
ডা. হাবিবুর রহমান
জুনিয়র কনসালটেন্ট (এনেস্থেশিয়া),
পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল
২২ অগাস্ট, ২০২৩ ০৯:০৫ পিএম
যাদের যোগসাজশে প্রশ্নফাঁস, তারা ধরাছোঁয়ার বাইরে

মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁস এখন সর্বাধিক আলোচিত বিষয়ের একটি। প্রশ্নফাঁসের মূল হোতাদের ধরা হচ্ছে, এটা আশার খবর। কিন্তু যাদের সহযোগিতা, ইন্ধন বা যোগসাজশে তারা প্রশ্নফাঁস করেছে, তারা এখনও ধরাছোঁয়ার বাইরে। এটা হতাশার খবর।
এ ছাড়া প্রশ্নফাঁসকে গুজব বলে উড়িয়ে দেওয়া ভদ্রলোককে এখন আর ধরার কোনো সুযোগ নেই, এটা কষ্টের খবর।
২০০৬ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত ১৬ বছরে কত শত মেধাবী মেডিকেলে ভর্তি হতে না পারার কষ্ট, হাহাকার এবং দীর্ঘশ্বাস বয়ে বেড়াচ্ছে এখনও। মনে মনে অভিশাপ দিচ্ছে সেই সব পাপিষ্ঠদের, যারা প্রশ্ন কিনে চান্স পেয়েছে।
তাদেরই কি বলার আছে! বুকে হাত দিয়ে বলতে পারি, এ রকম সুযোগ পেলে প্রিপারেশন যতই ভালো হোক না কেন, টাকা-পয়সা থাকলে আমিও ঝুঁকি নিতাম না, তারাও নেয়নি। সুযোগ পেয়েছে, লুফে নিয়েছে। এখন ধরা খাওয়ার পর তাদেরকে নিয়ে আমরা ট্রল করছি, হাসি-তামাশা করছি।
কাকে দোষ দেবো? দোষটা আসলে পদ্ধতির। যেই পদ্ধতিতে প্রশ্ন ফাঁস করার সুযোগ রাখা হয়, যেই পদ্ধতিতে এটাকে গুজব বলে উড়িয়ে দেওয়া হয়।
বুয়েটে যুগ যুগ ধরে পরীক্ষা হচ্ছে। কিন্তু সেখানে তো কোনোদিন প্রশ্নফাঁসের খবর শুনিনি!
পরিশেষ বলবো, প্রশ্নফাঁসকারীদের শাস্তি হওয়া উচিত, কঠিন শাস্তি।
-
২৪ অগাস্ট, ২০২৩
-
২২ অগাস্ট, ২০২৩