ডা. মো. আরমান হোসেন রনি

ডা. মো. আরমান হোসেন রনি

চক্ষু বিশেষজ্ঞ ও সার্জন, জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল, শেরেবাংলা নগর, ঢাকা।


১২ মার্চ, ২০২৫ ০৩:১২ পিএম

গ্লকোমার জন্য যাদের চক্ষু পরীক্ষা জরুরি

গ্লকোমার জন্য যাদের চক্ষু পরীক্ষা জরুরি
ছবি: সংগৃহীত

গ্লকোমা হলো চোখের একপ্রকার রোগ যাতে অপটিক স্নায়ু ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এর কারণে দৃষ্টিশক্তি কমে গেলে তা স্থায়ীভাবে কমে। এই রোগের ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে চোখের অভ্যন্তরীণ চাপ (ইন্ট্রাওকুলার প্রেসার) বেড়ে যাওয়া, পরিবারের অন্য সদস্যের এই রোগ থাকা, উচ্চ রক্তচাপ ও অতিস্থুলতা ইত্যাদি।

গ্লকোমা প্রাথমিক অবস্থায় ধরা না পড়লে স্থায়ী অন্ধত্ব হতে পারে, তাই আগে থেকেই সচেতন হওয়া জরুরি। চলুন এক নজরে জেনে নিই গ্লকোমার জন্য যাদের চক্ষু পরীক্ষা জরুরি

১. ৪০ বছরের বেশি বয়সীরা: বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে গ্লকোমার ঝুঁকি বাড়ে। ৪০ বছরের পর প্রতি দুই বছর পরপর এবং ৬০ বছরের পর প্রতি বছর চোখ পরীক্ষা করানো উচিত।

২. পরিবারের কেউ গ্লকোমায় আক্রান্ত থাকলে: গ্লকোমার একটি বড় কারণ বংশগত প্রবণতা। যদি পরিবারের বাবা-মা, ভাই-বোন বা অন্য আত্মীয়দের গ্লকোমা থাকে, তাহলে ঝুঁকি অনেক বেশি।

৩. উচ্চ চোখের চাপ থাকলে: চোখের অভ্যন্তরীণ চাপ বেশি হলে গ্লকোমার ঝুঁকি অনেক বেশি থাকে। তাই যারা আগে থেকেই চোখের চাপ বেশি এমন রোগী তাদের নিয়মিত পরীক্ষা করা দরকার।

৪. ডায়াবেটিস বা উচ্চ রক্তচাপ থাকলে: ডায়াবেটিস এবং উচ্চ রক্তচাপ গ্লকোমার অন্যতম কারণ। বিশেষ করে ডায়াবেটিক রেটিনোপ্যাথি থাকলে গ্লকোমার ঝুঁকি দ্বিগুণ। 

৫. দীর্ঘদিন স্টেরয়েড ওষুধ ব্যবহারকারীরা: যারা স্টেরয়েড জাতীয় ওষুধ (আইড্রপ, ইনহেলার বা ট্যাবলেট) দীর্ঘদিন ধরে ব্যবহার করেন, তাদের চোখের চাপ বেড়ে যেতে পারে। এদের নিয়মিত চক্ষু পরীক্ষা করা প্রয়োজন।

৬. চোখের আঘাতপ্রাপ্ত বা অস্ত্রোপচার করা রোগীরা: অতীতে কোনো চোখের আঘাত পেলে বা অস্ত্রোপচার (যেমন ছানি অপারেশন) করলে গ্লকোমার ঝুঁকি বেশি।তাই তাদের নিয়মিত চোখের ডাক্তার দেখানো উচিত।

৭. মাইগ্রেন বা ঘন ঘন মাথাব্যথা থাকলে: গবেষণায় দেখা গেছে, যাদের মাইগ্রেন বা মাথার রক্ত সঞ্চালনে সমস্যা আছে, তাদের গ্লকোমার ঝুঁকি বেশি।

৮. যারা ধূমপান ও মদ্যপান করেন: ধূমপান ও অ্যালকোহল অপটিক নার্ভের ক্ষতি করে এবং গ্লকোমার ঝুঁকি বাড়ায় ।ধূমপায়ীদের জন্য নিয়মিত চক্ষু পরীক্ষা জরুরি।

৯. উচ্চ মায়োপিয়া বা হাইপারোপিয়া (চোখের পাওয়ার বেশি থাকলে): যাদের চশমার পাওয়ার (-৬ বা +৬ এর বেশি) বেশি থাকে, তাদের চোখের গঠন একটু ভিন্ন হয়, যা গ্লকোমার ঝুঁকি বাড়াতে পারে।

এনএআর/

মেডিভয়েসের জনপ্রিয় ভিডিও কন্টেন্টগুলো দেখতে সাবস্ক্রাইব করুন MedivoiceBD ইউটিউব চ্যানেল। আপনার মতামত/লেখা পাঠান [email protected] এ।
  এই বিভাগের সর্বাধিক পঠিত