১২ ডিসেম্বর, ২০২৩ ০২:৩০ পিএম

টিকা ব্যবস্থাপনার সাফল্যে অন্ধত্ব শূন্যের কোটায়: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

টিকা ব্যবস্থাপনার সাফল্যে অন্ধত্ব শূন্যের কোটায়: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
নিপসম অডিটোরিয়ামে ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। ছবি: সংগৃহীত

মেডিভয়েস রিপোর্ট: সফল টিকা ব্যবস্থাপনার কল্যাণে দেশে অন্ধত্ব ৪ শতাংশ থেকে শূন্যের কোটায় নামিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

আজ মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টায় রাজধানীর মহাখালীর নিপসম অডিটোরিয়ামে ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইনের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘একসময় আমাদের দেশে ৪ শতাংশের মতো অন্ধত্ব ছিল, যা এখন আমরা শূন্যের কোটায় নিয়ে এসেছি। এর পেছনে বড় অবদান আমাদের টিকা ব্যবস্থাপনা।’

তিনি বলেন, ‘আজ সারাদেশে দুই কোটি ৩০ লাখ শিশুদের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হচ্ছে। এজন্য আমাদের দুই লাখ ৪০ হাজার ভলানটিয়ার কাজ করছে। এ ছাড়া স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারাও কাজ করছেন। এটি আমাদের জন্য একটি বিরাট কর্মযজ্ঞ। এসব কারণে আমাদের শিশু-মাতৃমৃত্যু কমেছে।’

মন্ত্রী বলেন, ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খেলে শিশুদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়, তাদের দেহের ইমিউনিটি বৃদ্ধি পায়। এমনকি নানা সংক্রমণ ব্যাধি থেকে রক্ষা পায়। এজন্যই প্রতি বছর এত বড় একটা কর্মযজ্ঞ করে থাকি।

তিনি বলেন, দেশে মাতৃ ও শিশুমৃত্যুর অন্যতম একটি বড় কারণ বাল্যবিবাহ। শিশুদের ভালো রাখতে হলে বাল্যবিবাহ কমাতে হবে। এটি এখনো ৫০ শতাংশের ঘরে আছে। সেটাকে আমরা কমিয়ে আনতে পারলে শিশু ও মায়ের মৃত্যুহার কমবে। আমাদের মনে রাখতে হবে, গর্ভবতী মা যদি ভালো থাকে, তাহলেই তার গর্ভের সন্তানও ভালো থাকে।

প্রাতিষ্ঠানিক ডেলিভারি অনেক কম উল্লেখ করে জাহিদ মালেক বলেন, এখনো ঘরে ৫০ শতাংশ ডেলিভারি হয়। যেখানে প্রশিক্ষিত কেউ থাকে না। এক্ষেত্রে আমাদেরও কিছু করণীয় আছে। সরকারি স্বাস্থ্যকেন্দ্র ৮ ঘণ্টা সার্ভিসে কখনোই চলতে পারে না। ইনস্টিটিউশনাল ডেলিভারি বাড়াতে হলে স্বাস্থ্যকেন্দ্রের কর্মঘণ্টা ২৪ ঘণ্টা করতে হবে।

স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব জাহাঙ্গীর আলম এর সভাপতিত্বে সভায় আরো বক্তব্য রাখেন স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের সচিব আজিজুর রহমান, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এবিএম খুরশীদ আলম, পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সাহান আরা বানু এনডিসি, স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের মহাপরিচালক অধ্যাপক টিটু মিয়া, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক আহমেদুল কবীর সহ অন্যান্য বক্তাগণ।

এএনএম/

মেডিভয়েসের জনপ্রিয় ভিডিও কন্টেন্টগুলো দেখতে সাবস্ক্রাইব করুন MedivoiceBD ইউটিউব চ্যানেল। আপনার মতামত/লেখা পাঠান [email protected] এ।
  এই বিভাগের সর্বাধিক পঠিত