চিকিৎসক নিরাপত্তা: প্রাসঙ্গিক কিছু কথা

কিছু দিন পর পর দেশের চিকিৎসকরা বিভিন্ন জায়গায় মার খেয়ে যাচ্ছেন। এসবের কিছু ঘটনা মামলা পর্যন্ত গড়ায়, ব্যস এতটুকুই। এরপর স্মৃতির অতলে হারিয়ে যায় প্রতিটি ঘটনা। অধিকাংশ সিনিয়রেরা মিউচুয়াল করে দেন। ডাক্তারদের মারলে কিছু হয় না, এই দৃষ্টিভঙ্গির কারণে দিন দিন এসব ঘটনা বেড়েই যাচ্ছে!
কেউ দাবি করবে না যে, বাংলাদেশে ডাক্তারদের পক্ষ থেকে অবহেলা একদম হয় না কিংবা তাঁদের কোনও ভুল নেই। কিন্তু ভুল হলেও কি একজন ডাক্তারকে এভাবে দল বেঁধে মারা জায়েজ? কিন্তু পুলিশ এভাবে ষষ্ঠ গ্রেডের অফিসারকে টেনেহিঁচড়ে নিয়ে যাবে।
দেশে এখন রেজিস্টার্ড চিকিৎসক এক লাখের কাছাকাছি। এতবড় একটা পেশাজীবী গোষ্ঠী এ রকম নখদন্তহীন হয়ে চেয়ে থাকে। মারের পর মার খেয়েই যাচ্ছে।
… তো যারা কেবলই চাকরি শুরু করেছেন, যাদের আরও অনেক বছর চাকরি করতে হবে, আপনারা নিজেদের স্বার্থে রাস্তায় নামুন। না হয় পরবর্তী ঘটনার শিকার হয়ত আপনিই হবেন!
বেসরকারি বাদই দিলাম, এখন দেশে সরকারি চিকিৎসকের সংখ্যাও অনেক, এক ৩৯ বিসিএসেই তো অনেক। সুতরাং সবাই এক হওয়ার এখনই সময়!
দাবি কিন্তু হতে হবে একটাই। এক দফা এক দাবি—কর্মস্থলে নিরাপত্তা চাই। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত কর্মবিরতি। সরকারি বেসরকারি সব পর্যায়ে তার বাস্তবায়ন করতে হবে। কোনও আপোস করা যাবে না। কোনও নেতার কথায় আশ্বস্ত হওয়া যাবে না। যতদিন আইন পাস করে নিরাপত্তার বিধান না করা হয় ততদিন কর্মবিরতি চলবে।
প্রতিটি হাসপাতালে চিকিৎসকের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্যে পুলিশ/আনসার নিয়োগ দিতে হবে। চিকিৎসকের উপর কোনও হামলা হলে দ্রুতবিচার ট্রাইব্যুনালের মাধ্যমে বিচার সম্পন্ন করতে হবে।
নেতা কিংবা সংগঠন দিয়ে কোনও বৃহত্তর আন্দোলন সম্ভব হবে না। স্বতঃস্ফূর্তভাবে সবার নামতে হবে রাস্তায়। না হয় ডাক্তার হওয়ার আগে মাইর খাওয়ার প্রস্তুতি নিয়ে রাখতে হবে।
দেশের হাসপাতালগুলোর প্রাণ ইন্টার্নরা চিকিৎসকরা! সবার উচিত সম্মিলিত কর্মবিরতিতে যাওয়া। ক্ষেত্র বিশেষে কিছু ইমার্জেন্সি খোলা রাখা যেতে পারে। কিন্তু রেগুলার সব চিকিৎসা বন্ধ রাখতে হবে। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যেতে হবে।
আন্দোলনের লাঠির আঘাতে হয়তো প্রাণে বেঁচে থাকবেন, কিন্তু হাসপাতালে গণপিটুনিতে বেঁচে থাকার সম্ভাবনাও ক্ষীণ! তাই সিদ্ধান্ত আপনার। এখন নামবেন রাস্তায়, নাকি সোশ্যাল নেটওয়ার্কসে গ্রুপ গরম করবেন।
পাবলিক পারসেপশন এমনিতেই ডাক্তারবিরোধী! গণমাধ্যমে নানান মিথ্যা ও অর্ধসত্য মিশ্রিত সংবাদে ডাক্তারদের সবসময় ভিলেন হিসেবে উপস্থাপন কর হয়। এসব নিউজ ব্যাপক পাঠকপ্রিয়তাও পায়। তাই কারও সংহতির আশা না করে, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত কর্মবিরতি চলুক…
এবার, না হয় কখনও নয়! জাগো হে বাহে…।
-
২১ ফেব্রুয়ারী, ২০২১
-
২৬ জানুয়ারী, ২০২১
-
১৬ জানুয়ারী, ২০২১
-
১১ জানুয়ারী, ২০২১
-
০৫ জানুয়ারী, ২০২১
-
৩১ ডিসেম্বর, ২০২০
ফিরে দেখা ২০২০
অরক্ষিত কর্মস্থল, একের পর এক হামলায় উদ্বিগ্ন চিকিৎসক সমাজ
-
৩০ ডিসেম্বর, ২০২০
কোনো কর্মসূচিতে অংশ না নিতে চিকিৎসকদের প্রতি আহ্বান
জামালপুরের ঘটনায় জড়িতদের বিচার দাবি বিএমএ’র
-
৩০ ডিসেম্বর, ২০২০
-
২৯ ডিসেম্বর, ২০২০
জামালপুরে চিকিৎসক নিগ্রহ
জড়িতদের শাস্তির দাবিতে তৃতীয় দিনের মতো কর্মবিরতি
-
২৮ ডিসেম্বর, ২০২০
