১৩ নভেম্বর, ২০২১ ০৭:২৫ পিএম

এবার বেতারের তালিকাভুক্ত সুরকার অধ্যাপক ডা. রিয়াজ

এবার বেতারের তালিকাভুক্ত সুরকার অধ্যাপক ডা. রিয়াজ
গত ৭ নভেম্বর বাংলাদেশ বেতারের পরিচালক কামাল আহমেদ স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এ কথা জানানো হয়েছে। ফাইল ছবি

মেডিভয়েস রিপোর্ট: গীতিকার হিসেবে স্বীকৃতির পর এবার বাংলাদেশ বেতারের তালিকাভুক্ত সুরকার হয়েছেন বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব, ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব প্রিভেনটিভ অ্যান্ড স্যোশাল মেডিসিনের (নিপসম) পরিচালক অধ্যাপক ডা. বায়জীদ খুরশীদ রিয়াজ।

গত ৭ নভেম্বর বাংলাদেশ বেতারের পরিচালক কামাল আহমেদ স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এ কথা জানানো হয়েছে।

এতে আরও বলা হয়েছে, বাংলাদেশ বেতার ঢাকা কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত নতুন সুরকার ও সঙ্গীত পরিচালক নির্বাচনী বোর্ডের সম্মানিত বিচারকমণ্ডলীর সর্বসম্মত সুপারিশের প্রেক্ষিতে আপনাকে বাংলাদেশ বেতারে সুরকার ও সঙ্গীত পরিচালক হিসেবে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। আপনাকে অভিনন্দন। ভবিষ্যতে আপনি গান সুরারোপের মাধ্যমে বেতারের সঙ্গীতের মানোন্নয়নে ভূমিকা রাখবেন, এটাই আমাদের প্রত্যাশা। আপনার সর্বাঙ্গীন সাফল্য কামনা করছি।

সুরকার হিসেবে স্বীকৃতি প্রদানের জন্য বেতার কর্তৃপক্ষের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেছেন অধ্যাপক রিয়াজ। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে এ সংক্রান্ত পোস্টে তিনি লেখেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ, এখন থেকে একজন 'সুরকার' হিসেবেও বাংলাদেশ বেতারে কাজ করার আনুষ্ঠানিক সুযোগ চলে এলো। বাংলাদেশ বেতারের সংগীত বিভাগ তথা কর্তৃপক্ষকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা; বিশেষ করে সঙ্গীত বিভাগের উপ-আঞ্চলিক পরিচালক মো. মুস্তাফিজুর রহমানকে। আমি সকলের দোয়াপ্রার্থী।’

বিভিন্ন বিষয়ে গান লিখার স্বীকৃতি স্বরূপ এরই মধ্যে দেশীয় নানা গুরুত্বপূর্ণ পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন অধ্যাপক বায়জীদ খুরশীদ রিয়াজ। এরই ধারাবাহিকতায় এর আগে বেতারের তালিকাভুক্ত গীতিকার হন তিনি।  

অধ্যাপক বায়জীদ খুরশীদের বেড়ে ওঠা  

জামালপুর শহরের আমলাপাড়ায় ১৯৬৮ সালে নানা বাড়ীতে জন্মগ্রহণ করেন বায়জীদ খুরশী রিয়াজ। তবে তাঁর শৈশব-কৈশোর-যৌবন কেটেছে ঢাকা শহরে। পড়াশোনা করেছেন রেসিডেন্সিয়াল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজে। ওখান থেকে ইন্টারমিডিয়েট পাস করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজে ভর্তি হন। পরে জাপানের নাগুয়া ইউনিভার্সিটি থেকে মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করেন তিনি। তারপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। 

পারিবারিক জীবন 

অধ্যাপক বায়জীদ খুরশীদ রিয়াজের স্ত্রী রুমান কাইয়ুম পেশায় একজন গৃহিনী। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে হোম ইকোনমিক্সে মাস্টার্স করেছেন। দুই কন্যা সন্তানের জনক অধ্যাপক রিয়াজের বাবা মুহাম্মদ শফীউল্যাহ ছিলেন সরকারি চাকরিজীবী। তিনি প্রতিরক্ষা বিজ্ঞান সংস্থায় ঊর্ধ্বতন গবেষণা কর্মকর্তা হিসেবে অবসর গ্রহণ করেন। ২০১৫ সালে মারা যান তিনি। মা খোরশেদা পাহলোয়ান শিক্ষয়ীত্রি ছিলেন। তিনি রাজধানীর মোহাম্মদপুরে কিশলয় উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ে ২৫ বছরেরও বেশি সময় শিক্ষকতা করেছেন। গত বছরের ২৪ জানুয়ারি না ফেরারে দেশে পাড়ি জমান খোরশেদা পাহলোয়ান।

বর্ণাঢ্য কর্মজীবন 

ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজে ইন্টার্নশিপ করার পর ঢাকা সিটি করপোরেশনের একটি হাসপাতালে কাজ শুরু করেন অধ্যাপক বায়জীদ খুরশীদ রিয়াজ। রাজধানীর নয়াবাজারে ওই শ্রমজীবী হাসপাতালে মেডিকেল অফিসার হিসেবে দুই বছর কাজ করেন তিনি। পরে ১৭তম বিসিএসে কোয়ালিফাই করেন। এরপর নবাবগঞ্জ থানা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, সাভার থানা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, রাজধানীর সংক্রামক ব্যাধি হাসপাতাল, মিরপুরে ইউনানী এবং আয়ুর্বেদিক কলেজ, জাতীয় বাতজ্বর ইনস্টিটিউট এবং কিছু দিন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে দায়িত্ব পালন করেন। দায়িত্ব পালন করেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ-টুর প্রকল্প পরিচালক হিসেবে। ২০১৬ থেকে নিপসমের পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী ডা. রিয়াজ।

মেডিভয়েসের জনপ্রিয় ভিডিও কন্টেন্টগুলো দেখতে সাবস্ক্রাইব করুন MedivoiceBD ইউটিউব চ্যানেল। আপনার মতামত/লেখা পাঠান [email protected] এ।
  এই বিভাগের সর্বাধিক পঠিত
নম্বরের কথা চিন্তা করে পড়াশোনা করিনি: ডা. জেসি হক
এমআরসিপিতে বিশ্বসেরা বাংলাদেশি চিকিৎসক

নম্বরের কথা চিন্তা করে পড়াশোনা করিনি: ডা. জেসি হক