২৩ নভেম্বর, ২০২২ ১১:৩৫ এএম

মানসিক স্বাস্থ্যে বরাদ্দ বৃদ্ধি ও আইন বাস্তবায়নে বিধিমালা প্রণয়নের দাবি

মানসিক স্বাস্থ্যে বরাদ্দ বৃদ্ধি ও আইন বাস্তবায়নে বিধিমালা প্রণয়নের দাবি
দণ্ডবিধি অনুসারে আত্মহত্যার চেষ্টাকে শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে গণ্য না করে আত্মহত্যার চেষ্টাকারী ব্যক্তির মানসিক অবস্থা বিবেচনায় আনা উচিত।

মেডিভয়েস রিপোর্ট: জাতীয় বাজেটে মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক বরাদ্দ বৃদ্ধি ও মানসিক স্বাস্থ্য আইনের বাস্তবায়নে দ্রুত বিধিমালা প্রণয়নের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড এন্ড সার্ভিসেস ট্রাস্ট (ব্লাস্ট)।

মঙ্গলবার (২৩ নভেম্বর) রাজধানীর ডেইলি স্টার ভবনে বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড এন্ড সার্ভিসেস ট্রাস্টের (ব্লাস্ট) আয়োজনে বিচারিক প্রক্রিয়ায় মানসিক স্বাস্থ্য বিবেচনার বিষয়টি অন্তর্ভুক্তকরণ এবং মানসিক স্বাস্থ্য আইনের সুষ্ঠু বাস্তবায়নে সমন্বিত উদ্যোগের প্রয়োজনীয়তা বিষয়ে এক আলোচনায় এ দাবি জানানো হয়। 

সভায় সভাপতিত্ব করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এবং ব্লাস্ট ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য জেড আই খান পান্না।

সভার মুখ্য বক্তা যুক্তরাজ্যের মানসিক স্বাস্থ্য ট্রাইব্যুনালের বিচারক ব্যারিস্টার নজরুল খসরু বাংলাদেশের সংবিধানে যে সকল মৌলিক অধিকারের নিশ্চয়তা প্রদান করা হয়েছে, তা সমুন্নতকরণেও মানসিকভাবে অসুস্থ একজন অপরাধী ব্যক্তির মানসিক স্বাস্থ্য বিবেচনায় নেওয়ার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন।

তিনি বলেন, পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে ইতোমধ্যে পারিবারিক সহিংসতা ও অন্যান্য সহিংসতার শিকার নারীদের মানসিক স্বাস্থ্য বিবেচনায় নেওয়ার বিষয়টিকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে।

এ ছাড়া তিনি যুক্তরাজ্যে ফৌজদারি বিচারিক প্রক্রিয়ায় মানসিকভাবে অসুস্থ একজন অপরাধী ব্যক্তির মানবাধিকার এবং ন্যায় বিচার ও সমআচরণ নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে তার মানসিক স্বাস্থ্য বিবেচনায় নেওয়ার বিভিন্ন পর্যায়ের ওপর আলোকপাত করেন।

সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী খন্দকার শাহরিয়ার শাকের বলেন, অপরাধ সংঘটনের সময় অপরাধীর মানসিক স্বাস্থ্যের বিষয়টি যথাযথভাবে বিচারকের সামনে তুলে ধরার দায়িত্ব তার আইনজীবীর। আর শুধু মানসিক স্বাস্থ্য আইন ২০১৮ নয়, দণ্ডবিধি (ধারা ৮৪) এবং সাক্ষ্য আইন (ধারা-১১৮) ও অপরাধী ব্যক্তির মানসিক স্বাস্থ্যের বিষয়টিও উঠে এসেছে।

মানসিক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ড. হেলাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, দণ্ডবিধি অনুসারে আত্মহত্যার চেষ্টাকে শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে গণ্য না করে আত্মহত্যার চেষ্টাকারী ব্যক্তির মানসিক অবস্থা বিবেচনায় আনা উচিত। এ ছাড়া আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, বিচারক, আইনজীবী, চিকিৎসক, মানসিক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ এবং সংশ্লিষ্ট সকলের মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ে সমন্বয় ও সচেতনতা প্রয়োজন বলেও জানান তিনি।

সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া বলেন, মানসিক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ দ্বারা বিচারকার্য সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের এ বিষয়ে প্রশিক্ষণ ও সচেতনতা প্রদানের ব্যবস্থা করতে হবে।

সুপ্রিম কোর্টের আরেক আইনজীবী আইনুন নাহার সিদ্দিকা বলেন, সকল ক্ষেত্রে বিশেষত পারিবারিক সহিংসতা ও অন্যান্য সহিংসতার শিকার নারীদের বিচারকার্যে তাঁদের মানসিক স্বাস্থ্যের বিষয়টি বিবেচনায় নেওয়া উচিত।

টিআই/এমইউ

মেডিভয়েসের জনপ্রিয় ভিডিও কন্টেন্টগুলো দেখতে সাবস্ক্রাইব করুন MedivoiceBD ইউটিউব চ্যানেল। আপনার মতামত/লেখা পাঠান [email protected] এ।
  ঘটনা প্রবাহ : মানসিক স্বাস্থ্য
  এই বিভাগের সর্বাধিক পঠিত
এক দিনে চিরবিদায় পাঁচ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক
করোনা ও বার্ধক্যজনিত অসুস্থতা

এক দিনে চিরবিদায় পাঁচ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক