০৬ অগাস্ট, ২০২১ ০৭:২৫ পিএম

কমিউনিটি বেজড চিকিৎসক তৈরিতে গুরুত্ব দিতে হবে: বিএমডিসি সভাপতি

কমিউনিটি বেজড চিকিৎসক তৈরিতে গুরুত্ব দিতে হবে: বিএমডিসি সভাপতি
অধ্যাপক ডা. মো. সহিদুল্লাহ। ফাইল ছবি

মেডিভয়েস রিপোর্ট: কমিউনিটি বেজড চিকিৎসক তৈরির গুরুত্ব উল্লেখ করে বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিলের (বিএমডিসি) সভাপতি অধ্যাপক ডা. মো. সহিদুল্লাহ বলেন, ‘আমাদের চিকিৎসকরা হাসপাতাল বেজড হয়, আমরা কি কমিউনিকেশন বেজড করেছি? কত কিছু শিখেছি। আজকে উপজেলায় গিয়ে মার খাওয়ার মতো অবস্থা হয়। আমরা এটা ভুলেই গিয়েছি, আমাদেরকে কমিউনিটি বেজড এডুকেশন নেওয়া দরকার।’

রোববার (২৫ জুলাই) বিডি ফিজিশিয়ান্সের এক ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি।

বিএমডিসি সভাপতি বলেন, ‘আগে আটটি সরকারি মেডিকেল কলেজ ছিল। এখন সরকারি মেডিকেল ৪০টি এবং বেসরকারি মেডিকেল ৭০টিরও অধিক। সবাই চায় ছেলেকে চিকিৎসক বানাবে। কিছু ব্যবসায়ী আছেন, তাঁর অনেক টাকা। তার ছেলে বা মেয়ে ডাক্তারিতে কি হবে না না হবে..., চায় একটা সার্টিফিকেট। এই কারণে ভর্তি পরীক্ষার আগে এবং শেষে আমরা তার মার্কসের উপর ভর্তি করে দেই। আমরা কি কখনও দেখেছি, তার আচার-আচরণ কেমন? এগুলো খুবই দরকার।’

তিনি বলেন, ‘শুধুমাত্র  ভর্তি পরীক্ষায় ৭০ বা ৬০ পেলো এটা দেখলে হবে না? তার আচার-আচরণও দেখতে হবে।’

আন্ডারগ্রাজুয়েশনে ভালো করে পড়াশোনার গুরুত্ব বোঝাতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘একটা সিনেমা দেখেছিলাম। সিনেমায় ছিল এক পরিবাবের সবাই খুব দুষ্টু। একজন বলছে, এই পরিবারের সবাই এ রকম হলো কেন? আরেকজন বললো, দেখো তার কাটার মেশিন যদি ভালো না হয়, ফিনিশড প্রোডাক্ট তো এ রকমই হবে। ব্যাপারটা তাই হলো। আন্ডারগ্রাজুয়েট সাথে পোস্ট গ্রাজুয়েট বিশাল লিংক রয়েছে। আন্ডারগ্রাজুয়েট লেখাপড়া থেকে যদি ভালো গ্রাজুয়েট বের না হয়, তাতে পোস্ট গ্রাজুয়েশন ভালো হবে না। এটা সরাসরি সত্য কথা। একটা কথা আছে, বিল্ডিং ব্লক; আপনি যখন ব্লক করবেন শেষ ব্লকটা পোস্ট গ্রাজুয়েশন এডুকেশন হয়ে থাকে। তাহলে সবচেয়ে নিচের ব্লকটা হলো আন্ডারগ্রাজুয়েট এডুকেশন।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের আন্ডারগ্রাজুয়েটে আরেকটা জিনিস শিখানো হয় না, সেটি হলো সফট স্কিলস। লিডারশিপ স্কিলস, ম্যানার স্কিলস, এডুকেশন স্কিলস—এগুলো আমরা নতুনভাবে চালু করেছি। আন্ডারগ্রাজুয়েশনে কোন বর্ষে কতটুকু হবে, তার কনটেন্ট কি এবং তার এসেসমেন্ট যদি না করি, তাহলে হবে না। এসেসমেন্ট না করলে মেডিকেল ইথিক্স পড়বে না। আমরা জানি, কানাডিয়ান পোস্টগ্রাজুয়েশন করতে গেলে মেডিকেল ইথিক্সের উপর ব্যাপক পরীক্ষা দিতে হয়। আজকে সমাজে চিকিৎসকদের মারধর করা হয় কেন? আমরা মেডিকেল ইথিক্স প্রাক্টিস করি না, আমি কাউন্সিলিংও জানি না। নতুন যে, কারিকুলাম হতে যাচ্ছে, আমরা তার উপর ব্যাপক নজর দিয়েছি। আশা করি, এটা যদি তাড়াতাড়ি পাস হয়ে যায়, আমরা ২০২১ সালের নতুন যে কারিকুলাম পাবো সে কারিকুলাম চেষ্টা করা হয়েছে, এগুলোকে অ্যাড্রেস করার।’

এ সময় সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ডা. শারফুদ্দিন আহমেদ, বাংলাদেশ কলেজ অব ফিজিশিয়ানস অ্যান্ড সার্জনসের (বিসিপিএস) সভাপতি অধ্যাপক ডা. কাজী দ্বীন মোহাম্মদ ও সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজের মেডিসিন বিভাগের সাবেক প্রধান অধ্যাপক ডা. মো. রিদওয়ানুর রহমান। 

অধ্যাপক ডা. মো. আব্দুল জলিল চৌধুরীর আলোচনায় সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত এ আলোচনায় অধ্যাপক ডা. টিএ চৌধুরী, অধ্যাপক মো. ডা. সহিদুল্লাহ, অধ্যাপক ডা. সৈয়দ আতিকুল হক, অধ্যাপক ডা. ইসমাইল পাটোয়ারি, ডা. এহসান খান ও ডা. মারগুব হোসেন প্রমুখ। 

মেডিভয়েসের জনপ্রিয় ভিডিও কন্টেন্টগুলো দেখতে সাবস্ক্রাইব করুন MedivoiceBD ইউটিউব চ্যানেল। আপনার মতামত/লেখা পাঠান [email protected] এ।
  এই বিভাগের সর্বাধিক পঠিত
এক দিনে চিরবিদায় পাঁচ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক
করোনা ও বার্ধক্যজনিত অসুস্থতা

এক দিনে চিরবিদায় পাঁচ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক