‘২১ থেকে ২৫ জানুয়ারির মধ্যে দেশে ভ্যাকসিন আসবে’
মেডিভয়েস রিপোর্ট: ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটের উৎপাদিত করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন আগামী ২১ থেকে ২৫ জানুয়ারির মধ্যে যেকোনও সময় দেশে আসবেই বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম।
আজ সোমবার (১১ জানুয়ারি) বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদফতরের সম্মেলন কক্ষে করোনার ভ্যাকসিন বিষয়ে এক ব্রিফিংয়ে তিনি এসব তথ্য জানান।
তিনি বলেন, সেরাম ইনস্টিটিউটের সঙ্গে বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসের চুক্তি হয়েছে। বেক্সিমকো আমাদের জানিয়েছে, সেরাম ইনস্টিটিউট আমাদেরকে ভ্যাকসিন দিতে সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে। ২১ থেকে ২৫ তারিখের মধ্যেই আমরা ভ্যাকসিন পেয়ে যাব। এছাড়া ২৬ জানুয়ারি থেকে রেজিস্ট্রেশন শুরু হবে।
তিনি বলেন, ভ্যাকসিন আসার দুই দিন পর বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসের ওয়ার হাউস থেকে তা বিভিন্ন জেলায় পাঠানো হবে। যা এক সপ্তাহের মধ্যেই প্রয়োগ শুরু হবে।
আগে সিদ্ধান্ত ছিল প্রথম ডোজের পর দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হবে ২৮ দিন পর। এই সে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হবে ৮ থেকে ১২ সপ্তাহ পর।
এ বিষয়ে এবিএম খুরশীদ আলম বলেন, এর আগে আমাদের জানানো হয়েছিল প্রথম ডোজ দেওয়ার ২৮ দিন পর দ্বিতীয় ডোজ দিতে হবে। তবে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রেজেনেকার নতুন তথ্য অনুযায়ী, প্রথম ডোজ দেওয়ার দুই মাস পর দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া যাবে। গতকাল নতুন নিয়ম জানার পর আমরা পরিকল্পনায় পরিবর্তন এনেছি। এ কারণে প্রথম মাসেই একসঙ্গে ৫০ লাখ মানুষকে টিকা দেওয়া হবে। প্রথম যে ৫০ লাখ টিকা আসবে তা দিয়ে দেওয়া হবে। দুই মাসের আরও টিকা চলে আসবে।
সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা এবং অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা বক্তব্য রাখেন।
এর আগে মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিবের বরাত দিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম জানিয়েছেন, ‘ভ্যাকসিন নিয়ে আলোচনা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব এটা কো-অর্ডিনেট করছেন। আজকে হয়তো ওনারা সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেবেন।’
ভ্যাকসিন কবে আসবে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এ মাসের মধ্যেই চলে আসবে, এটা আজকে মিটিংয়ে বলা হয়েছে। কিন্তু যেহেতু জিনিসটা ফাইনাল হয়নি, তিনি বলেছেন যে, আশা করছি এ মাসের শেষের দিকেই চলে আসবে।’
এদিকে দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত আরও ২২ রোগীর মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে ভাইরাসটিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল সাত হাজার ৮০৩ জনে।
এ সময়ে নতুন করে ৮৪৯ জনের শরীরে প্রাণঘাতী এ ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এর মাধ্যমে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ৫ লাখ ২৩ হাজার ৩০২ জনে দাঁড়িয়েছে।
-
০৮ জুলাই, ২০২১
-
২৮ ডিসেম্বর, ২০২০