চীন-রাশিয়ার করোনা ভ্যাকসিন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্বেগ
মেডিভয়েস ডেস্ক: প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস প্রতিরোধে চীন এবং রাশিয়ার তৈরি ভ্যাকসিনের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ সংক্রামক ব্যাধি বিশেষজ্ঞরা। তাদের দাবি, চীন এবং রাশিয়ার তৈরি ভ্যাকসিন আবিষ্কারে অস্বচ্ছতা রয়েছে। যে কারণে তাদের ভ্যাকসিন যুক্তরাষ্ট্রে ব্যবহারের কোন সম্ভাবনা নেই।
যুক্তরাষ্ট্রের সংক্রামক ব্যাধি ও জাতীয় অ্যালার্জি ইনস্টিটিউটের পরিচালক ডা. অ্যান্থনি ফাউসি বলেন, আমি আশা করছি, কাউকে ভ্যাকসিন দেয়ার আগে চীন এবং রাশিয়া এর প্রকৃত পরীক্ষা চালাবে। পরীক্ষার আগেই ভ্যাকসিন বিতরণ করার জন্য প্রস্তুতির দাবি করা, আমার মতে- সবচেয়ে বড় সমস্যা।
তিনি বলেন, করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন চলতি বছরের শেষে অথবা আগামী বছরের শুরুর দিকে পাওয়া যেতে পারে। আমি বিশ্বাস করি, এই সময়ের মধ্যে ভ্যাকসিন চলে আসবে। যুক্তরাষ্ট্রে দ্রুতগতিতে ভ্যাকসিন তৈরির কাজ এগিয়ে চললেও সুরক্ষা মান এবং বৈজ্ঞানিক শর্তাবলির সঙ্গে কোনও ধরনের আপোস করা হবে না বলে জানান তিনি।
মার্কিন এই শীর্ষ সংক্রামক ব্যাধি বিশেষজ্ঞ বলেন, আমি জানি, অনেক মানুষ মনে করবেন- এটা খুব দ্রুত গতিতে তৈরি হচ্ছে এবং এর সুরক্ষা এবং বৈজ্ঞানিক বিষয়াবলিতে আপোস করা হবে। আমি তাদের আশ্বস্ত করতে পারি যে, এ ধরনের ঘটনা ঘটছে না। ভিন্ন ভিন্ন প্রযুক্তি ব্যবহারের ফলে আমাদের কাজ দ্রুতগতিতে চলছে।
তিনি বলেন, মডার্নার তৈরি করোনা ভ্যাকসিনের প্রথম ধাপের পরীক্ষায় বেশ সন্তোষজনক ফল পাওয়া গেছে। সম্ভাব্য অন্যান্য ভ্যাকসিনের সঙ্গেও সরকারের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বিশ্বজুড়ে জরুরি অবস্থা ঘোষণার ছয় মাস পর থেকে এখন পর্যন্ত এই ভাইরাসে মারা গেছেন ৬ লাখ ৭৯ হাজারের বেশি মানুষ। ফরাসী বার্তাসংস্থা এএফপির পরিসংখ্যান বলছে, বিশ্বে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন অন্তত ১ কোটি ৭৯ লাখ মানুষ।
চীনের বেশ কয়েকটি কোম্পানি করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন তৈরির দৌড়ে এগিয়ে রয়েছে। অন্যদিকে, রাশিয়া করোনার সম্ভাব্য একটি ভ্যাকসিন আগামী সেপ্টেম্বরের মধ্যে বাজারে আনার সম্ভাব্য লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে।
প্রসঙ্গত, গত বছরের ডিসেম্বরে চীনের উহানে উৎপত্তি হওয়া করোনাভাইরাসে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত যুক্তরাষ্ট্র। দেশটিতে এখন পর্যন্ত এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৪৭ লাখ ২৭ হাজার ২৭৩ জন এবং মারা গেছেন ১ লাখ ৫৭ হাজার ১৭০ জন। বিশ্বে প্রাণহানি এবং আক্রান্তের সংখ্যা শীর্ষে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
-
১৮ জানুয়ারী, ২০২৪
-
২৩ ডিসেম্বর, ২০২৩
-
০৭ ডিসেম্বর, ২০২৩
-
২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৩
-
০৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৩
-
২৮ অগাস্ট, ২০২৩
-
২০ অগাস্ট, ২০২৩
-
১৯ অগাস্ট, ২০২৩
-
০৮ অগাস্ট, ২০২৩
-
০৫ অগাস্ট, ২০২৩