এসএমএস না এলেও দ্বিতীয় ডোজের চার মাস পর মিলবে বুস্টার
মেডিভয়েস রিপোর্ট: এসএমএস না পেলেও দ্বিতীয় ডোজ গ্রহণের চার মাস পর কেন্দ্রে গেলে বুস্টার ডোজ পাবেন নাগরিকরা। এক্ষেত্রে সম্মুখসারীর যোদ্ধা, বয়োজ্যেষ্ঠ এবং নারীদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। বুধবার (১৬ মার্চ) স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে জারি করা এক নির্দেশনায় এ কথা বলা হয়েছে।
অধিদপ্তরের পরিচালক ও লাইন ডাইরেক্টর ডা. মো. শামসুল হকের স্বাক্ষরিত ওই নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ‘উপর্যুক্ত বিষয়ের আলোকে জানানো যাচ্ছে যে, মাননীয় মন্ত্রী স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় এর নির্দেশক্রমে দেশব্যাপী চলমান কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনেশন কার্যক্রমে নিম্নে বর্ণিত নির্দেশনাসমূহ মেনে চলার জন্য অনুরোধ করা যাচ্ছে।’
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম দিবস উপলক্ষে ১৭-৩১ মার্চ পর্যন্ত বিশেষ কোভিড-১৯ টিকাদান কার্যক্রম চলবে। উক্ত কার্যক্রমে সকল স্থায়ী টিকাদান কেন্দ্র থেকে প্রথম, দ্বিতীয় ও বুস্টার ডোজের টিকাদান চলবে।
এই ক্যাম্পেইনে সারাদেশে তিন কোটির অধিক জনগণকে ভ্যাকসিনের আওতায় আনার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
বারো বছরের বেশি যে সকল ব্যক্তির প্রথম টিকা নেওয়ার পর ২৮ দিন অতিবাহিত হয়েছে, তাদের সকলকে দ্বিতীয় ডোজের টিকা দেওয়া হবে।
যে সকল ব্যক্তি প্রথম ডোজ এস্ট্রাজেনেকা ভ্যাকসিন নিয়েছেন, তাঁদেরকে দুই মাস ব্যবধানে ২য় ডোজের টিকা নিশ্চিত করতে হবে।
বিগত ২৬ থেকে ২৮ ফেব্রুয়ারি ‘১ দিনে ১ কোটি টিকা’ ১ম ডোজের ক্যাম্পেইনে যারা টিকা নিয়েছেন, তাদেরকে আগামী ২৮ থেকে ৩০ মার্চ ২০২২, ২য় ডোজের টিকা পূর্বের ক্যাম্পেইন কেন্দ্র থেকে দেওয়া যাবে।
প্রয়োজনে ভিড় নিয়ন্ত্রণের জন্য কেন্দ্র/বুথের সংখ্যা বৃদ্ধি করা যেতে পারে
দ্বিতীয় ডোজ গ্রহণের চার মাস পর বুস্টার ডোজ প্রদান করতে হবে। যাদের দ্বিতীয় ডোজের পর চার মাস অতিবাহিত হয়েছে তারা এসএমএস না পেলেও কেন্দ্রে আসলে টিকা নিতে পারবেন। এক্ষেত্রে সম্মুখসারীর যোদ্ধা, বয়োজ্যেষ্ঠ এবং নারীদের প্রাধান্য দিতে হবে।
ইতিপূর্বে বুস্টার ডোজ প্রদানের ক্ষেত্রে বয়সসীমা ৪০ বছরের পরিবর্তে ১৮ বছর করা হয়েছে।
এস্ট্রাজেনেকা, মডার্না এবং ফাইজার কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন প্রাপ্যতা অনুযায়ী বুস্টার ডোজ হিসেবে প্রদান করতে হবে।
আসন্ন দেশব্যাপী আয়োজিত উন্নয়ন মেলায় বুথ স্থাপন করে টিকা প্রদান করতে হবে।
যে সকল ব্যক্তি (১২ বছরের বেশি) এখনো প্রথম ডোজের টিকা গ্রহণ করেন নাই, তাদেরকে এ ক্যাম্পেইনে টিকা গ্রহণের জন্য আহ্বান করতে হবে।
স্থানীয়ভাবে প্রচার-প্রচারণার উদ্যোগ নিয়ে কর্মসূচিকে সফল করতে হবে।
এতে আরও বলা হয়েছে, স্থানীয় প্রশাসন, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও বিভিন্ন অংশীজনের সহযোগিতায় আসন্ন কোভিড-১৯ ভ্যাক্সিনেশন ক্যাম্পেইনকে সাফল্যমণ্ডিত করতে আমরা বদ্ধপরিকর।