১৭ মে, ২০২০ ০৩:০৪ পিএম

নতুন পাঁচ হাজার মেডিকেল টেকনোলজিস্ট নিয়োগ দেওয়া হবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

নতুন পাঁচ হাজার মেডিকেল টেকনোলজিস্ট নিয়োগ দেওয়া হবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক

মেডিভয়েস রিপোর্ট: করোনা সংক্রমণ মোকাবিলায় পাঁচ হাজার মেডিকেল টেকনোলজিস্ট নিয়োগ দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। দ্রুত সময়ের মধ্যে এ নিয়োগ সম্পন্ন হবে জানিয়ে তিনি বলেন, এটি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। 

আজ রোববার (১৭ মে) বেলা সাড়ে ১২টায় রাজধানীর বসুন্ধরা কনভেনশন সেন্টারে দেশে দুই হাজার বেডের কভিড-১৯ ডেডিকেটেড হাসপাতালের উদ্বোধনের সময় এ কথা বলেন তিনি।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, মাত্র ১০ দিনের মধ্যে ২ হাজার চিকিৎসক ও ৫ হাজার নার্স নিয়োগ দেয়া হয়েছে। চিকিৎসা খাতকে আরো শক্তিশালী করতে আরো নতুন অন্তত ৫ হাজার মেডিকেল টেকনোলজিস্ট নিয়োগের কাজ চলমান রয়েছে। খুব দ্রুতই এই টেকনোলজিস্টদের নিয়োগ দেয়া হবে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘করোনা পরীক্ষায় শুরুতে আমাদের ১টি মাত্র ল্যাব ছিলো। সেখানে মাত্র ১৫০টি টেস্ট নিয়ে যাত্রা শুরু করেছিলাম। আর এখন প্রতিদিন আমাদের টেস্ট হয় আট থেকে সাড়ে ৮ হাজার। আমাদের ল্যাবের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪২টিতে। খুব দ্রুতই আরো ১৫টি ল্যাব স্থাপনের প্রস্তুতি চলছে। তাহলে আমাদের টেস্টের সংখ্যাও আরো বেড়ে যাবে।’ 

বসুন্ধরা করোনা ডেডিকেটেড অস্থায়ী হাসপাতালটিকে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম কভিড হাসপাতাল উল্লেখ করে মন্ত্রী আরো বলেন, মাত্র ২০ দিনের মধ্যে এই হাসপাতালটি সরকার প্রস্তুত করতে সক্ষম হয়েছে।এটি বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম কভিড ডেডিকেটেড হাসপাতাল। এখানে অত্যাধুনিক মোট ২০১৩টি আইসোলেটেড শয্যা রয়েছে, যার মধ্যে ৭১টির সাথে অক্সিজেন সিলিন্ডার যুক্ত করা রয়েছে। এছাড়া এখানে আরো অন্তত ৪০০টি পোর্টেবল অক্সিজেন সিলিন্ডার রয়েছে। আইসিইউ ব্যবস্থাসহ এই হাসপাতালটি উন্নত দেশের কোভিড অস্থায়ী হাসপাতালের থেকে কোনো অংশেই পিছিয়ে নেই।

একই সাথে করোনা মোকাবেলায় দেশে এখন প্লাজমা থেরাপির কাজ চলমান রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, আমেরিকার উৎপাদিত ঔষধ রেমডেসিভির এখন দেশেই তৈরি হচ্ছে এবং সরকারের নিকট এই ওষুধ মজুদ করা হচ্ছে।

এছাড়া নন কোভিড হাসপাতালে সাধারণ রোগীদের বাধ্যতামূলক চিকিৎসার জন্য সকল সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালকে চিঠি দেওয়া হয়েছে বলেও জানান মন্ত্রী।এক্ষেত্রে করোনার লক্ষ্মণ থাকলে তার তথ্য গোপন না করতে মানুষের নিকট অনুরোধ করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

লকডাউন শিথিল প্রসঙ্গে জাহিদ মালেক জানান, সরকার প্রথম থেকেই একটি সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনায় কাজ করেছে।যখন লক ডাউন জরুরি ছিল তখনই লক ডাউন করা হয়েছে, যখন শিথিল করা প্রয়োজন তখন স্বাস্থ্যবিধি বজায় রাখা সাপেক্ষে শিথিল করা হয়েছে। সবদিক বিবেচনা করে সরকার যা কিছু করছে তা ভেবেচিন্তেই করছে। মানুষ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে পারলে করোনা মোকাবেলার পাশাপাশি দেশ অর্থনৈতিকভাবে বড় ধরনের ক্ষতি থেকে রেহাই পাবে। এক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে তার সময়োপযোগী সিদ্ধান্তগুলো গ্রহনের জন্য ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

দেশের দুরবস্থায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় যথাযথভাবে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা শুরুতেই একটা সিস্টেম প্রটোকল তৈরি করেছি। সাধারণ জনগণের মধ্যে প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে তাদেরকে সচেতন করার চেষ্টা করছি। এছাড়া আমরা হাসপাতালের ব্যবস্থা করেছি, পরীক্ষার ব্যবস্থা করছি, চিকিৎসকসহ স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য পর্যাপ্ত প্রটেকশানের ব্যবস্থা করেছি।’

স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব আসাদুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যাবস্থাপনা পরিচালক সায়েম সোবহান, স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) হাবিবুর রহমান, অতিরিক্ত সচিব (হাসপাতাল) সিরাজুল ইসলাম, দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিন পত্রিকার সম্পাদক নঈম নিজামসহ অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ।

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের তথ্য ও জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. মাইদুল ইসলাম প্রধান স্বাক্ষরিত এ সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব কথা জানানো হয়।

মেডিভয়েসের জনপ্রিয় ভিডিও কন্টেন্টগুলো দেখতে সাবস্ক্রাইব করুন MedivoiceBD ইউটিউব চ্যানেল। আপনার মতামত/লেখা পাঠান [email protected] এ।
  ঘটনা প্রবাহ : করোনাভাইরাস
  এই বিভাগের সর্বাধিক পঠিত