হার্ড ইমিউনিটির চিন্তা করা অনৈতিক: বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা
মেডিভয়েস ডেস্ক: বৈশ্বিক মাহামারী করোনাভাইরাস প্রতিরোধে ‘হার্ড ইমিউনিটি’ বৈজ্ঞানিক ও নৈতিকভাবে সমস্যাযুক্ত। মহামারী প্রতিরোধে হার্ড ইমিউনিটির চিন্তা করাও অনৈতিক বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
সোমবার (১২ আক্টোবর) করোনা সংক্রান্ত এক সংবাদ সম্মেলনে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থায় মহাপরিচালক টেড্রোস আধানম গেব্রেয়াসুস এ মন্তব্য করেন।
টেড্রোস ঘেব্রেয়েসাস বলেন, ‘করোনা মহামারী প্রতিরোধে হার্ড ইমিউনিটির চিন্তার মতো দৃষ্টিভঙ্গি "বৈজ্ঞানিকভাবে ও নৈতিকভাবে সমস্যাযুক্ত"। বৈশ্বিক মহামারিতো দূরের কথা জনস্বাস্থ্যের ইতিহাসে কোনো রোগের প্রাদুর্ভাব ঠেকাতেই হার্ড ইমিউনিটি ব্যবহার করা হয়নি। যখন একটি নির্দিষ্ট জনগোষ্ঠীর মধ্যে যদি নির্দিষ্ট অনুপাতে ভ্যাকসিন বা টিকা দেয়া যায়, তাহলে ওই কমিউনিটিতে আর সংক্রমণ হয় না। একে বলে হার্ড ইমিউনিটি।’
তিনি আরও বলেন, সারাবিশ্বে প্রায় ১০ ভাগ মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। এ অবস্থায় হার্ড ইমিউনিটির কথা বলে স্বাস্থ্য বিধি উপেক্ষা করা কখনোই সমর্থনযোগ্য না। করোনাকালে উন্মুক্ত চলাফেরা ও বিধি-নিষেধ তুলে দেওয়া মানুষকে অপ্রয়োজনীয় অর্থ ব্যয়, অনিয়ন্ত্রিত সংক্রমণ, যন্ত্রণা ও মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেবে।
অনেক বিশেষজ্ঞই বলেছেন যে ভ্যাকসিন না আসা পর্যন্ত হার্ড ইমিউনিটির জন্য করোনাকে স্বাভাবিকভাবে ছড়াতে দেওয়া উচিৎ। তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান এর বিরোধীতা করে বলেন, হার্ড ইমিউনিটি হলো- মানুষকে ভাইরাস থেকে সুরক্ষা দেয়া। কিন্তু এটা মানুষের মাঝে ছড়িয়ে দেওয়া হতে পারে না। হার্ড ইমিউনিটির নামে মহামারী ছড়িয়ে দেয়া কখনও জনস্বাস্থ্যের ইতিহাসে নেই বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
প্রসঙ্গত, গত বছরের ডিসেম্বরে চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহর থেকে করোনার সংক্রমণ শুরু হয়। বিশ্বে এখন পর্যন্ত ৩ কোটি ৭০ লাখের চেয়ে বেশি করোনা রোগী শনাক্ত করা হয়েছে। এছাড়া এ পর্যন্ত বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়ে ১০ লাখের বেশি মানুষ মারা গেছেন। করোনা প্রতিরোধে শতাধিক ভ্যাকসিন ট্রায়ল অবস্থায় রয়েছে। তবে এখনও অন্তর্জাতিকভাবে কোন ভ্যাকসিন প্রয়োগের অনুমতি পায়নি।
-
১৮ জানুয়ারী, ২০২৪
-
২৩ ডিসেম্বর, ২০২৩
-
০৭ ডিসেম্বর, ২০২৩
-
২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৩
-
০৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৩
-
২৮ অগাস্ট, ২০২৩
-
২০ অগাস্ট, ২০২৩
-
১৯ অগাস্ট, ২০২৩
-
০৮ অগাস্ট, ২০২৩
-
০৫ অগাস্ট, ২০২৩