থ্যালাসেমিয়া সম্পর্কে সচেতনতা না থাকায় রোগীর সংখ্যা বাড়ছে

মেডিভয়েস রিপোর্ট: আজ ৮ মে, বিশ্ব থ্যালাসেমিয়া দিবস। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য বিষয় ‘থ্যালাসেমিয়ার জন্য সামাজিক ঐক্য গড়ি, রোগীর অগ্রাধিকার নিশ্চিত করি’। থ্যালাসেমিয়া রোগ এবং এর প্রতিকার সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে প্রতি বছর এদিনে বিশ্বব্যাপী দিবসটি পালন করা হয়।
বাংলাদেশ থ্যালাসেমিয়া ফাউন্ডেশন জানিয়েছে, দেশে থ্যালাসেমিয়া রোগ নিয়ে প্রতিদিন অন্তত ২০টি শিশুর জন্ম হচ্ছে। গত এক দশক আগে এ সংখ্যা ছিল ১০টির নিচে। এ রোগ নিয়ে তেমন জনসচেতনতা না থাকায় রোগীর সংখ্যা বাড়ছে।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) তথ্য মতে, থ্যালাসেমিয়ার বাহক দেশের প্রায় এক কোটি ৮২ লাখ মানুষ, যা মোট জনসংখ্যার ১১.৪ শতাংশ। গ্রামাঞ্চলে থ্যালাসেমিয়ার বাহক ১১.৬ শতাংশ এবং শহরে ১১ শতাংশ।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, থ্যালাসেমিয়া একটি বংশগত রক্তের রোগ। এই রোগ হলে রক্তে হিমোগ্লোবিন উৎপাদন প্রয়োজনের চেয়ে কম পরিমাণে হয় বা একেবারেই হয় না। এই হিমোগ্লোবিনের মাধ্যমে লোহিত রক্তকণিকা দেহের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গে অক্সিজেন সরবরাহ করে। শরীরের ভেতরে অক্সিজেন চলাচল কম হওয়ায় শারীরিকভাবে দুর্বল বোধ করেন থ্যালাসেমিয়া রোগীরা। তাদের ত্বক ফ্যাকাসে দেখায় ও তাদের শ্বাস-প্রশ্বাসে সমস্যা হয়। এছাড়া অরুচি, জন্ডিস, বারবার সংক্রামক রোগে আক্রান্ত হওয়া, পেট ব্যথা এবং শারীরিক বৃদ্ধিতে ধীরগতির মতো উপসর্গও দেখা যায়।
চিকিৎসকরা বলছেন, থ্যালাসেমিয়া এমন একটি রোগ, যার জন্য আজীবন চিকিৎসা চালিয়ে যেতে হয় রোগীদের। প্রতি মাসে রক্তের জোগান ও ওষুধ কিনতে একজন রোগীর সর্বনিম্ন ১৩ হাজার টাকার মতো খরচ হয়। এতে আর্থিক সংকটে পড়ে অনেক পরিবার। এছাড়া রোগী আজীবন পারিবারিক ও সামাজিক অবহেলার মধ্যে থাকে।
এসআইএস/এনএআর/