খিলক্ষেতে নবীন চিকিৎসকের লাশ উদ্ধার
মেডিভয়েস রিপোর্ট: রাজধানীর খিলক্ষেতের নিকুঞ্জ এলাকার একটি বাসা থেকে ডা. জয়দেব চন্দ্র দাসের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার (১৬ অক্টোবর) রাত ৮টার দিকে তাঁর লাশ উদ্ধার করা হয়।
ডা. জয়দেবের সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ (সিওমেক) থেকে এমবিবিএস সম্পন্ন করেন। তিনি ছিলেন সিওমেকের ৫৩তম ব্যাচের শিক্ষার্থী।
পরে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে নেওয়া হয়।
খিলক্ষেত থানা সূত্রে জানা গেছে, নিকুঞ্জ-২ এর ১৫ নম্বর সড়কের একটি ফ্ল্যাট বাসার কক্ষ থেকে দুর্গন্ধ আসছিল। এর পর প্রতিবেশীরা থানায় খবর দেয়। পরে ঘটনাস্থলে গিয়ে ফ্ল্যাটের দরজা ভেঙে খাটে শোয়া অবস্থায় একটি লাশ দেখতে পায় পুলিশ।
প্রতিবেশীদের বরাত দিয়ে পুলিশ জানিয়েছে, গত ৫ থেকে ৬ দিন আগে তিনি ওই বাসায় ওঠেন। ওই ফ্ল্যাটে মেস করে থাকতেন জয়দেব। সেখানে তার সঙ্গে আরও একজন শনাতন ধর্মাবলম্বী চিকিৎসক ছিলেন। পূজার ছুটিতে বাড়ি গেছেন তিনি।
পুলিশ আরও জানিয়েছে, লাশ উদ্ধারের সময় তার হাতে একটা ইনজেকশনের সিরিঞ্জ ছিল ও হাতে ক্যানোলা লাগানো ছিল। ধারণা করা হচ্ছে, অর্থনৈতিক বা ব্যক্তিগত হতাশা থেকে আত্মহত্যা করেছেন ডা. জয়দেব।
বিস্তারিত তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।
এক সপ্তাহে বিদায় দুই নবীন চিকিৎসক
এর আগে গত শনিবার (৯ অক্টোবর) সন্ধ্যা ছয়টার দিকে রাজধানীর খিলক্ষেত থেকে মাহফুজা আক্তার মুন্নি নামে আরেক নবীন চিকিৎসকের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
২৫ বছর বয়সী মাহফুজা আক্তার গত দুই বছর আগে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস পাস করেন। কয়েক সহপাঠীর সঙ্গে খিলক্ষেতের নিকুঞ্জ এলাকার একটি বাসায় থেকে এফসিপিএস কোর্সে ভর্তি পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন।
গাজীপুরের মেয়ে মুন্নির পরিবার থাকে ঢাকার কদমতলীতে। তিন ভাইবোনের মধ্যে তিনি ছিলেন মেজ।
মাহফুজার বাসার বাসিন্দা ও তাঁর সহপাঠী রুম্পা রানীর জানান, মাহফুজার সঙ্গে তাঁর বন্ধুর ঝগড়া হয়, যার সঙ্গে পারিবারিকভাবে তাঁর বিয়ের কথা চলছিল। একপর্যায়ে মাহফুজা গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে।
এক সপ্তাহের মধ্যে খিলক্ষেতে এলাকায় দুই আত্মহত্যার ঘটনা ঘটলো।
-
০৮ মার্চ, ২০২৪
-
২৭ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪
-
২৫ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪
-
২৪ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪
-
২২ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪
-
১৯ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪
-
১৯ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪
-
১৫ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪