করোনায় কর্মহীনদের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ
মেডিভয়েস রিপোর্ট: প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ও লকডাউন পরিস্থিতিতে কর্মহীন দুই শতাধিক পরিবারের মাঝে খাদ্য ও স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী বিতরণ করেছে ঢাকাস্থ মাদারীপুর সোসাইটি (ডিএমএস)। আজ শুক্রবার (০৬ আগস্ট) সকাল ১০টার দিকে ঢাকার শাহাজাদপুর খিঁলবাড়িরটেক এলাকায় এসব ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করা হয়।
খাদ্য সামগ্রীর মধ্যে ছিল: পাঁচ কেজি চাল, দুই কেজি আলু, এক কেজি পেঁয়াজ, এক কেজি ডাল, এক কেজি লবণ, এক লিটার তেল এবং দুই কেজি আটা এবং মাস্ক, হ্যান্ড স্যানিটাইজার ও সাবান ইত্যাদি।
এ খাদ্য সামগ্রী বিতরণকালে উপস্থিত ছিলেন ডিএমএসের প্রতিনিধি ও ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের কর্মকর্তা রাকিব হাসান সেলিম। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন প্রাইম গ্রুপের এজিএম মাহাবুব আলম, ঢাকা মহানগর উত্তর ভাটারা থানা সেচ্ছসেবক লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও ব্যবসায়ী এইচ এম বাবুল, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার মুনিরুজ্জামান মুনির, রাজধানী মানিক নগর আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের ভাইস প্রিন্সিপাল ও বাংলাদেশ যুব মহিলা লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ফারহানা আফরোজ রুনা, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ পল্টন থানা সেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সভাপতি ও ব্যবসায়ী বিল্লাল হাওলাদার, নাট্য নির্মাতা আবদুল কুদ্দুস, গুলশান থানা শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. এমারত হোসেন, গার্মেন্টস ব্যবসায়ী মঞ্জু খান, এ্যাপোলো হাসপাতালের ম্যানেজার (প্রশাসন) মাসুম বিল্লাহ্ ও বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মিসেস রেকসনা।
অনুষ্ঠানে ডিএমএসের পক্ষে আরও উপস্থিত ছিলেন কামাল হোসেন, আরিফ হোসেন, ইঞ্জিনিয়ার হোসেন এম বাপ্পি, খন্দকার রাকিব, ইঞ্জিনিয়ার মহব্বত হোসাইন, সাংবাদিক আবু বকর ছিদ্দিক, আবুল কালাম, মোহাম্মদ আবুল বাশার বেপারী, ডা. এম মোস্তাফিজ, এইচ এম বাইজিদ,মো. জীবন, মো. হারুন ও বিপ্লব সেন প্রমুখ।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের কর্মকর্তা রাকিব হাসান সেলিম বলেন, ‘চলমান লকডাউনে সামর্থ্যবানরা ঠিকঠাক চলতে পারলেও দেশের এক বৃহৎ জনগোষ্ঠী চরম ভোগান্তির মধ্যে দিন কাটাচ্ছে। এদের মধ্যে দিনমজুর আর ছিন্নমূল মানুষেরা বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। তাই গতবারের মত এবারও আমাদের সংগঠনটি এসব ছিন্নমূল ও কর্মহীন মানুষদের পাশে এগিয়ে আসার ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় দুঃস্থ ও অসহায় ছিন্নমূল ও কর্মহীন ২০০ পরিবারের মাঝে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করছি। যাতে অসহায় দরিদ্র মানুষগুলো দু’মুঠো খেয়ে দিনযাপন করতে পারে সেই প্রচেষ্টা চালাচ্ছে ‘ঢাকাস্থ মাদারীপুর সোসাইটি’। আর এমনিভাবে প্রতিটি জেলার সচ্ছল মানুষদের নিজ নিজ এলাকা দরিদ্র কর্মহীন মানুষের পাশে দাড়ানো উচিত বলে তিনি মনে করেন। তাদের চলমান সামাজিক এবং মানবিক কার্যক্রমের মাধ্যমে সবাইকে এই বার্তা দিতে চান।’
প্রাইম গ্রুপের এজিএম মাহাবুব আলম বলেন, ‘করোনার এই ক্লান্তিকালে কেউ না খেয়ে থাকবে না। করোনায় জনসমাগমে নিষেধাজ্ঞা থাকায় আমরা সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে সংগঠন ও ব্যক্তির মাধ্যমে বাসায় বাসায় খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দিচ্ছি। লকডাউনে সামান্য এই উপহার দিয়ে মানুষের মুখে হাসি ফোটানোই আমাদের তৃপ্তি। আপনারা শুধু দয়া করে সরকারের নির্দেশনা মেনে চলবেন। আমরা যতদূর সম্ভব, অসহায় মানুষের জন্য সহযোগিতা করে চলেছি।’
ঢাকা মহানগর উত্তর ভাটারা থানা সেচ্ছসেবক লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি এইচ এম বাবুল বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বাস্তবে রুপ দিয়েছেন এবং দেশ ও দেশের মানুষের ভাগ্যোন্নয়নে রাত দিন অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। মহামারি করোনাকালে সারা বিশ্ব যখন হিমশিম খাচ্ছে, সেই সময়েও বাংলাদেশ শক্ত অবস্থানে আছে। আমরা শুধু ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি চর্চা নয়, দরিদ্র মানুষের জন্য কাজ করে যেতে চাই। বৈশ্বিক মহামারী করোনা মোকাবিলা ও চলমান পরিস্থিতিতে ছিন্নমূল ও কর্মহীন মানুষদের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছি।’