প্রেসক্রিপশন ছাড়া এন্টিবায়োটিক গ্রহণ ৩৮ ভাগ রোগীর: গবেষণা

মেডিভয়েস রিপোর্ট: দেশে ৩৮ দশমিক ৬৭ শতাংশ রোগী প্রেসক্রিপশন ছাড়া এন্টিবায়োটিক গ্রহণ করছেন বলে গবেষণায় উঠে এসেছে। এতে এন্টিবায়োটিকের যৌক্তিক ব্যবহারের গুরুত্বও তুলে ধরা হয়।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের প্ল্যানিং, মনিটরিং অ্যান্ড রিসার্চের (পিএমআর) সার্বিক তত্ত্বাবধানে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ল্যাবরেটরি মেডিসিন এন্ড রেফারেল সেন্টারের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগ এ গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা করে।
গবেষণার বিষয়বস্তু
বিভিন্ন ধরনের ক্লিনিক্যাল নমুনা (Specimen) থেকে প্রাপ্ত প্রতিরোধী প্যাথোজেনিক ব্যাকটেরিয়াকে (Resitant Pathogenic Bacteria) আলাদা করা এবং তার জিন অনুযায়ী বিন্যাস করে (Genome Sequencing) এন্টিবায়োটিকের যৌক্তিক ব্যবহারের গুরুত্ব তুলে ধরা।
২০২২ সালের অক্টোবর থেকে ২০২৩ সালের মে মাস পর্যন্ত এ গবেষণা পরিচালিত হয়। এতে ৮টি সরকারি মেডিকেল কলেজ ও ৪টি বিশেষায়িত প্রতিষ্ঠান থেকে মোট ১৩ হাজার ৩৫০টি প্রাথমিক কালচার (Primary Culture) সংগ্রহ করা হয়েছে।
গবেষণা কার্যক্রমের নমুনার নির্ণায়ক (Criteria) ছিল মাল্টিড্রাগ প্রতিরোধী জীব (এমডিআরও) এবং প্যান ড্রাগ প্রতিরোধী জীব (পিডিআর)। তিন বা ততোধিক এন্টিবায়োটিক ক্যাটাগরির কমপক্ষে একটি করে এন্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্ট পাওয়া গেলে তাকে এমডিআরও এবং সব ধরনের এন্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্ট পাওয়া গেলে তাকে পিডিআর বলা হয়।
গবেষণায় ক্লিনিক্যান নমুনা হিসেবে নেওয়া হয়েছে wound swab, urine, blood, sputum, endotracheal aspirate, pus এবং অন্যান্য।
এক হাজার ১৪৯টি নমুনার মধ্যে এমডিআরও এবং পিডিআর পাওয়া গেছে ৮ দশমিক ৬১ শতাংশ, যার মধ্যে wound swab থেকে পাওয়া গেছে সবচেয়ে বেশি ৩৯ দশমিক ৫ শতাংশ। এমডিআরও সবচেয়ে বেশি পাওয়া গেছে বিশ বছরের নিচে, রোগীর ২৯ দশমিক ২ শতাংশ, পুরুষ ৫১ দশমিক ৪ শতাংশ। এসব রোগীর এন্টিবায়োটিক গ্রহণের ইতিহাস আছে ৭১ দশমিক ৮ শতাংশের, যার মধ্যে ৩৮ দশমিক ৬৭ শতাংশ প্রেসক্রিপশন ছাড়া এন্টিবায়োটিক গ্রহণ করেছেন। অনুজীব সবচেয়ে বেশি ছিল সিউডোমোনাস, ২৫ দশমিক ৪১ শতাংশ।
জীনগুলোর মধ্যে থেকে আয়ন টরেন্ট জিনোম সিকোয়েন্সার দিয়ে র্যান্ডম স্যাম্পলিংয়ের মাধ্যমে ৩২টি জীবানুর টার্গেটেড জিনোম সিকোয়েন্সিং (targeted Genome sequencing) এই প্রতিষ্ঠানে সম্পন্ন করা হয়। সব ধরনের এন্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্সের বিরুদ্ধে ৩০ ধরনের অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধী জিন পাওয়া গিয়েছে, যার অধিকাংশই বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো স্বাস্থ্য বিভাগে শনাক্ত করা হয়েছে।
সুপারিশ
গবেষণার সুপারিশে বলা হয়েছে, সমগ্র বাংলাদেশের প্রকৃত অবস্থা বোঝার জন্য এন্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্টের Whole Genome Seqeencing করা প্রয়োজন। এর মাধ্যমে Resistant জীবানুর বিরুদ্বে কার্যকর এন্টিবায়োটিক শনাক্তকরণসহ একটি এন্টিবায়োটিক গাইডলাইন প্রনয়ণ করা সম্ভব, যা সর্বস্তরে বাস্তবায়নের মাধ্যমে এন্টিবায়োটিক Resitant প্রতিরোধে সহায়তা করবে এবং জনগণ উপকৃত হবে।
ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ল্যাবরেটরি মেডিসিন অ্যান্ড রেফারেল সেন্টার (এনআইএলএমআরসি) বিভাগ কর্তৃক আয়োজিত গবেষণা কার্যক্রমের ফলাফল উপস্থাপন (Dissemination) প্রোগ্রামে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশিদ আলম, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. মো. সামিউল ইসলাম। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন এনআইএলএমআরসি’র পরিচালক অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ শাহেদ আলী জিন্নাহ। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন অধিদপ্তর ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তাগণ।
এএইচ/এমইউ/
-
১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৩
-
১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৩
-
১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৩
-
০৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৩
-
১০ অগাস্ট, ২০২৩
অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা
ফেসবুক ব্যবহারে মানসিক স্বাস্থ্যের ক্ষতি নেই
-
৩১ জুলাই, ২০২৩
-
১১ জুলাই, ২০২৩
আইসিডিডিআর,বির গবেষণা
দেশে প্রতি ১০ শিশুর মধ্যে ৪ শিশুরই কম ওজন নিয়ে জন্ম

নোবিপ্রবির ড. বেলালের আরেক সাফল্য
নতুন আবিষ্কৃত অমেরুদণ্ডী প্রাণি ‘গ্লাইসেরা শেখমুজিবি'
