১৬ ডিসেম্বর, ২০২২ ০২:৪১ পিএম

দেশ স্বাধীন হওয়ায় ডাক্তার-ইঞ্জিনিয়ার তৈরি হচ্ছে: বিএসএমএমইউ ভিসি

দেশ স্বাধীন হওয়ায় ডাক্তার-ইঞ্জিনিয়ার তৈরি হচ্ছে: বিএসএমএমইউ ভিসি
ক্যাম্পাসে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, বেলুন উড্ডয়ন ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর ম্যূরালে পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্য দিয়ে এসব কর্মসূচি শুরু হয়।

মেডিভয়েস রিপোর্ট: নানা কর্মসূচি পালন ও আয়োজনের মধ্য দিয়ে মহান বিজয় দিবস ২০২২ উদযাপিত হয়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ)।

শুক্রবার (১৬ ডিসেম্বর) সকালে বিএসএমএমইউ ভাইস চ্যান্সেলর (ভিসি) অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, বেলুন উড্ডয়ন ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর ম্যূরালে পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্য দিয়ে এসব কর্মসূচি শুরু হয়।

স্বেচ্ছায় রক্তদান, বৃক্ষরোপণ, রোজী জামাল মহিলা হোস্টেলের ছাদ পুননির্মাণ ও সংস্কারোত্তর উদ্বোধন, ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ও সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ, বিজয়ের ৫২ বছরে পদার্পণ উপলক্ষে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক বিশেষ প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শনী, রোগীদের জন্য উন্নতমানের খাবার পরিবেশন, আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

ডা. শারফুদ্দিন বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর কারণেই স্বাধীন বাংলাদেশ অর্জন করা সম্ভব হয়েছে। ফলে আজ আমরা ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার ও বড় বড় কর্মকর্তা হতে পেরেছি। দেশ স্বাধীন না হলে আজও পাকিস্তানের গোলামী করতে হতো। বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের জন্য জীবন দিয়ে গেছেন। তাঁর রক্তের ঋণ আমরা কোনোদিন শোধ করতে পারবো না। তবে প্রত্যেকে যদি নিজ নিজ দায়িত্ব ও কর্তব্য সঠিকভাবে পালন করি, তাহলে বঙ্গবন্ধুর আত্মা শান্তি পাবে।’

তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু চেয়েছিলেন এই প্রতিষ্ঠানটি (বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়) এমনভাবে গড়ে তুলতে, যাতে করে দেশের রোগীদের চিকিৎসার জন্য বাইরে যেতে না হয়। বঙ্গবন্ধুর সেই লক্ষ্য অর্জনে বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান প্রশাসন অবিরাম কাজ করে যাচ্ছে।’

ভিসি বলেন, ৬০ বছরের নিচে যেকোনো সুস্থ মানুষ বছরে তিন বার রক্ত দিতে পারেন। রক্তদানের মাধ্যমে পরকালেরও পুণ্য অর্জন করা সম্ভব। তাছাড়া রক্তদানের সময়ে কয়েকটি রোগ, ভাইরাস শনাক্তকরণের জন্য বেশ কয়েকটি পরীক্ষা বিনামূল্যে করা হয়। এর ফলে রক্তদাতার এসব রোগ রয়েছে কিনা, তা জানা সম্ভব হয়। দেশবাসীকে বছরে কমপক্ষে একবার রক্তদান করে মানুষের জীবন বাঁচানোর অনুরোধ করেন তিনি।

এসব কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন বিএসএমএমইউ’র প্রো-ভিসি (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মো. জাহিদ হোসেন, প্রো-ভিসি (শিক্ষা) অধ্যাপক ডা. একেএম মোশাররফ হোসেন, প্রো-ভিসি (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. ছয়েফ উদ্দিন আহমদ, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আতিকুর রহমান, ডেন্টাল অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আলী আসগর মোড়ল, সার্জারি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ হোসেন, মেডিকেল টেকনোলজি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. দেবব্রত বনিক, শিশু অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. সুরাইয়া বেগম। আরও উপস্থিত ছিলেন প্রক্টর অধ্যাপক ডা. মো. হাবিবুর রহমান দুলাল, রেজিস্ট্রার ডা. স্বপন কুমার তপাদার, হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. এস এম মোস্তফা জামান, ট্রান্সফিউশন মেডিসিন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মো. আসাদুল ইসলাম প্রমুখসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, শিক্ষক, শিক্ষার্থী, চিকিৎসক, নার্স ও কর্মচারীরা।

মেডিভয়েসের জনপ্রিয় ভিডিও কন্টেন্টগুলো দেখতে সাবস্ক্রাইব করুন MedivoiceBD ইউটিউব চ্যানেল। আপনার মতামত/লেখা পাঠান [email protected] এ।
  এই বিভাগের সর্বাধিক পঠিত