২৮ জুন, ২০২০ ১১:৪০ পিএম

বিএসএমএমইউর কোভিড ইউনিট চালু ৩০ জুন

বিএসএমএমইউর কোভিড ইউনিট চালু ৩০ জুন

মো. মনির উদ্দিন: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) করোনা ইউনিট চালু হচ্ছে ৩০ জুন। এ লক্ষ্যে সকল প্রস্তুতি প্রায় সম্পন্ন করা হয়েছে। হাইফ্রো নেজাল ক্যানুলার মাধ্যমে চিকিৎসা দেওয়ার জন্য এখন এগিয়ে চলছে সেন্ট্রাল অক্সিজেন লাইনের কাজ। এটি সম্পন্ন হলে দেশের সর্বোচ্চ চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানে চালু হবে বহুপ্রতীক্ষিত কোভিড-১৯ ইউনিটের কার্যক্রম।  

জানতে চাইলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া মেডিভয়েসকে বলেন, ‘কোভিড-১৯ ইউনিটের সব প্রস্তুতি প্রায় সম্পন্ন। আগামী ২-৪ দিনের মধ্যে চালু করে দেবো। দ্রুততম সময়ের মধ্যে চালু করার ইচ্ছা ছিল। তবে সেন্ট্রাল অক্সিজেন লাইনের কিছু কাজ বাকি আছে। এগুলে শেষ হতে ১/২ দিন সময় লাগবে। তার পরে চালু হয়ে যাবে। ৩০ জুন অথবা ১ জুলাই চালু হতে পারে।’ 

সক্ষমতার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘বেতার ভবনে আইসোলেশনের জন্য আছে ১২০ শয্যা। এখানে কেবিন ব্লকে আড়াইশ’ শয্যা।’

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ডা. এ বি এম আব্দুল হান্নান মেডিভয়েসকে বলেন, আপাতত সাড়ে তিনশ’ শয্যা নিয়ে যাত্রা শুরু হবে। এজন্য লোকবল থেকে শুরু করে অনেক কিছু দরকার। অক্সিজেনের পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকতে হবে। পাশাপাশি ইনফাস্ট্রাকচারসহ অনেক কিছুর জন্যই সময় দরকার। আগে থেকে এজন্য কোনো প্রস্তুতি ছিল না। যন্ত্রপাতি কেনাসহ এসবের জন্য সময় দরকার। সফল ও সুন্দর চিকিৎসার জন্য সবার দোয়া প্রত্যাশা করছি, যাতে সর্বোচ্চ প্রতিষ্ঠান হিসেবে বিএসএমএমইউর সুনাম অক্ষুণ্ণ থাকে। 

প্রস্তুতি কোন পর্যায়ে আছে জানতে চাইলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জুলফিকার আহমেদ আমিন মেডিভয়েসকে বলেন, ‘কাজ প্রায় চূড়ান্ত পর্যায়ে আছে। এখন মূলত সেন্ট্রাল অক্সিজেন লাইনের জন্য অপেক্ষা। এর মাধ্যমে সব রোগীর হাইফ্রো নেজাল ক্যানুলার মাধ্যমে চিকিৎসা দেওয়া যাবে। এ সুবিধা খুব কম হাসপাতালেই আছে। এখানে সব কয়টি শয্যায় অক্সিজেন দেওয়ার জন্য এ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। আর এ কারণেই দেরি হয়ে যাচ্ছে। এ মাসের টার্গেট নিয়ে এগুচ্ছি। খুব বেশি হলে ১/২ দেরি হতে পারে।’

দেশের সংকটময় মুহূর্তে গুরুত্বপূর্ণ একটি কাজ সম্পাদনের অংশীদার হতে পারার অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে বিএসএমএমইউ পরিচালক বলেন, ‘খুবই ভালো বোধ করছি। দেশের এ রকম একটি পরিস্থিতিতে জনগণের সেবা করার চেয়ে আনন্দের কিছু হয় না। হাসপাতালের সকল প্রশাসনিক কর্মকর্তা, সকল চিকিৎসক অত্যন্ত ভালো বোধ করছেন। এ জাতীয় কিছু করার ও জনগণের পাশে থাকতে পারার মাধ্যমে আমরা দেশের জন্য অবদান রাখার সুযোগ পাচ্ছি। এটি বিশাল সুযোগ।’ 

বিএসএমএমইউর কোভিড ডেডিকেটেড ইউনিটের জন্য গত ১ জুন কাজ শুরু হয়। আড়াইশ’ শয্যার ইউনিট করার লক্ষ্য নিয়ে কাজ এগিয়ে নেয় কর্তৃপক্ষ। 

মেডিভয়েসের জনপ্রিয় ভিডিও কন্টেন্টগুলো দেখতে সাবস্ক্রাইব করুন MedivoiceBD ইউটিউব চ্যানেল। আপনার মতামত/লেখা পাঠান [email protected] এ।
  ঘটনা প্রবাহ : করোনাভাইরাস
  এই বিভাগের সর্বাধিক পঠিত