০৫ জুন, ২০২২ ০৫:৫৩ পিএম

জমকালো আয়োজনে পালিত হচ্ছে বিসিপিএসের সুবর্ণ জয়ন্তী

জমকালো আয়োজনে পালিত হচ্ছে বিসিপিএসের সুবর্ণ জয়ন্তী
অধ্যাপক ডা. খান আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘আজকের এই অনুষ্ঠানে আমার শিক্ষকরাও রয়েছেন, আমার ছাত্ররাও রয়েছেন। একই সাথে বিভিন্ন বয়সী ফেলো ও মেম্বাররা রয়েছেন।’

মেডিভয়েস রিপোর্ট: জমকালো আয়োজনে পালিত হচ্ছে বাংলাদেশ কলেজ অব ফিজিশিয়ান্স অ্যান্ড সার্জন্সের দুইব্যাপী সুবর্ণ জয়ন্তী অনুষ্ঠান।

প্রথমদিন রোববার (৫ জুন) সকালে মহাখালীর বিসিপিএসে ক্যাম্পাসে শুরু হয় এ অনুষ্ঠান। এদিনে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা।

এ সময় বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের মাঝে দেখা গেছে আনন্দ ও উচ্ছ্বাস। অনুভূতি জানতে চাইলে ঢাকা মেডিকেল কলেজের (ঢামেক) সাবেক অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. খান আবুল কালাম আজাদ মেডিভয়েসকে বলেন, ‘সবচেয়ে বড় কথা হলো আমি এখানকার একজন ফেলো। এই কলেজের একটা অংশ। আজকের এই অনুষ্ঠানে আমার শিক্ষকরাও রয়েছেন, আমার ছাত্ররাও রয়েছেন। একই সময়ে বিভিন্ন বয়সী ফেলো ও মেম্বাররা রয়েছেন। তারা এখানে আনন্দ করতে আসছেন এবং বিসিপিএসের ৫০ বছর উদযাপন করছেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘একজন ফেলোর জীবনে ৫০ বছর একবারই হয়তো আসে। আমি খুব সৌভাগ্যবান সবার আনন্দ মুখ দেখতে পাচ্ছি। সবাই সবার কাজ ফেলে রেখে মনের টানে নিজের প্রতিষ্ঠান বিসিপিএসের জন্য চলে আসছেন। এটা আমাদের জন্য অনেক সুখের ও আনন্দের। সব বয়সী ফেলো ও মেম্বাররা একত্রিত হয়ে গেছি। আর বলছি, ‘বিসিপিএস আমাদের, আমরা বিসিপিএসের’।’

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্টারনাল মেডিসিন বিভাগের অধ্যাপক ডা. মো. মুজিবুর রহমান বলেন, ‘আমি এই কলেজের একজন ফেলো। একই সাথে একজন কাউন্সিলর। আমার জীবনে হয়তো আর ৫০ বছর দেখতে পাব না। কাজেই বিসিপিএস যে, লক্ষে আমাদেরকে তৈরি করেছে, তৈরি করে যাচ্ছে। আমি আশা করি বিসিপিএস তার উত্তোরত্তর রেখে যাবে। আশা করি, এই দেশের মেডিকেল কলেজে বিসিপিএসের ফেলোরাই আধিক্যে থাকবে। রিচার্জ ও মেডিকেল শিক্ষাসহ সবকিছু আমাদের ভূমিকা অন্যন্য থাকবে বলে আমি বিশ্বাস করি।’

অবস্ট্রেটিক্যাল অ্যান্ড গাইনোকোলজিক্যাল সোসাইটি অব বাংলাদেশের (ওজিএসবি) সেক্রেটারি অধ্যাপক ডা. গুলশান আরা বলেন, ‘৫০ বছরে সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষে আমি এখানে এসে অত্যন্ত আনন্দিত ও গর্বিত এবং খুবই ভালো লাগছে। আমরা করোনার সময় পাড়ি দিয়েও বেঁচে আছি ও সুবর্ণ জয়ন্তীতে অংশগ্রহণ করতে পেরেছি, এজন্য আল্লাহ কৃতজ্ঞতা। এই দিতে বিসিপিএস থেকে ফেলো ও মেম্বার যারা আছেন, সবাইকে আমরা অভিনন্দন ও ধন্যবাদ জানাচ্ছি, এই সুন্দর আয়োজনে অংশগ্রহণ করার জন্য।’

৫০ বছরে বিসিপিএস দেশকে উপহার দিয়েছে অগনিত বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক। অনুষ্ঠানে আবার কেউ কেউ প্রত্যাশা ও প্রাপ্তির কথা জানান।

অধ্যাপক ডা. খান আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘বিসিপিএস প্রথম থেকে তার আদর্শ, লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য ধরে রেখেছে। এই প্রতিষ্ঠানের লক্ষ্য হচ্ছে পরীক্ষার মাধ্যমে যোগ্য শিক্ষক তৈরি ও তার স্বীকৃতি দেওয়া। আর এই জায়গায় বিসিপিএস কখনও আপোস করে নাই। বিসিপিএস যোগ্য ব্যক্তিদের নির্বাচন করে ফেলো তৈরি করেছে ও যোগ্য ব্যক্তিদের মেম্বার করেছে। তাদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আজকে শিক্ষক ও গবেষকদের বেশির ভাগ এই কলেজের ফেলো। তাহলে কি দাড়াচ্ছে, বিসিপিএস যেভাবে যে লক্ষ্য নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। আগামীতে সবার বুদ্ধি ও পরামর্শে কিছু কিছু জায়গায় আরও উন্নতি করতে চাই। কিন্তু আসল জায়গাটিকে বিসিপিএস সবসময় সমুন্নত রেখেছে। পাশাপাশি এদেশের পোস্ট গ্রাজুয়েশন এডুকেশনের মূল ভিত্তি তৈরি করে দিয়েছে।’

অধ্যাপক ডা. গুলশান আরা বলেন, ‘বিসিপিএসের কাছ থেকে অনেক পেয়েছি। আমাদের প্রত্যাশারও অধিক পেয়েছি। ভবিষ্যতে বিসিপিএস আরও এগিয়ে যাবে। আমাদের প্রজন্ম যারা থাকবে তারাও অনেক কিছু পাবে, এটা আমি মনে করি।’

আগামীকাল সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকের উপস্থিতিতে পালিত হবে বিসিপিএসের গোল্ডেন জুবিলি অনুষ্ঠান।

মেডিভয়েসের জনপ্রিয় ভিডিও কন্টেন্টগুলো দেখতে সাবস্ক্রাইব করুন MedivoiceBD ইউটিউব চ্যানেল। আপনার মতামত/লেখা পাঠান [email protected] এ।
  এই বিভাগের সর্বাধিক পঠিত
এক দিনে চিরবিদায় পাঁচ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক
করোনা ও বার্ধক্যজনিত অসুস্থতা

এক দিনে চিরবিদায় পাঁচ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক