বিশ্ব কিডনি দিবসে
বিএসএমএমইউর শিশু কিডনি রোগীদের পদ্মা সেতু ভ্রমণ

মেডিভয়েস রিপোর্ট: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) বিশ্ব কিডনি দিবস পালন করা হয়েছে। এ দিবসটি উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিশু কিডনি বিভাগের শিক্ষক চিকিৎসকদের একটি টিম শিশু কিডনি রোগীদের নিয়ে পদ্মা সেতু ভ্রমণ করেছেন।
আজ বৃহস্পতিবার (৯ মার্চ) বিশ্ব কিডনী দিবস উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বর্ণাঢ্য র্যালি ও পদ্মা সেতু ভ্রমণসহ নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে দিবসটি পালন করে বিএসএমএমইউ।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর (ভিসি) অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ শিশু কিডনি রোগীদের রোগ প্রতিরোধের উপর গুরুত্বারোপ করেন ও করোনা মহামারীর সময়ে শিশু কিডনি রোগীদের হেমোডায়ালাইসিস সেবা প্রদান করাসহ কিডনি ট্রান্সপ্ল্যান্ট কার্যক্রম অব্যাহত রাখায় এই বিভাগের শিক্ষক চিকিৎসকদের ধন্যবাদ জানান।
শিশু কিডনি রোগীদের চিকিৎসার সুবিধার্থে হেমোডায়ালাইসিস সেবা সম্প্রসারণের জন্য প্রয়োজনীয় জায়গা বরাদ্দদানের আশ্বাস দেন তিনি।
অনুষ্ঠানে প্রো- ভাইস চ্যান্সেলর (একাডেমিক) অধ্যাপক ডা. একেএম মোশাররফ হোসেন, ডিন অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ হোসেন, ডিন অধ্যাপক ডা. রনজিত রঞ্জন রায়, নাক কান গলা বিভাগের অধ্যাপক ডা. এএইচএম জহুরুল হক সাচ্চু, শিশু কিডনি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. আফরোজা বেগম, অধ্যাপক ডা. গোলাম মাঈনউদ্দিন, অধ্যাপক ডা. সৈয়দ সাইমুল হক প্রমুখসহ বিভাগীয় শিক্ষক, চিকিৎসকরা উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় তারা বলেন, বিশ্বে বর্তমানে প্রায় ৮৫০ মিলিয়ন মানুষ কিডনি রোগে আক্রান্ত এবং প্রতি বছর কিডনি রোগে মারা যায় ৪১ লাখ মানুষ। এছাড়া বাংলাদেশে বর্তমানে ২ কোটি মানুষ কিডনি রোগে ভুগছে। তার মধ্যে ৪০-৫০ লাখ শিশু কিডনি রোগে ভুগছে।
তারা আরও বলেন, বাংলাদেশে শিশু কিডনি রোগীদের চিকিৎসার যাত্রা শুরু হয় ১৯৮২ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব বিশ্ববিদ্যালয়ের শিশু বিভাগের একটি ইউনিটে ৮টি শয্যা নিয়ে এবং ওই সময়েই প্রথম পেরিটোনিয়াল ডায়ালাইসিস শুরু হয়। প্রথম কিডনি বায়োপসি করেছিলেন অধ্যাপক মনিমুল হক। এরপর নানা সীমাবদ্ধতার মধ্য দিয়েও এই বিভাগ শিশু কিডনি রোগীদের চিকিৎসা দিয়ে থাকে। এরই ধারাবাহিকতায় ২০০৪ সালে প্রথম পেডিয়াট্রিক্স হিমোডায়ালাইসিস শুরু হয় এবং ২০০৬ সালে প্রথম শিশুদের কিডনি প্রতিস্থাপন করে।