০৭ জুন, ২০২০ ১২:০১ পিএম

ঢাকায় করোনা রোগীর সংখ্যা নিয়ে অনড় আইসিডিডিআর,বি

ঢাকায় করোনা রোগীর সংখ্যা নিয়ে অনড় আইসিডিডিআর,বি

মেডিভয়েস রিপোর্ট: প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে শুধুমাত্র ঢাকাতেই এখন পর্যন্ত সাড়ে ৭ লাখের বেশি মানুষ আক্রান্তের সংখ্যা নিয়ে ব্রিটেনের প্রভাবশালী সাময়িকী দ্য ইকোনমিস্টকে দেয়া নিজেদের তথ্যের বিষয়ে অনড় অবস্থানে রয়েছে আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্রের (আইসিডিডিআর,বি)। যদিও তাদের পরিবেশিত তথ্য নিয়ে সরকারসহ দেশের বিভিন্ন মহলে চলছে আলোচনা-সমালোচনা। 

তবে আইসিডিডিআর,বি) নির্বাহী পরিচালকের অভিযোগ, ইকোনমিস্টের প্রতিবেদনে তাদের মূল বক্তব্যকে বিকৃতভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে।

শনিবার (৬ জুন) আইসিডিডিআরবি’র পক্ষ থেকে একটি বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জন ক্লেমেনসের বক্তব্য নিয়ে ব্যাখ্যা তুলে ধরা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ঢাকা শহরের মোট জনগোষ্ঠী এখানকার কর্মীদের মতো ৪ থেকে ৫ শতাংশ হারে আক্রান্ত হয়েছে বলে যদি ধরে নেওয়া হয়, তাহলে ঢাকা শহরের কমপক্ষে সাড়ে ৭ লাখ মানুষ করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হবেন বলে হিসাবে পাওয়া যাবে।

এতে আরো বলা হয়, রাজাধানীর মহাখালীস্থ আইসিডিডিআর,বি ক্যাম্পাসের প্রায় দুই হাজার কর্মী নিয়োজিত রয়েছেন। তাদের চার থেকে পাঁচ শতাংশ সংক্রমিত হয়েছেন, যদিও আইসিডিডিআর,বি ক্যাম্পাস থেকে তাদের সংক্রমিত হওয়ার নজির পাওয়া যায়নি। গোটা ঢাকা শহরে করোনা ভাইরাসের যে সংক্রমণ, আইসিডিডিআর,বি কর্মীদের আক্রান্ত হওয়ার হার তার প্রতিনিধিত্ব করে না। এই হারকে সরলীকরণের মাধ্যমে গোটা ঢাকা শহরের জন্য প্রযোজ্য বিবেচনা করাটাও যৌক্তিক নয় বলে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়।

বক্তব্য বিকৃতের অভিযোগ এনে প্রতিষ্ঠানটি জানায়, বাংলাদেশে করোনা ভাইরাস পরিস্থিতিতে নিয়ে দ্য ইকোনোমিস্টের প্রতিবেদনে আইসিডিডিআরবি’র নির্বাহী পরিচালক ড. জন ক্লেমেনসের মূল বক্তব্যকে যথাযথভাবে উপস্থাপন করা হয়নি।

আইসিডিডিআর,বি’র কোভিড ব্যবস্থাপনার তথ্য তুলে ধরে বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, করোনা মহামারির শুরু থেকেই প্রতিষ্ঠানটিতে কর্মীদের কঠোর নজরদারির মধ্যে রাখা হয়েছিল। জ্বর, কাশি বা শ্বাসকষ্টের মতো উপসর্গ থাকলে কর্মীদের ২৪ ঘণ্টার হটলাইনের মাধ্যমে স্টাফ ক্লিনিকে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে। যাদের এসব উপসর্গ দেখা দিয়েছে, তাদের নিজস্ব ল্যাবে নমুনা পরীক্ষা করানো হয়েছে। আর যারা কোভিডে আক্রান্ত হয়েছেন, তাদের চিকিৎসা দেওয়ার পাশাপাশি আইইডিসিআরের সহায়তায় আইসোলেশন ও কন্টাক্ট ট্রেসিং নিশ্চিত করা হয়েছে।

এর আগে শনিবার (৬ জুন) সংস্করণের ইকোনমিস্টের এক প্রতিবেদনে ‘বাংলাদেশ, ভারত এবং পাকিস্তানে দ্রুত বাড়ছে সংক্রমণ’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। তিন দেশে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তির সংখ্যা নিয়ে প্রশ্ন তুলে ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, এই তিনটি দেশেই করোনায় আক্রান্তের যে সংখ্যা সরকারি পরিসংখ্যানে তুলে ধরা হচ্ছে, বাস্তবে এই ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা আরো অনেক বেশি।

আইসিডিডিআর,বি’র নির্বাহী পরিচালক জন ক্লেমন্সের উদ্ধৃতির বরাত দিয়ে রাজধানী ঢাকায় আক্রান্ত হওয়ার চিত্র তুলে ধরে বলা হয়, এরই মধ্যে সাড়ে সাত লাখেরও বেশি মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়ে থাকতে পারে কেবল ঢাকাতেই। সরকারি তথ্য এই সংখ্যার ধারেকাছেও নেই বলে ওই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।

মেডিভয়েসের জনপ্রিয় ভিডিও কন্টেন্টগুলো দেখতে সাবস্ক্রাইব করুন MedivoiceBD ইউটিউব চ্যানেল। আপনার মতামত/লেখা পাঠান [email protected] এ।
  ঘটনা প্রবাহ : করোনাভাইরাস
  এই বিভাগের সর্বাধিক পঠিত
এক দিনে চিরবিদায় পাঁচ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক
করোনা ও বার্ধক্যজনিত অসুস্থতা

এক দিনে চিরবিদায় পাঁচ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক