০৮ অক্টোবর, ২০২৩ ০৩:০১ পিএম

একটি মৃত্যু একটি পরিবারের ধ্বংস নিয়ে আসে: মেয়র আতিক

একটি মৃত্যু একটি পরিবারের ধ্বংস নিয়ে আসে: মেয়র আতিক
ছবি: সংগৃহীত

মেডিভয়েস রিপোর্ট: ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে এখন থেকে ওয়ার্ডের পরিবর্তে থানাভিত্তিক মশক নিধন কার্যক্রম পরিচালনা করবে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)।

আজ রোববার (৮ অক্টোবর) বাড্ডা লিংক রোড ও নতুন বাজার এলাকায় ডিএনসিসির চলমান ডেঙ্গু বিরোধী অভিযানে ঝটিকা পরিদর্শনে গিয়ে এসব তথ্য জানান ডিএনসিসি মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম।

তিনি বলেন, ‘অক্টোবর মাসে এখন বৃষ্টি হচ্ছে আবার রোদ হচ্ছে, এডিস মশার লার্ভা বিস্তারের জন্য এটি অনুকূল আবহাওয়া। এজন্য আমরা উত্তর সিটি করপোরেশন একটি নতুন পরিকল্পনা নিয়েছি। আমাদের আওতাধীন প্রতিটি ওয়ার্ড এখন থানায় ভাগ করে ফেলেছি। অর্থাৎ আমাদের এডিস মশা নিধন কার্যক্রম এখন থানাভিত্তিক চলবে। এতে আমরা বেশি এলাকায় যেতে পারবো এবং মশা নিধন করতে পারবো।’

নতুন এই পরিকল্পনা সম্পর্ক তিনি আরও বলেন, ‘প্রতিটি থানাকে প্রথমে ছয়টি জোনে ভাগ করেছি। আবার এই ছয়টি জোনের প্রতিটিকে ১০ ভাগ করে নিয়েছি। অর্থাৎ প্রতিটি থানাকে ৬০ ভাগ করা হয়েছে। প্রতিটি ভাগে শনিবার (৭ অক্টোবর) থেকে আমাদের টিম মশা নিধনের কাজ করছে। আগামী বৃহস্পতিবার পর্যন্ত এই কার্যক্রম চলবে। এরপর আমরা সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে জরিপ করবো এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তরকেও জরিপ করতে বলবো। জরিপ করার পর যদি আবহাওয়াবিদরা বলেন আবার বৃষ্টি এবং রোদ হতে পারে, তাহলে আমরা আমাদের এ কার্যক্রম আরো এক সপ্তাহ বাড়িয়ে দেবো।’

জনগণের সহযোগিতা চেয়ে তিনি বলেন, আমরা চাই না জরিমানা করতে। এডিস মশা ড্রেনে হয় না, বাসা বাড়িতে হচ্ছে। বিশেষ করে যেখানে কার পার্কিং, গাড়ি ধোয়ার কাজ করা হয়, সেখানে এডিস মশা জন্মাচ্ছে। গাড়ি ধোয়ার পর সেই জায়গায় একটু ব্লিচিং পাউডার, কেরোসিন ছিটিয়ে দিলেই হয়। আমাদের অভিযান সাতদিন, সাতদিন করে চলবে। পাশাপাশি আমি সবাইকে অনুরোধ করবো, পাড়া-মহল্লা, মসজিদ, প্যাগোডা, স্কুলে সব জায়গায় যেন আলোচনার বিষয়বস্তু হয় এডিস মশা। এটিকে কোনোভাবে ছোট করে দেখার অবকাশ নেই। একটি মৃত্যু একটি পরিবারের ধ্বংস নিয়ে আসে। তাই আমরা সবাই একটি সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলি, এডিস মশার জন্য যার যার বাসা বাড়ি পরিষ্কার রাখি।

তিনি আরও বলেন, জনগণকে যত বেশি সম্পৃক্ত করতে পারবো, ততবেশি আমরা এডিস মশা থেকে নিজেদের বাঁচাতে পারবো। অক্টোবর মাসে ডেঙ্গু নেই এটি আমরা যেন মোটেই না ভাবি। এখনও আমরা চ্যালেঞ্জের মধ্যে আছি। এ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করার জন্য আমি জনসাধারণকে অনুরোধ করবো, আপনারা কোথাও পানি জমা দেখলে আমাদের হটলাইনে কল করুন। এছাড়া আমাদের ওয়েবসাইটে গেলে এখন দেখা যাবে, কোনো ওয়ার্ডে কে মশক সুপারভাইজার, কে সহকারী হেলথ অফিসার, কে ডেপুটি সহকারী হেলথ অফিসার। সবার নাম্বার দেওয়া আছে। এ তথ্য আপনারা (রাজধানী বাসী) ব্যবহার করতে পারবেন।

প্রসঙ্গত, চলতি বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত ১০৭৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। এসময় ২ লাখ ২০ হাজার ৮২২ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন।

এএইচ/

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে এমবিবিএস গ্র্যাজুয়েটদের আবেদন

বিসিএস পরীক্ষা: সবার বয়স বাড়লেও সুখবর নেই চিকিৎসকদের

ইটনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে

আউটডোরে ৪৫০-৫০০ রোগী দেখেন ২ চিকিৎসক

  এই বিভাগের সর্বাধিক পঠিত
এক দিনে চিরবিদায় পাঁচ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক
করোনা ও বার্ধক্যজনিত অসুস্থতা

এক দিনে চিরবিদায় পাঁচ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক