১৭ মে, ২০২২ ০৬:২০ পিএম

‘উচ্চরক্তচাপের ঝুঁকিতে পঞ্চাশোর্ধ্বরা’

‘উচ্চরক্তচাপের ঝুঁকিতে পঞ্চাশোর্ধ্বরা’
অধ্যাপক ডা. মো. রোবেদ আমিন বলেন, যথাযথ প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নেওয়া গেলে ৮০ শতাংশ হার্ট অ্যাটাক, ৭৩ শতাংশ ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।

মেডিভয়েস রিপোর্ট: উচ্চরক্তচাপ রোগীদের নিয়মিত ওষুধ খেতে হবে এবং স্বাস্থ্যসম্মত জীবনযাপন করতে হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অসংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার (এনসিডিসি) পরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. রোবেদ আমিন।

বিশ্ব উচ্চরক্তচাপ দিবস ২০২২ উপলক্ষে সোমবার (১৬ মে) রাজধানীর তেজগাঁওয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এনসিডিসি আয়োজিত গোলটেবিল আলোচনায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনায় এসব তথ্য তুলে ধরেন তিনি।

অধ্যাপক ডা. রোবেদ আমিন বলেন, যথাযথ প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নেওয়া গেলে ৮০ শতাংশ হার্ট অ্যাটাক, ৭৩ শতাংশ ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। এসবের মাধ্যমে ঝুঁকি এবং ব্যয় কমিয়ে আনা সম্ভব হবে।

তিনি আরও বলেন, ‘আমাদেরকে প্রতিরোধের বিষয়ে আন্তরিকতার ওপর গুরুত্বারোপ করতে হবে। এর মধ্যে রয়েছে স্বাস্থ্য বিষয়ে যথাযথ মনিটরিং। এজন্য অনেক অর্থ ব্যয় করতে হবে। এতে আমাদের স্বাস্থ্য খাতের জন্য ভালো পরিকল্পনা গ্রহণ করা সম্ভব হবে।’

তিনি আরও বলেন, অসংক্রামক রোগ আর সংক্রামক রোগের মধ্যে পার্থক্য হচ্ছে, অসংক্রামক রোগের কোনো ভ্যাকসিন নেই। তবে ৪-৫টি রিস্ক ফ্যাক্টর আছে। এগুলো চিহ্নিত করতে পারলে, অসংক্রমক রোগ প্রতিরোধ করা যাবে।

ডা. রোবেদ আমিন বলেন, উচ্চরক্তচাপের রোগীদের হৃদয়কে ভালোবাসতে হবে। সুযোগ পেলেই একটি হেলথ সেন্টারে রক্তচাপ মাপতে হবে। উচ্চরক্তচাপ একটি নীরব ঘাতক। কারণ প্রথম দিকে এর কোনো লক্ষণ দেখা না গেলেও যখন এর লক্ষণ প্রকাশ পায়, তখন এটিজটিলতা হয়ে যেতে পারে।

তিনি বলেন, ‘আমরা স্থানীয় পর্যায়ে উচ্চরক্তচাপ শনাক্তকরণের পর্যায়ে পৌঁছাইনি, তবে সারা দেশে বাড়ি বাড়ি গিয়ে স্ক্রিনিং করার চেষ্টা করছি। কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোয় রক্তচাপ মেশিন দেওয়া হচ্ছে। তারা প্রাথমিকভাবে দেখছেন এবং উচ্চরক্তচাপ ও রক্তে সুগার পেলে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এনসিডিসি কর্নারে পাঠাচ্ছেন এবং সেখানে পুনরায় পরীক্ষা করে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।’

তিনি আরও বলেন, যাদের ৫০ বয়সের অধিক। তারা উচ্চরক্তচাপের ঝুঁকিতে রয়েছে। অর্থাৎ ঝুঁকিপূর্ণ পর্যায়ে থাকে। বংশে উচ্চরক্তচাপ থাকলে, পরবর্তী প্রজন্মের হতে পারে। কিন্তু এটা বড় ফ্যাক্টর নয়। আসল ফ্যাক্টর হচ্ছে, খাবারে অতিরিক্ত লবণ, স্থূলতা, ধূমপান, তামাক জাতীয় দ্রব্য, শারীরিক পরিশ্রম না করা, মানসিক চাপে থাকা এবং প্রেগন্যান্সি ইত্যাদি। উচ্চরক্তচাপ হৃদরোগ, স্ট্রোক, কিডনি রোগ, পক্ষাঘাত, অন্ধত্বসহ অনেক রোগের ঝুঁকিপূর্ণ উপাদান।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবীরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি, জাতীয় অধ্যাপক ব্রিগেডিয়ার (অব.) আব্দুল মালিক, বিশেষ অতিথি ছিলেন দৈনিক সমকাল পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মোজাম্মেল হোসেন।

প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) কার্ডিওলজি বিভাগের হল প্রভোস্ট, হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. এস এম মোস্তফা জামান।

  এই বিভাগের সর্বাধিক পঠিত
এক দিনে চিরবিদায় পাঁচ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক
করোনা ও বার্ধক্যজনিত অসুস্থতা

এক দিনে চিরবিদায় পাঁচ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক