বিশেষ বিসিএসের মাধ্যমে চিকিৎসক নিতে বিধিমালা সংশোধন
মেডিভয়েস রিপোর্ট: বিশেষ বিসিএস থেকে চিকিৎসক নিয়োগের ক্ষেত্রে বিধিমালা সংশোধন করেছে সরকার। এ বিষয়ে একটি প্রজ্ঞাপনও জারি করা হয়েছে।
বুধবার বিজি প্রেসের ওয়েবসাইটে এই প্রজ্ঞাপনের কপি প্রকাশ করা হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, জরুরি চিকিৎসক নিয়োগের ক্ষেত্রে এই বিধিমালা বা আপাতত বলবৎ অন্য কোনও বিধিমালাতে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, সরকার জনগণের স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিতের লক্ষ্যে সংশোধিত নিয়ম অনুযায়ী পরিক্ষার মাধ্যমে বিসিএস (স্বাস্থ্য) ক্যাডারের এন্ট্রি লেভেল পদে এককালীন নিয়োগ প্রদান করতে পারবে।
সংশোধিত নিয়মের মধ্যে রয়েছে, লিখিত পরীক্ষা (এমসিকিউ টাইপ) ২০০ নম্বরের, মৌখিক পরীক্ষা ১০০ নম্বরসহ মোট ৩০০ নম্বরের হবে।
এছাড়া লিখিত পরীক্ষায় সাতটি বিষয়ের জন্য সময় নির্ধারণ করা হয়েছে দুই ঘণ্টা। এর মধ্যে মেডিকেল সায়েন্সে ১০০ নম্বর, বাংলা, ইংরেজি, বাংলাদেশ বিষায়াবলি এবং আন্তর্জাতিক বিষয়াবলিতে ২০ নম্বর করে। মানসিক দক্ষতা ও গাণিতিক যুক্তিতে ১০ নম্বর করে থাকবে।
এর আগে ৩৯তম বিসিএসে (বিশেষ) ২০০ নম্বরের এমসিকিউ এবং ১০০ নম্বরের মৌখিক পরীক্ষা নিয়ে পাঁচ হাজারের মতো চিকিৎসক নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল।
করোনাভাইরাস বিস্তারের পর চিকিৎসক–সংকটের কারণে আক্রান্ত ব্যক্তিদের চিকিৎসা ও অন্য রোগীদের চিকিৎসা দিতে হিমশিম খাচ্ছে হাসপাতালগুলো। আক্রান্ত হয়েছেন চিকিৎসকও। এ সময় প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদন সাপেক্ষে স্বাস্থ্য থেকে পিএসসিতে চিকিৎসক ও নার্স নিয়োগের চাহিদাপত্র পাঠানো হয়।
২০১৮ সালের ১০ এপ্রিল চিকিৎসকদের জন্য ৩৯তম বিশেষ বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়। ওই বছরের ৩ আগস্ট প্রিলিমিনারি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এতে ৩৭ হাজার ৫৮৩ জন অংশ নেন। পরীক্ষায় পাস করেন ১৩ হাজার ৭৫০ জন চিকিৎসক। চূড়ান্ত মৌখিক পরীক্ষার পর ৮ হাজার ৩৬০ জন উত্তীর্ণ হন। সেখান থেকে ৪ হাজার ৭৯২ জন চিকিৎসককে নিয়োগের সুপারিশ করে পিএসসি।
গত বছরের নভেম্বর মাসে তাঁদের মধ্য থেকে ৪ হাজার ৪৪৩ জনকে স্বাস্থ্য ক্যাডারে নিয়োগ দিয়ে আদেশ জারি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। বাকিরা অপেক্ষমাণ তালিকায় ছিলেন। ওই তালিকা থেকে এ বছরের ১২ ফেব্রুয়ারি ওই ৫৩৫ জন চিকিৎসককে মেডিকেল অফিসার হিসেবে পরিবার পরিকল্পনা কল্যাণ অধিদপ্তরে নিয়োগের সুপারিশ করা হয়েছিল।
এ ছাড়া আরও ২৯ জনকে অন্যান্য দপ্তরে নিয়োগের সুপারিশ করা হয়। সরকার নতুন করে দুই হাজার চিকিৎসক নিয়োগের সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে পিএসসি নন-ক্যাডারে সুপারিশপ্রাপ্ত ৫৬৪ জনের নিয়োগ বাতিল করে দেয়।
-
০৯ জুলাই, ২০২৩
-
১৫ মে, ২০২৩
-
০৯ মে, ২০২৩
-
১৭ জানুয়ারী, ২০২৩
-
২৭ ডিসেম্বর, ২০২২
-
১৩ ডিসেম্বর, ২০২২
-
১২ অক্টোবর, ২০২২
-
০৪ সেপ্টেম্বর, ২০২২
-
১৬ অগাস্ট, ২০২২