১১ জুলাই, ২০২০ ০৩:৪১ পিএম
কঠোর পদক্ষেপের আহ্বান বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার

বিশ্বে করোনা পরিস্থিতির অবনতি: একদিনে সর্বোচ্চ ২,২৮,১০২ আক্রান্ত

বিশ্বে করোনা পরিস্থিতির অবনতি: একদিনে সর্বোচ্চ ২,২৮,১০২ আক্রান্ত

মেডিভয়েস রিপোর্ট: বিভিন্ন দেশ ও অঞ্চল ভেদে গত মাসে করোনা পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসলেও চলতি মাসে বিশ্বজুড়ে এর অবনতি ঘটেছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) তথ্য মতে, শুক্রবার নতুন করে বিশ্বজুড়ে একদিনে সর্বোচ্চ ২ লাখ ২৮ হাজার ১০২ জন কোভিড-১৯ পজিটিভ হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন।

সংস্থাটির জানিয়েছে, চলতি মাসের শুরু থেকেই সংক্রমণে হঠাৎ ঊর্ধ্বগতি শুরু হয়েছে। এ মাসের প্রথম ১১ দিনের মধ্যে সাত দিনেই দৈনিক নতুন রোগী শনাক্তের হার ২ লাখ ছাড়িয়েছে। বাকি চার দিন ছিল ২ এর কিছুটা নিচে। তবে গড়ে প্রতিদিন অন্তত দুই লাখ মানুষ প্রাণঘাতী এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। অথচ জুন মাসেও করোনার গড় সংক্রমণের হার ছিল দেড় লাখের নিচে। 

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, বিশ্বজুড়ে করোনা পরিস্থিতির দিনে দিনে অবনতি ঘটছে। আরও দ্রুত বিস্তার ঘটাচ্ছে মহামারি এই ভাইরাস। তাই বিশ্বের সরকারগুলোকে করোনা প্রতিরোধে আরও কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি।

যেসব দেশে ঘটছে বেশি সংক্রমণ  
সংস্থাটি বলছে, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে যে সোয়া দুই লাখের বেশি রোগী শনাক্ত হয়েছে এর উল্লেখযোগ্য সংখ্যক সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে কয়েকটি দেশে। এর মধ্যে শীর্ষ সংক্রমিত তিন দেশ হলো যুক্তরাষ্ট্র, ব্রাজিল এবং ভারত। তালিকায় আরেকটি নাম হলো দক্ষিণ আফ্রিকায়। সেখানেও সংক্রমণ বাড়ছে খুব দ্রুতই।

সংস্থাটির তথ্য অনুযায়ী, এতদিন পর্যন্ত সর্বোচ্চ সংক্রমণের রেকর্ড হয়েছিল গত ৪ জুলাই। ওইদিন বিশ্বজুড়ে সর্বোচ্চ ২ লাখ ১২ হাজার ৩২৬ জন কোভিড-১৯ পজিটিভ হিসেবে শনাক্ত হন। এরপর তা আরও বাড়ছেই। তবে দৈনিক মৃত্যুর গড় হার পাঁচ হাজারের নিচে রয়েছে।

মৃত্যুর সংখ্যাও বাড়তির দিকে 

সংক্রমণের তুলনায় মৃত্যু অতটা না বাড়লেও মৃত্যুর সংখ্যা একটু একটু করে বাড়তির দিকে যাচ্ছে বলে মনে হচ্ছে। গত জুনেও দৈনিক গড়ে দেড় লাখের কম রোগী শনাক্ত হয়েছে, মারা গেছেন সাড়ে ৪ হাজারের কিছু বেশি। চলতি মাসে তা বাড়তে শুরু করেছে। প্রথম দশ দিনের হিসাবেই তা স্পষ্ট।
 

মেডিভয়েসের জনপ্রিয় ভিডিও কন্টেন্টগুলো দেখতে সাবস্ক্রাইব করুন MedivoiceBD ইউটিউব চ্যানেল। আপনার মতামত/লেখা পাঠান [email protected] এ।
  ঘটনা প্রবাহ : করোনাভাইরাস