২৭ জুলাই, ২০২২ ১১:০৫ এএম

দেশের জনসংখ্যা ১৬ কোটি ৫১ লাখ ৫৮ হাজার ৬১৬

দেশের জনসংখ্যা ১৬ কোটি ৫১ লাখ ৫৮ হাজার ৬১৬
শুমারির তথ্যানুযায়ী দেশে জনসংখ্যার বার্ষিক গড় বৃদ্ধির হার কমছে।

মেডিভয়েস রিপোর্ট: এবারের জনশুমারি ও গৃহগণনা-২০২১ অনুযায়ী দেশে মোট জনসংখ্যা ১৬ কোটি ৫১ লাখ ৫৮ হাজার ৬১৬ জন। যা ১০ বছর আগে অর্থাৎ ২০১১ সালে ছিল ১৪ কোটি ৪০ লাখ ৪৩ হাজার ৬৯৭ জন। অর্থাৎ গত ১০ বছরে দেশের জনসংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে ২ কোটি ১১ লাখ ১৪ হাজার ৯১৯ জন।

বুধবার (২৭ জুলাই) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) প্রথম ডিজিটাল ‘জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২২’-এর প্রাথমিক প্রতিবেদন প্রকাশনা অনুষ্ঠানে এ এ তথ্য জানানো হয়।

মাঠ পর্যায়ে মূল শুমারি শেষ হওয়ার মাত্র এক মাসের মাথায় প্রাথমিক রিপোর্ট করল বিবিএস।

১০ বছর অন্তর অন্তর দেশের জনসংখ্যা গণনা করার কথা থাকলেও এবারের জনশুমারি অনাকাঙ্ক্ষিত কোভিড-১৯ সহ প্রথম প্রকল্প পরিচালকের অবসরে যাওয়া এবং দ্বিতীয় প্রকল্প পরিচালকের (পিডি) অদক্ষতার কারণে ২০২১ সালের জনশুমারি বার বার পিছিয়ে যায়। তবে বর্তমান পিডি মো. দিলদার হোসেন দায়িত্ব নেওয়ার পরই গতি পায় জনশুমারি কার্যক্রম।

বিবিএস প্রতিবেদনে দেখা যায়, ২০০১ সালে ছিল দেশে জনসংখ্যা ছিল ১২ কোটি ৪৩ লাখ ৫৫ হাজার ২৬৩ জন। ১৯৯১ সালে ছিল ১০ কোটি ৬৩ লাখ ১৪ হাজার ৯৯২ জন। ১৯৮১ সালে ছিল ৮ কোটি ৭১ লাখ ১৯ হাজার ৯৬৫ জন এবং ১৯৭৪ সালের প্রথম শুমারিতে দেশে জনসংখ্যা ছিল ৭ কোটি ১৪ লাখ ৭৯ হাজার ৭১ জন।

শুমারির তথ্যানুযায়ী দেশে জনসংখ্যার বার্ষিক গড় বৃদ্ধির হার কমছে। এবারের শুমারি অনুযায়ী জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ১.২২ শতাংশ। যা ২০১১ সালে বৃদ্ধির হার ছিল ১.৪৬ শতাংশ, ২০০১ সালে ছিল ১.৫৮ শতাংশ, ১৯৯১ সালে ছিল ২.০১ শতাংশ, ১৯৮১ সালে ছিল ২.৮৪ শতাংশ। অর্থাৎ শুমারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত ক্রমান্বয়ে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার কমছে।

এবারের জনশুমারি অনুযায়ী দেশে মোট পুরুষের সংখ্যা ৮ কোটি ১৭ লাখ ১২ হাজার ৮২৪ জন, নারী ৮ কোটি ৩৩ লাখ ৪৭ হাজার ২০৬ জন এবং তৃতীয় লিঙ্গের জনসংখ্যা ১২ হাজার ৬২৯ জন। জনশুমারি অনুযায়ী দেশে পুরুষের তুলনায় নারীর সংখ্যা বেশি।

মেডিভয়েসের জনপ্রিয় ভিডিও কন্টেন্টগুলো দেখতে সাবস্ক্রাইব করুন MedivoiceBD ইউটিউব চ্যানেল। আপনার মতামত/লেখা পাঠান [email protected] এ।
  এই বিভাগের সর্বাধিক পঠিত
এক দিনে চিরবিদায় পাঁচ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক
করোনা ও বার্ধক্যজনিত অসুস্থতা

এক দিনে চিরবিদায় পাঁচ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক