২৮ ডিসেম্বর, ২০২০ ০৬:১৫ পিএম

নিজেরা তৈরি করতে পারলে সবাই ভ্যাকসিন পেত: জাফরুল্লাহ

নিজেরা তৈরি করতে পারলে সবাই ভ্যাকসিন পেত: জাফরুল্লাহ
ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী।

মেডিভয়েস রিপোর্ট: করোনাভাইরাস প্রতিরোধে ভ্যাকসিনের পিছনে না ছুটে নিজেদেরকে ভ্যাকসিন তৈরির ব্যাপারে মনোযোগী হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী।

আজ সোমবার (২৮ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর ধানমণ্ডিতে গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে ‘শীতকালে করোনা প্রতিরোধ ও করণীয় এবং শীতবস্ত্র বিতরণে বিত্তবানদের এগিয়ে আসার আহ্বান’ শীর্ষক আলোচনায় এসব কথা বলেন তিনি।

ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‘অনেকদিন থেকেই শুনছি ভ্যাকসিন আসবে। কিন্তু ভ্যাকসিন আসলে কে কয়টা পাবেন, সেটা আপনারা দেখেছেন। ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে এ কাজে সম্পৃক্ত করা হলে অক্সফোর্ডের সহায়তায় আমরাই ব্যাপক আকারে ভ্যাকসিন তৈরি করতে পারতাম।’

তিনি আরও বলেন, ‘অক্সফোর্ডে পেনিসিলিন আবিষ্কৃত হয়েছিল। তারা এটাকে প্যাটেন্ট করেনি, জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত রেখেছিল। পেনিসিলিন যে পাত্রে আবিষ্কার করা হয়েছিল, তার একটি পাত্র তারা গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রকে দান করেছিল। প্রতীকী অর্থে তারা বলতে চেয়েছিল গণস্বাস্থ্যও যেন এসব কাজে সম্পৃক্ত থাকে। আমি নিশ্চিত ড. ইউনুস এবং অন্যান্য নোবেল লরিয়েটরা যদি অক্সফোর্ডকে বলতো, তোমরা অতীতের মতো সহযোগিতা করো, তাহলে আমরা দেশেই করোনার ভ্যাকসিন তৈরি করতে পারতাম।’

এ সময় দেশীয় গ্লোবের করোনার ভ্যাকসিন এগিয়ে রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমরাও ইচ্ছা করলে ভ্যাকসিন তৈরি করতে পারি। তাহলে পর্যাপ্ত ভ্যাকসিন তৈরি হতো। দেশের প্রতিটা লোক ভ্যাকসিন পেত।’

তিনি বলেন, ‘আমরাই বিশ্বের প্রথম মার্চ মাসে অ্যান্টিবডি কিট আবিষ্কার করেছিলাম। শেখ মুজিবুর রহমান বেঁচে থাকলে জড়িয়ে ধরে বলতো, জাফরুল্লাহ জবর কাজ করেছো। কিন্তু সরকার প্রতিটা পদে পদে আমাদের কাঁটা বিছিয়েছে। এখনও আমরা অ্যান্টিবডি কিটের অনুমোদন পায়নি। এরপর অনেক দেশ অ্যান্টিবডি কিট উৎপাদন করেছে। আমাদের কিটের অনুমোদন দিলে দেশ আর্থিকভাবে লাভবান হতো। অ্যান্টিবডি কিট আবিষ্কার করতে আমাদের ১০ কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে। এ ১০ কোটি টাকা দিয়ে আমরা অনেক বেশি গরিব মানুষকে সাহায্য সহযোগিতা করতে পারতাম।’

গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের অ্যান্টিজেন কিট তৈরির প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের বিজ্ঞানী ড. বিজন কুমার শীল অ্যান্টিজেন কিট আবিষ্কার করলো। সরকার আমাদের কন্ডিশন দিল এ কিট আমেরিকা থেকে পরীক্ষা করিয়ে আনতে হবে। এতে আরও তিন কোটি টাকার প্রয়োজন। এমন নিয়ম থাকলে বাংলাদেশে ওষুধ নীতি হতো না। বাংলাদেশ পৃথিবীর প্রথম শ্রেণীর ঔষধ উৎপাদনকারী দেশ হতে পারতো না।’

গণস্বাস্থ্যের প্রেস উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম মিন্টুর পরিচালনায় সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. মঞ্জুর কাদির আহমেদ ও ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া।

মেডিভয়েসের জনপ্রিয় ভিডিও কন্টেন্টগুলো দেখতে সাবস্ক্রাইব করুন MedivoiceBD ইউটিউব চ্যানেল। আপনার মতামত/লেখা পাঠান [email protected] এ।
  এই বিভাগের সর্বাধিক পঠিত
এক দিনে চিরবিদায় পাঁচ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক
করোনা ও বার্ধক্যজনিত অসুস্থতা

এক দিনে চিরবিদায় পাঁচ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক