২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ০৪:৫১ পিএম

অবশেষে ইন্টার্নশিপের সুযোগ পেল কেয়ার মেডিকেলের ৩৬ শিক্ষার্থী

অবশেষে ইন্টার্নশিপের সুযোগ পেল কেয়ার মেডিকেলের ৩৬ শিক্ষার্থী
নভেম্বর ২০২০ এবং মে ২০২১ ফাইনাল প্রফেশনাল পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ৩৬ জন শিক্ষার্থীকে ইন্টার্নশিপ প্রদান করেছে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়।

মেডিভয়েস রিপোর্ট: বেসরকারি কেয়ার মেডিকেল কলেজের ৩৬জন শিক্ষার্থীকে ইন্টার্নশিপ করার সুযোগ দিয়েছে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়। আজ বৃহস্পতিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের উপসচিব মাহবুবা বিলকিস স্বাক্ষরিত এক নোটিসে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়েছে, ‘উপর্যুক্ত বিষয় ও সূত্রের পরিপ্রেক্ষিতে স্থগিতকৃত বেসরকারি কেয়ার মেডিকেল কলেজ ঢাকা হতে নভেম্বর ২০২০ এবং মে ২০২১ ফাইনাল প্রফেশনাল পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ৩৬ জন (২০১৪-২০১৫ শিক্ষাবর্ষের ২ জন ও ২০১৫-২০১৬ শিক্ষাবর্ষের ৩৪ জন) শিক্ষার্থীর ইন্টার্নশিপ অন্য কোনো বেসরকারি মেডিকেল কলেজ থেকে সম্পন্ন করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো। এ বিষয়ে গৃহীত কার্যক্রম সম্পর্কে মন্ত্রণালয়কে অবহিত করার জন্যও সবিনয় অনুরোধ করা হলো।’

এর আগে ইন্টার্নশিপের সুযোগ বঞ্চিত কেয়ার মেডিকেলের ৩৬ চিকিৎসক, গভীর উৎকণ্ঠায় জীবন শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশ করে মেডিভয়েস। সেখানে শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করে বলেন, ‘বিএমডিসির অনুমতি না থাকায় গত অক্টোবরে এমবিবিএস পাস করেও ইন্টার্ন শুরু করতে পারছেন না তারা। কেয়ার মেডিকেল কলেজের ১৫-১৬ সেশনের মোট ৩৬ জন শিক্ষার্থী ইন্টার্ন করতে না পেরে ছয় মাসেরও বেশি সময় দ্বারে দ্বারে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। পাচ্ছেন না কারও স্বতঃস্ফূর্ত সহযোগিতা। এখন তাদের বোবা কান্না ছাড়া কিছুই নেই।’

শিক্ষার্থীরা জানান, বিএমডিসির শর্ত অনুযায়ী, ইন্টার্ন চিকিৎসকদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার মতো মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেই পর্যাপ্ত যন্ত্রপাতি, রোগী ও চিকিৎসক। কলেজটিতে ব্যাপক শিক্ষক সংকট, কলেজ থেকে হাসপাতালের দূরত্ব অনেক। কলেজ হাসপাতালটিতে ২৫০ শয্যা থাকার কথা থাকলেও আছে মাত্র ১৭৯ শয্যা, সংকট রয়েছে আরও ৬১টি শয্যার। এসব কারণে বিএমডিসির অনুমোদন পাচ্ছে না কলেজটি। 

তারা জানান, ২০১৪ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের অনুমোদন নিয়ে শিক্ষার্থী ভর্তি করার সুযোগ পেলেও শুরু থেকেই মেলেনি বিএমডিসির রেজিস্ট্রেশন। যদিও ২০১৪-১৫ সেশনের শিক্ষার্থীদেরকে করোনাসহ বিশেষ মানবিক দিক বিবেচনায় ২০২০ সালে ইন্টার্ন করার সুযোগ দিয়েছিল বিএমডিসি।

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, বিএমডিসির অনুমোদন না থাকার কথা জানার পর পরই অভিভাবকদের নিয়ে কলেজ কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করেন তারা। কর্তৃপক্ষ আশ্বাস দেন, এমবিবিএস শেষ হতে হতে তারা বিএমডিসির অনুমোদন পেয়ে যাবেন। কিন্তু মাস গিয়ে বছর গড়ায় তারপরও তারা অনুমোদন পায়নি। শিক্ষার্থীদের জানানো হয়, হয় অনুমোদন না হয়, অন্য কলেজে মাইগ্রেশনের ব্যবস্থা করে দিবেন কর্তৃপক্ষ এবং এসব বিষয়ে তাদেরকে যথাসম্ভব সহযোগিতা করবেন। কিন্তু সময়ের ব্যবধানে এই অবস্থা থেকে সরে এসেছে কর্তৃপক্ষ। তারা এখন শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের পাত্তাই দিচ্ছে না। শিক্ষার্থীরা বারবার কলেজের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থানা পরিচালকের সাথে যোগাযোগ করেও কোনো ধরনের সহযোগিতা পাচ্ছেন না। এতে ৩৬ জন শিক্ষার্থীর মনে গভীর উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠা তৈরি হয়েছে। অনিশ্চয়তায় পড়েছেন বিএমডিসি অনুমোদিত চিকিৎসক হওয়া নিয়ে।

অবশেষে দীর্ঘ অপেক্ষার পর ইন্টার্নশিপের সুযোগ পাওয়ায় স্বস্তি ফিরেছে সুযোগ পাওয়া ৩৬ নবীন চিকিৎসকের জীবনে।

►নোটিসটি দেখতে ক্লিক করুন

মেডিভয়েসের জনপ্রিয় ভিডিও কন্টেন্টগুলো দেখতে সাবস্ক্রাইব করুন MedivoiceBD ইউটিউব চ্যানেল। আপনার মতামত/লেখা পাঠান [email protected] এ।
  এই বিভাগের সর্বাধিক পঠিত