ঔষধ ও কসমেটিকসসহ ৩ আইন সংসদে পাস হতে পারে আজ

মেডিভয়েস রিপোর্ট: ঔষধ ও কসমেটিকস আইন-২০২৩, বাংলাদেশ চিকিৎসা শিক্ষা এক্রিডিটেশন আইন-২০২৩ এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (সংশোধন) আইন-২০২৩ নামে তিনটি আইন আজ বৃহস্পতিবার (৭ সেপ্টেম্বর) সংসদে পাস হতে পারে। এ লক্ষ্যে বিকেল ৫টায় আইন তিনটি জাতীয় সংসদে উঠছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
ঔষধ ও কসমেটিকস আইন
এর আগে গত ৬ ফেব্রুয়ারি সর্বোচ্চ যাবজ্জীবন শাস্তির বিধান রেখে নতুন নামে চূড়ান্ত অনুমোদন পায় ঔষধ ও কসমেটিকস আইন-২০২৩। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্ব অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে এই অনুমোদন দেয়া হয়।
অনুমোদিত নতুন আইনে মোট ৩০টি শাস্তির বিধান রয়েছে। এর মধ্যে চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র ছাড়া অ্যান্টিবায়োটিক ঔষধ বিক্রি করলে ২০ হাজার টাকা জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে।
লাইসেন্স ছাড়া ওষুধ বিক্রি, সরকারি ওষুধ বিক্রি ও লাইসেন্স ছাড়া ওষুধ আমদানি করলে ১০ বছর বা ১০ লাখ টাকার জরিমানা করা হবে।
ওষুধ প্রশাসনের বিধির আওতায় কসমেটিকস ব্যবসায়ীদের নতুন আইন অনুযায়ী লাইসেন্স নিতে হবে।
প্রণীত ওষুধ ও কসমেটিকস আইন ২০২৩-এর একটি উল্লেখযোগ্য দিক হলো, ফার্মাসিস্টের পরিচয় নির্দিষ্টকরণ। আইনে ফার্মাসিস্টের সংজ্ঞায় বলা হয়েছে ‘ফার্মাসিস্ট’ হলো বাংলাদেশ ফার্মেসি কাউন্সিলের ‘এ’ ক্যাটাগরিতে নিবন্ধিত ফার্মাসিস্ট। নতুন আইনে ফার্মেসি কাউন্সিলের ‘বি’ ও ‘সি’ ক্যাটাগরিতে নিবন্ধিত ব্যক্তিরা যথাক্রমে ‘ডিপ্লোমা ফার্মাসিস্ট’ ও ‘ফার্মেসি টেকনিশিয়ান’ নামে পরিচিত হবেন।
প্রসঙ্গত, ফার্মেসি অধ্যাদেশ ১৯৭৬-এ ফার্মেসিতে স্নাতকধারী গ্র্যাজুয়েটরা, ফার্মেসিতে ডিপ্লোমা পাস করা ব্যক্তিরা ও তিন মাসের ফার্মেসি সার্টিফিকেট কোর্স সম্পন্নকারী ব্যক্তিদের যথাক্রমে এ-গ্রেড, বি-গ্রেড ও সি-গ্রেড ফার্মাসিস্ট বলার বিধান ছিল।
বাংলাদেশ চিকিৎসা শিক্ষা অ্যাক্রেডিটেশন বিল, ২০২৩
বিদেশে চিকিৎসকসহ মেডিকেল টেকনিশিয়ানদের চাকরি ও উচ্চশিক্ষার পথ সুগম করতে গত ১৪ জুন ‘বাংলাদেশ চিকিৎসা শিক্ষা অ্যাক্রেডিটেশন বিল, ২০২৩’ বিল জাতীয় সংসদে উপস্থাপন করা হয়।
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালিক উত্থাপনের বিলটি পরীক্ষা করে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য ১৫ দিনের সময় দিয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটিতে পাঠানো হয়।
প্রায় আড়াই বছর আগে ২০২১ সালের ১৯ ডিসেম্বর এই আইনের খসড়ায় নীতিগত অনুমোদন দেয় মন্ত্রিসভা।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও ওয়ার্ল্ড ফেডারেশন ফর মেডিক্যাল এডুকেশনের যৌথ টাস্কফোর্সের সুপারিশ অনুযায়ী, ২০২৩ সালের মধ্যে সব দেশকে একটি অ্যাক্রেডিটেশনের মধ্যে আসার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। এর মধ্যে যদি না আসে, তাহলে সে দেশের কোনো চিকিৎসক বা টেকনিক্যাল হেলথ পারসন অন্য দেশে স্বীকৃত হবেন না বা তাদের শিক্ষার্থীরা অন্য দেশে গিয়ে শিক্ষাও গ্রহণ করতে পারবেন না।
বিলে বলা হয়েছে, এই আইনের অধীনে একটি অ্যাক্রেডিটেশন কাউন্সিল থাকবে। সেই কাউন্সিলই অ্যাক্রেডিটেশনের বিষয়গুলো দেখভাল করবে, নীতিমালা প্রণয়ন করবে। ১৯ সদস্যের এই কাউন্সিল আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে অ্যাক্রেডিটেশনের মানদণ্ড নির্ধারণ করবে।
বিলের উদ্দেশ্য ও কারণ সংবলিত বিবৃতিতে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপটের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে চিকিৎসা শিক্ষা অ্যাক্রেডিটেশন কাউন্সিল গঠন এবং এ সংক্রান্ত বিধি-বিধান করতে এই আইনটি অতি প্রয়োজনীয় ও যুক্তিযুক্ত।’
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় আইন ২০২৩
গত ১৭ জুলাই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (সংশোধন) আইন ২০২৩ এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে মন্ত্রিসভায়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ অনুমোদন দেয়া হয়।
বৈঠক শেষে সচিবালয়ে ব্রিফিংয়ে জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন জানান, অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলরের (ভিসি) মেয়াদ চার বছর হলেও শুধু এটিতেই ছিল ৩ বছর। এই সংশোধনীর ফলে এখানেও ভিসির মেয়াদ হবে চার বছর। একই সঙ্গে প্রো-ভিসি ও ট্রেজারের মেয়াদও চার বছর হবে।
এদিকে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) সব বিশ্ববিদ্যালয়ে একটা ইনস্টিটিউশনাল কোয়ালিটি অ্যাসুরেন্স সেল তৈরির যে নির্দেশনা দিয়েছিল, সেটি আইনের মধ্যে নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যয় মহাহিসাব নিরীক্ষকের আওতায় ব্যয় নিরীক্ষার বিধান আগে ছিল না, এ সংশোধনীতে সেই সুযোগ রাখা হয়েছে।
আগের আইনে চ্যান্সেলর, ভাইস চ্যান্সেলর, ট্রেজারার শব্দগুলোর ব্যবহার থাকলেও সংশোধনীতে এ শব্দগুলোর বাংলা আচার্য, উপাচার্য এবং কোষাধ্যক্ষ ব্যবহার করার অনুমোদন দেয়া হয়েছে।

দ্য বাংলাদেশ এন্টি ড্রাগ ফেডারেশনের কর্মশালা
আসক্তি ভুলে তরুণদের ক্যারিয়ার গঠনে মনোযোগের আহ্বান
দ্য বাংলাদেশ এন্টি ড্রাগ ফেডারেশনের কর্মশালা
আসক্তি ভুলে তরুণদের ক্যারিয়ার গঠনে মনোযোগের আহ্বান
