২৬ জানুয়ারী, ২০২৩ ০৫:৪৮ পিএম

ল্যাবএইড স্পেশালাইজ্ড হাসপাতালে র‌্যালি ও সেমিনার অনুষ্ঠিত

ল্যাবএইড স্পেশালাইজ্ড হাসপাতালে র‌্যালি ও সেমিনার অনুষ্ঠিত
বিশেষজ্ঞরা বলেন, জরায়ু মুখের ক্যান্সার যেভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে, তা প্রতিরোধে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।

মেডিভয়েস রিপোর্ট: জরায়ুমুখের ক্যান্সার প্রতিরোধে ল্যাবএইড স্পেশালাইজ্ড হাসপাতালের গাইনি এন্ড অবস বিভাগের আয়োজনে র‌্যালি, সায়েন্টিফিক সেমিনার ও ‘প্যালিলোভ্যাক্স গণ-ভ্যাকসিনেশন’ অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

আজ বৃহস্পতিবার (২৬ জানুয়ারি) সকালে রাজধানীর ধানমন্ডিস্থ ল্যাবএইড স্পেশালাইজ্ড হাসপাতালের সামনের রাস্তায় এই র‌্যালি ও ভ্যাকসিনেশন কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়।

র‌্যালিতে গাইনি এন্ড অবস বিভাগের চিফ কনসালটেন্ট  প্রফেসর মে. জে. (অব.) লায়লা আরজুমান্দ বানু, ল্যাব এইড গ্রুপের পরিচালক ডাক্তার সুচরিতা আহমেদ এবং  প্রফেসর আফজালুন নেসা চৌধুরীর নেতৃত্বে বিপুল সংখ্যক তরুণ চিকিৎসক ও শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন।

র‌্যালি শেষে গণটিকা কর্মসূচির আওতায় জরায়ুমুখের ক্যান্সার প্রতিরোধী ইনসেপ্টার ‘প্যাপিলোভ্যাক্স’ ভ্যাকসিন দেওয়া হয়।

অনুষ্ঠানের সার্বিক তত্ত্বাবধায়ন করে ইনসেপ্টা ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড। জরায়ুমুখের ক্যান্সার প্রতিরোধে সচেতনতার মাস উপলক্ষ্যে এই আয়োজন করা হয়।

দুপুরে ল্যাব এইড হাসপাতালে ডা. মাহবুবুল ইসলাম অডিটোরিয়ামে জরায়ুমুখের ক্যান্সার নির্মূল বিষয়ক সায়েন্টিফিক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। সেমিনারে চেয়ারপার্সনের দায়িত্ব পালন করেন গাইনি এন্ড অবস বিভাগের চিফ কনসালটেন্ট প্রফেসর মে. জে. (অব.) লায়লা আরজুমান্দ বানু।

প্যানেল বিশেষজ্ঞ হিসেবে বক্তব্য প্রদান করেন, ল্যাবএইড স্পেশালাইজ্ড হাসপাতালের গাইনি এন্ড অবস বিভাগের সিনিয়র কনসালটেন্ট প্রফেসর রহিমা বেগম এবং বিএসএমএমইউএর গাইনো অনকোলজিস্ট বিভাগের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান প্রফেসর সাবেরা খাতুন, গাইনি এন্ড অবস বিভাগ এবং ফার্টিলিটি সেন্টারের সিনিয়র  কনসালটেন্ট প্রফেসর মরিয়ম ফারুকী সাথী, হিস্টো প্যাথলজি বিভাগের সিনিয়র কনসালটেন্ট মে. জে. (অব.) ডাক্তার মুহাম্মদ জালাল উদ্দিন এবং ল্যাবএইড কান্সার হাসপাতালের ক্লিনিক্যাল অনকোলজি বিভাগের সিনিয়র কনসালটেন্ট ডাক্তার পারভীন আক্তার বানু। সেমিনারে প্রফেসর আফজালুন নেসা চৌধুরী এবং ডা. মাহবুবা সারাদেশে জরায়ু মুখের ক্যান্সারের বিস্তৃতি, ঝুঁকি এবং প্রতিরোধ ও করণীয় সম্পর্কিত বিষয়গুলো তুলে ধরেন। সায়েন্টিফিক সেমিনার ও প্রশ্নত্তোর পর্ব সঞ্চালনা করেন ডা. নাহিদ সুলতানা যুথী। ইনসেপ্টার পক্ষে বক্তব্য প্রদান করেন সিনিয়র ব্র্যান্ড ম্যানেজার হোমায়রা ফাতেমা।  

সেমিনারে বিশেষজ্ঞরা বলেন, জরায়ু মুখের ক্যান্সার যেভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে, তা প্রতিরোধে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। এ বিষয়ে কিশোরী ও তরুণীদের মাঝে ব্যাপক সচেতনতা তৈরি করতে হবে। মেয়েদেরকে ভ্যাকসিন নিতে উদ্ধুদ্ধ করতে হবে।

বক্তারা আরও বলেন, দেশের দরিদ্র নারীরা যাতে ভ্যাকসিন সহজে পেতে পারে সে বিষয়ে সরকার এবং বেসরকারি সংগঠনসমূহকে এগিয়ে আসতে হবে। সবাই একসাথে কাজ করতে পারলে এদেশে জরায়ু মুখের ক্যান্সার নির্মূল করা সম্ভব। 

প্রসঙ্গত, দেশের প্রথম ভ্যাকসিন উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান ইনসেপ্টা গত বছর থেকে বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো জরায়ুমুখ ক্যান্সারের ভ্যাকসিন ‘প্যাপিলোভ্যাক্স’ বাজারজাত শুরু করে। প্যাপিলোভ্যাক্স ভ্যাকসিন জরায়ুমুখ ক্যান্সার থেকে সুরক্ষা দেয়। বর্তমানে  দেশে ৫ কোটিরও বেশি নারী এই ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার  ঝুঁকিতে আছে। ৯ থেকে ৪৫ বছর পর্যন্ত সকল সুস্থ নারীকে এই ভ্যাকসিন দেয়া নিশ্চিত করা গেলে বাংলাদেশ জরায়ুমুখের ক্যান্সার নির্মূলের পথ অনেকটাই এগিয়ে যাবে। 

মেডিভয়েসের জনপ্রিয় ভিডিও কন্টেন্টগুলো দেখতে সাবস্ক্রাইব করুন MedivoiceBD ইউটিউব চ্যানেল। আপনার মতামত/লেখা পাঠান [email protected] এ।
  এই বিভাগের সর্বাধিক পঠিত