে আসামি করা হয়। এ ছাড়াও অজ্ঞাতনামা আরও কয়েকজনকেও আসামি করা হয়েছে। মামলা দায়েরের পর ১৫ জুন রাতে ডা. শাহজাদী ও ডা. মুনা সাহাকে হাসপাতাল থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
রোববার (১৮ জুন) দুপুর ১টা ৪৩ মিনিটে ল্যাবএইড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান মাহবুবা রহমান আঁখি।
এসএস/এমইউ
-
০৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৩
-
১১ অগাস্ট, ২০২৩
-
১৯ জুলাই, ২০২৩
-
১৮ জুলাই, ২০২৩
-
১৮ জুলাই, ২০২৩
-
১৮ জুলাই, ২০২৩
-
১৮ জুলাই, ২০২৩

দ্য বাংলাদেশ এন্টি ড্রাগ ফেডারেশনের কর্মশালা
আসক্তি ভুলে তরুণদের ক্যারিয়ার গঠনে মনোযোগের আহ্বান
দ্য বাংলাদেশ এন্টি ড্রাগ ফেডারেশনের কর্মশালা
আসক্তি ভুলে তরুণদের ক্যারিয়ার গঠনে মনোযোগের আহ্বান
