কর্নেল অব. অধ্যাপক ডা. জেহাদ খান

কর্নেল অব. অধ্যাপক ডা. জেহাদ খান

এমডি, এমসিপিএস, এফসিপিএস

এফআরসিপি (গ্ল্যাসগো, এফএসিসি (ইউএসএ)

পােস্ট ফেলোশিপ ট্রেনিং ইন কার্ডিওলজি (জার্মান ও ইন্ডিয়া)

মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ও কার্ডিওলজিস্ট এক্স ইন্টারভেনশনাল কার্ডিওলজিস্ট, সিএমএইচ, ঢাকা।


২১ ফেব্রুয়ারী, ২০২১ ০৫:৩১ পিএম

মানব সৃষ্টির সূচনা বিন্দু

মানব সৃষ্টির সূচনা বিন্দু
ছবি: সংগৃহীত

মহাগ্রন্থ আল-কোরআনের অনেক আয়াতে মানুষকে বিজ্ঞান চর্চার আহ্বান জানানো হয়েছে। উদ্দেশ্য হচ্ছে, এর মাধ্যমে সৃষ্টিকর্তা ও তাঁর অপূর্ব সৃষ্টিকে আরও ভালোভাবে জানা। নিম্নের আয়াতগুলো হচ্ছে এমনই ধরনেরঃ

“মানুষ যেন চিন্তা করে দেখে তাকে কোন জিনিস দিয়ে বানানো হয়েছে। তাকে বানানো হয়েছে, সবেগে নিঃসৃত পানি থেকে, যা পিঠ ও বুকের মাঝখান দিয়ে বের হয়।” (সুরা আততারিক ৮৬:৫-৭)

এ আয়াতগুলোর ব্যাখ্যার ব্যাপারে আমি কয়েকজন আলেমকে জিজ্ঞেস করেছি, তারা সঠিক জবাব দিতে পারেননি। না পারারই কথা, যেহেতু তারা চিকিৎসা বিদ্যা অধ্যায়ন করেননি। কিন্তু কোন চিকিৎসককে এ প্রশ্নটি জিজ্ঞেস করলে তিনি সাথে সাথেই সঠিক জবাব দিয়ে দেন। কারণ তিনি পরীক্ষিত ও প্রমাণিত জ্ঞানের ভিত্তিতেই কথাটি বলে থাকেন। এখানে সবেগে নিঃসৃত পানি বলতে পুরুষের বীর্যকেই বোঝানো হয়েছে। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে তা বুক ও পিঠের মাঝখান থেকে কিভাবে বের হয়?

মহান আল্লাহ তায়ালা এখানে শালীন ভাষা ব্যবহার করেছেন। কিন্তু এই সুন্দর ভাষার আড়ালে চিকিৎসা বিজ্ঞান লুকিয়ে আছে, যা সাম্প্রতিককালে বিজ্ঞানীরা জানতে পেরেছেন। ১৪০০ বছর আগে যখন এ আয়াতগুলো অবতীর্ণ (নাজিল) হয় তখন মানুষের জ্ঞান ছিল খুবই সীমিত। এমনকি বিখ্যাত তাফসীরকারকরা অনেক ইজতিহাদ করেও সঠিক সিদ্ধান্তে পোঁছাতে পারেননি। নিম্নে আমি পুরনো ও আধুনিক তাফসীরকারকদের এ আয়াতগুলোর ব্যাখ্যা সংক্ষেপে আলোচনা করছি।

ইবনে আব্বাস (রাঃ) তাঁর তাফসীরে এ আয়াতগুলোর ব্যাপারে নিরব থেকেছেন, বেশী ব্যাখ্যা করেননি। তবে সবেগে নির্গত পানি বলতে তিনি বীর্যকেই বুঝিয়েছেন। তাবারি, ফখরুদ্দীন রাজী, কুরতুবী, ইবনে কাছির (রাঃ) বলেছেন, মেয়েদের বুক ও পুরুষের মেরুদণ্ড থেকে এ পানি নির্গত হয় এবং কেউ কেউ বলেছেন সব অঙ্গ থেকেই এটা বের হয়। তাদের মতে বুক ও পিঠের মাঝখান থেকে বলতে সমস্ত শরীরকে বোঝানো হয়েছে। 

আল্লামা কারী মোহাম্মদ সানাউল্লাহ পানিপথী (রঃ) লিখেছেন যে, খাদ্যদ্রব্য হজম হওয়ার চতুর্থ স্তরে গিয়ে বীর্য সৃষ্টি হয়। তারপর তা দেহের প্রতিটি অঙ্গ হতে নিঃসৃত হয়ে আসে। তারপর তা অণ্ডকোষের পাশে কুঞ্চিত শিরায় এসে জমা হয়। মাওলানা আকরম খাঁ ও তাকি উসমানী (রহ.) এ আয়াতগুলোর তেমন ব্যাখ্যা করেননি। মাওলানা মুফতি মোহাম্মদ শফি (রহ.) মারেফুল কোরআনে লিখেছেন, বীর্য প্রকৃত পক্ষে আমাদের প্রত্যেক অঙ্গ থেকে নির্গত হয়। তবে বেশি প্রভাব থাকে মস্তিষ্কের। এজন্য যারা অতিরিক্ত স্ত্রী মৈথুন করে তারা প্রায়ই মস্তিষ্কের দুর্বলতায় আক্রান্ত হয়। আর মস্তিষ্কের স্থলাভিষিক্ত হচ্ছে সেই শিরা, যা মেরুদণ্ডের ভিতর দিয়ে মস্তিস্ক থেকে পৃষ্ঠদেশ ও পরে অণ্ডকোষে পৌঁছেছে। এরই কিছু উপশিরা বক্ষের অস্থিপাঁজরে এসেছে।

ওপরে বিখ্যাত তাফসীরকারকদের ব্যাখ্যা আমি সংক্ষেপে আলোচনা করলাম। এ রকম ব্যাখ্যা আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানের পরীক্ষিত ও প্রমাণিত তথ্যের সাথে বেশ অসঙ্গতিপূর্ণ। আধুনিক তাফসীরকারক সাইয়েদ কুতুব লিখেছেন যে, পুরুষের পিঠের মেরুদণ্ডের হাড়ের ভেতর থেকে এবং নারীর উচ্চ বক্ষদেশের ভেতর থেকে নির্গত পানির সমন্বয়ে তাকে সৃষ্টি করা হয়েছে। এ ব্যাখ্যাও গ্রহণযোগ্য নয়। অবশ্য তাকে এ ব্যাপারে  দোষ দেওয়া  যায় না। কারণ জেলে বসে তিনি তাঁর বিখ্যাত তাফসীর “ফি জিলালিল কোরআন” লিখেছেন। ফলে তাঁর কাছে তথ্য-উপাত্তের ঘাটতি থাকতে পারে।

যে ব্যাখ্যাটি চিকিৎসকদের কাছে সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য হবে তা হচ্ছে সাইয়েদ আবুল আ’লা মওদুদীর (রঃ) রচিত তাহফীমুল কোরআনের ব্যাখ্যা।

সেখানে তিনি লিখেছেন, “ভ্রুণতত্ত্বের (Embryology) দৃষ্টিতে এটি একটি প্রমাণিত সত্য যে, ভ্রূণের (Foetus) মধ্যে যে অণ্ডকোষে বীর্যের জন্ম হয় তা মেরুদণ্ড ও বক্ষপাঁজরের মধ্যস্থলে কিডনির নিকটে অবস্থান করে এবং সেখান থেকে অণ্ডকোষ ধীরে ধীরে অণ্ডথলীতে (Scrotum) নেমে আসে। কিন্তু তার স্নায়ু ও শিরাগুলোর উৎস সবসময় সেখানেই (মেরুদণ্ড ও পাঁজরের মধ্যস্থলে) থাকে। পিঠের নিকটবর্তী মহাধমনী ( AORTA) থেকে শিরাগুলো (Artery) বের হয় এবং পেটের সমগ্র অঞ্চল সফর করে সেখানে রক্ত সরবরাহ করে। এভাবে দেখা যায়, অণ্ডকোষ আসলে  পিঠের একটি অংশ। শরীরের অতিরিক্ত উষ্ণতা সহ্য করার ক্ষমতা না থাকার কারণে তাকে অণ্ডথলীতে স্থানান্তর করা হয়েছে। উপরন্তু যদিও অণ্ডকোষ বীর্য উৎপাদন করে এবং তা মৌলিক কোষে (Seminal vesicles) জমা থাকে তবুও মেরুদণ্ড ও পাঁজরের মধ্যস্থলই হচ্ছে তাকে বের করার কেন্দ্রীয় সঞ্চালন শক্তি। মস্তিস্ক থেকে স্নায়ুবিক প্রবাহ এ কেন্দ্রে পৌছার পর কেন্দ্রের সঞ্চালনে (Triger Action ) মৌলিক কোষ সংকুচিত হয়। এর ফলে তরল শুক্র পিচকারীর ন্যায় প্রবল বেগে বের হয়। এজন্য কোরআনের বক্তব্য চিকিৎসা শাস্ত্রের সর্বাধুনিক পরীক্ষা নিরীক্ষা ও অনুসন্ধানলব্ধ জ্ঞানের সাথে সামঞ্জস্যশীল।” (তাহফীমুল কুরআন খণ্ড ১৯ পৃষ্ঠা ৭২-৭৩)

উপরের আলোচনা থেকে বোঝা যাচ্ছে, এই তাফসীরটি আধুনিক শিক্ষিত লোকদের কাছে কেন এত জনপ্রিয়। এই তাফসীরের প্রশংসা আমি প্রথম শুনতে পাই সোভিয়েত ইউনিয়নে (বর্তমান রাশিয়া) ডাক্তারি পড়ার সময় এক আরব সহপাঠীর কাছ থেকে। ডঃ মরিস বুকাইলি বলেছেন, কোরআনের তাফসীরকারকের বিশ্বকোষের জ্ঞান (Encyclopedic knowledge) থাকা দরকার। উল্লেখিত তাফসীরটি পাঠ করলে তাফসীরকারক  সম্বন্ধে এ রকম ধারণাই বদ্ধমূল হবে। এ পর্যন্ত তাফসীরটি পৃথিবীর প্রায় ৪৮টি ভাষায় অনুদিত হয়েছে। সম্প্রতি আমার এক বন্ধু এই তাফসীরটি রাশান ভাষায় অনুবাদ করেছেন।

ড. ইউসুফ আল কারযাভী, পিএইচডি (আল আজহার) হচ্ছেন বর্তমান সময়ের অন্যতম একজন ইসলামী চিন্তাবিদ এবং কাতার ইউনিভার্সিটির শরিয়া বিভাগের প্রধান। তিনি তার “সুন্নাহর সান্নিধ্যে” বইয়ে লিখেছেনঃ
“নিশ্চয়ই কোরআন আমাদের সময়ের কিছু মহান আলেমের অনুমোদন জয় করেছে এবং এটা এর অধিকার। এর ভাষা, এর উপকারিতা ও এর মণিমুক্তা আবিষ্কারে তাদের জ্ঞান ও সংস্কৃতি এবং সমসাময়িক যুক্তির প্রস্তাবগুলোকে তারা কাজে লাগিয়েছেন। আমরা দেখেছি রশিদ রিদা, সাইয়েদ আবুল আ’লা মওদূদী, সাইয়েদ কুতুব, আল গাজালি  ও অন্যদের কোরআনের ভাষ্যাদি যারা কোরআনের ভাষ্য রচনায় পুরাতন ও নতুনের সমন্বয় ঘটিয়েছেন।”

কিছুটা অপ্রাসঙ্গিকভাবে এ জন্য আলোচনা করলাম যে বর্তমানে অনেক শিক্ষিত যুবক কোরআনকে জানতে ও বুঝতে চাচ্ছে। তাদের মধ্যে কেউ কেউ ধর্মীয় উগ্রবাদের দিকে ঝুঁকে পরে হলি আর্টিজনের মতো কলঙ্কজনক ঘটনা ঘটিয়েছেন, যা বহির্বিশ্বে ইসলাম ও আমাদের দেশের ভাবমূর্তিকে ক্ষুণ্ণ করেছে। এ তাফসীরটি এ ধরণের যুবকদের জন্য উপকারী হতে পারে, যেখানে তাফসীরকারক শক্তভাবে ধর্মীয় উগ্রবাদ বা জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে  অবস্থান নিয়েছেন।

কুরআনে মানুষ সৃষ্টি সংক্রান্ত আরও বেশ  কিছু আয়াত আছে, যেমনঃ
 “তিনিই সৃষ্টি করেছেন যুগল পুরুষ ও নারী স্খলিত শুক্রবিন্দু হতে।” (সুরা আন-নাজম ৫৩:৪৫-৪৬)
 “সে (মানুষ) কি স্থলিত শুক্রবিন্দু ছিল না?” (সুরা আল কিয়ামাহ৭৫:৩৭) 
 “অতঃপর তিনি তার বংশধর সৃষ্টি করলেন ঘৃণিত (তুচ্ছ) পানির নির্যাস থেকে।” (সুরা সিজদা ৩২:৮)

এখানে লক্ষণীয় যে, মহান স্রষ্টা বীর্যকে ঘৃণিত বলেছেন। মলমূত্র ত্যাগ করলে গোসল করা ফরজ হয় না, আর বীর্যপাত হলে ফরজ গোসল করে পবিত্রতা অর্জন করতে হয়। অথচ মানুষের কাছে মলমূত্র বীর্যের চেয়ে ঘৃণিত। এ দ্বারা মহান আল্লাহ তায়ালা সম্ভবত মানুষকে তার সৃষ্টির নগণ্য অবস্থাটিকে সব সময় মনে করিয়ে দিতে চান, যেন কয়েক দশকের এ জীবনে  মানুষ ক্ষমতা, প্রাচুর্য্‌ ও বিদ্যাবুদ্ধির অহংকারে মত্ত না হয়ে ওঠে, যার দেহ কিছুদিন পরেই মাটির পোকার (ব্যাকটেরিয়া) আহারে পরিণত হবে।

“মানুষের ওপরে অন্তহীন মহাকালের এমন সময় কি অতিবাহিত হয়নি যখন সে উল্লেখযোগ্য কিছুই ছিল না? (আল কোরআন ৭৬:১)

চিকিৎসা বিদ্যার কিছু প্রমাণিত তথ্য দিয়ে আলোচনা শেষ করতে চাই। কেউ যদি তিন মাসের মৃত ভ্রূণকে (Foetus) ব্যবচ্ছেদ করেন, তাহলে অণ্ডকোষকে তিনি বুক আর পিঠের মাঝখানেই দেখতে পাবেন। ভ্রূণের চতুর্থ মাসের পর থেকে অণ্ডকোষের অবতরণ শুরু হয়। নবজাতকের জন্মের পূর্বেই অথবা জন্মের সর্বাধিক ছয় মসের মধ্যে অণ্ডকোষের যাত্রা অণ্ডথলীতে এসে সমাপ্ত হয়। এখানকার তাপমাত্রা শরীরের তাপমাত্রার চেয়ে অন্তন্ত দুই ডিগ্রি কম। এর গুরুত্ব আমি একটু পরে আলোচনা করছি। প্রত্যেকটি অণ্ডকোষে প্রায় ৭০০ (Seminiferous tubules) আছে যেখানে শুক্রানু তৈরি হয়। একটি (Tubule) এর দৈর্ঘ্য হচ্ছে হাতের সমান এবং প্রস্ত হচ্ছে প্রায় চুলের সমান। সব Tubule গুলো জড় করলে আয়তন হবে ফুটবল মাঠের চেয়েও বড়। এগুলোর মাঝে Leidig কোষ থাকে, যা Testosterone হরমোন উৎপাদন করে। এই হরমন শুক্রাণু,পুরুষের দাড়ি, মোচ, গলার স্বর ও অন্যান্য বৈশিষ্ট্য তৈরিতে সহায়তা করে থাকে। শুক্রাণু হচ্ছে আমাদের শরীরের সবচেয়ে ছোট কোষ আর নারীর ডিম্বাণু হচ্ছে আমাদের শরীরের সবচেয়ে বড় কোষ। একবার বীর্যপাত হলে ৪-৬ কোটি শুক্রাণু সবেগে নিক্ষিপ্ত হয়। তাদের মধ্যে নারীর ডিম্বাণুর সাথে মিলনের প্রতিযোগিতা শুরু হয়। অবশেষে একটি মাত্র শুক্রাণু  ডিম্বাণুর সাথে মিলে ভ্রুণ তৈরির প্রক্রিয়া শুরু করে। 
 “তিনি সামান্য পরিমাণ (শুক্র) হতে মানুষ সৃষ্টি করেছেন।” (সুরা আন নাহল ১৬:৪)

কোরআনে এ কথাটি এগারোবার উল্লেখ করা হয়েছে। যখন সাধারণ বা ইলেকট্রন মাইক্রোস্কোপ ছিল না, তখন এ ধরণের আয়াত যে মহাজ্ঞানী আল্লাহর থেকে অবতীর্ণ তা আরও প্রমাণিত হয়। অণ্ডকোষ হচ্ছে একমাত্র অঙ্গ (Organ) যা পুরুষের  শরীরের বাইরে অণ্ডথলীতে থাকে। শুক্রাণু ও টেষটষটারন হরমোন তৈরির জন্য অণ্ডথলীর কম তাপমাত্রা (২ ডিগ্রি কম) অত্যাবশ্যক। কোন কারণে অণ্ডকোষ যদি শরীরের ভেতর (অধিক তাপমাত্রায়) থেকে যায়, তাহলে পুরুষের শারীরিক গঠন ব্যাহত হতে পারে। দুটো অণ্ডকোষই  শরীরের ভিতরে থেকে গেলে পুরুষ বন্ধ্যাত্য হতে বাধ্য। এজন্য এসব শিশুকে জন্মের ৬-১২ মাসের মধ্যে অণ্ডথলীতে অণ্ডকোষ প্রতিস্থাপন করতে হয়। বাচ্চা জন্মের এগারো বছরের মধ্যেও যদি এই অপারেশন করা না হয়, তাহলে অণ্ডকোষের ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি অনেক বেড়ে যায়।

মেডিভয়েসের জনপ্রিয় ভিডিও কন্টেন্টগুলো দেখতে সাবস্ক্রাইব করুন MedivoiceBD ইউটিউব চ্যানেল। আপনার মতামত/লেখা পাঠান [email protected] এ।
বিএসএমএমইউ ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের গবেষণা

গ্রামে স্বাস্থ্যসেবা গিতে গিয়ে ১৮ সমস্যার মুখোমুখি চিকিৎসকরা

  এই বিভাগের সর্বাধিক পঠিত