‘ভারতীয় ধরনের আক্রমণ ক্ষমতা ২০ গুণ বেশি’
মেডিভয়েস রিপোর্ট: ভারতীয় ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের আক্রমণ ক্ষমতা আগের ধরনের চেয়ে ২০ গুণ বেশি বলে মন্তব্য করেছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) সাবেক ভাইস চ্যান্সেলর (ভিসি) অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া।
বুধবার (৩০ জুন) দুপুরে মেডিভয়েসকে এসব তথ্য জানান তিনি।
অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বলেন, করোনার আগের যে ধরন ছিল, সেটার সংক্রমণ কমে গেছে। এখন ৮০ শতাংশ করোনার ধরন ভারতীয়। এই ধরনের সংক্রমণ ক্রমে বাড়তেই থাকবে। এটার আক্রমণের ক্ষমতা আগের ধরনের চেয়ে ২০ গুণ বেশি এবং এটা মারাত্মক। এর চেয়ে আরও মারাত্মক ডেল্টা প্লাস ভ্যারিয়েন্ট। এজন্য ভারতীয় সীমান্ত বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। যথাযথভাবে যদি সীমান্ত বন্ধ করা না যায়, তাহলে আমাদেরকে চরম খেসারত দিতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী গতকাল (২৯ জুন) ঘোষণা দিয়েছেন, উনি টিকার ব্যবস্থা করে ফেলেছেন। এজন্য উনাকে আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ। আমরা যদি ৭০ শতাংশ জনগণকে টিকা দিতে না পারি। তাহলে একটার পর একটা ঢেউ আসতেই থাকবে। আর আমাদের অবস্থা খারাপ করে ফেলবে। আমাদের করোনায় যে স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা আছে, আমেরিকার মত উন্নত রাষ্ট্রও করোনার রোগীদেরকে যথাযথ চিকিৎসা দিতে পারেনি। কারণ বুঝে উঠার আগে হাসপাতালগুলো রোগী দিয়ে ভরে যায়।’
অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বলেন, ‘আমাদের করোনার যে রিসোর্স আছে, প্রথম যখন শুরু হয়েছিল তার থেকে উন্নত হলেও এখন পর্যন্ত করোনার যেকোনো ঢেউ সামলানোর সক্ষমতা আমাদের নাই। সেজন্য সংক্রমণ কম যাতে হয়, এজন্য আমাদেরকে প্রচেষ্টা চালাতে হবে। সরকারের সাথে আমাদের নাগরিকদেরও উদ্বুদ্ধ হওয়া উচিত। মাস্ক পড়া, স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলা, হ্যান্ড স্যানিটাইজার করা। মাস্কও এক ধরনের ভ্যাকসিন। যারা স্বাস্থ্যবিধি না মেনে দুই ডোজ ভ্যাকসিন নিচ্ছেন তারাও কিন্তু করোনায় আক্রান্ত হচ্ছে। তাই স্বাস্থ্যবিধি না মেনে আত্মতুষ্টিতে ভোগার কোনো কারণ নেই।’
-
২৭ ডিসেম্বর, ২০২১
-
২৪ ডিসেম্বর, ২০২১
-
১৩ ডিসেম্বর, ২০২১
-
০৫ অগাস্ট, ২০২১
-
২৮ জুলাই, ২০২১
-
২৬ জুলাই, ২০২১
-
১৩ জুলাই, ২০২১
-
০৮ জুলাই, ২০২১
-
০৩ জুলাই, ২০২১