সীতাকুণ্ডে অক্সিজেন প্ল্যান্টে বিস্ফোরণ, নিহত ৬
মেডিভয়েস রিপোর্ট: চট্টগ্রামের বিএন কন্টেইনার ডিপোতে হাইড্রোজেন পার-অক্সাইড বিস্ফোরণে ৫১ জন নিহতের ৮ মাসের মাথায় সীতাকুণ্ডের কদম রসুল এলাকায় একটি অক্সিজেন প্ল্যান্টে ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এতে ৬ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এই ঘটনায় কমপক্ষে আরও ৩৩ জন আহত হয়েছেন। বাড়তে পারে নিহতের সংখ্যা।
শনিবার (৪ মার্চ) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতদের মধ্যে পাঁচজন হলেন-শামসুল আলম (৬৫), ফরিদ (৩৬), রতন লখরেট (৪৫), আব্দুল কাদের (৫৬) ও মো. সালাউদ্দিন (৩৩)। অপর ব্যক্তির পরিচয় পাওয়া যায়নি।
আহত ৩৩ জনের মধ্যে ১৮ জনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তারা হলেন- ১. ফোরকান আলী (৩৩), ২. মো. নূর হোসেন (৩০), ৩. মোতালেব (৫২), ৪. মো. আরাফাত (২২), ৫. মাকসুদুল আলম (৬০), ৬. মো. ওসমান (৪৫), ৭. মো. সোলায়মান (৪০), ৮. মো. রিপন (৪০), ৯. মো. আজাদ, ১০. মো. রিপন মারুফ (৬০), ১১. প্রবেশ (৪০), ১২. নারায়াণ ধর (৬৪), ১৩. মো. জসিম (৫০), ১৪. ফেন্সি (২৬), ১৫. মো. জাহেদ (৩০), ১৬. মুজিবুল হক (৪৫), ১৭. রোজী বেগম (২০) ও ১৮. নাসিম শাহরিয়ার (২৬)।
চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ সুপার এস এম শফিউল্লাহ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে সাংবাদিকদের বলেন, ‘ফায়ার সার্ভিসের আগ্রাবাদ, কুমিরা ও সীতাকুণ্ড স্টেশনের সাতটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে বিস্ফোরণের ফলে সৃষ্ট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে। বিকেল ৫টা ৪০ মিনিটের দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বিস্ফোরণে বেশকিছু অক্সিজেনবাহী ট্রাক ও স্থাপনা ধ্বংস হয়েছে। ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা সেখানে উদ্ধার অভিযান চালাচ্ছেন। কারখানায় ফার্নেস অয়েলে লোহা গলানোর কাজ করার সময় বিস্ফোরণ ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে।’
এদিকে, প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে মাত্রাবহির্ভূত অপরিশোধিত বিষাক্ত বায়ু ছেড়ে দীর্ঘদিন ধরে পরিবেশ দূষণ করার অভিযোগ আছে। পরিবেশের শর্ত ভঙ্গ এবং পরিবেশের ক্ষতি সাধন করার অপরাধে প্রতিষ্ঠানটিকে বেশ কয়েকবার জরিমানা করেছিল পরিবেশ অধিদপ্তর। এ ছাড়া প্রতিষ্ঠানটিতে এর আগেও বেশ কয়েকবার দুর্ঘটনা ঘটেছিল। তবে সেগুলো এতো ভয়াবহ ছিল না। এরমধ্যে ২০১৭ সালের ১৬ই জুলাই সেখানে বিস্ফোরণে ৯ শ্রমিক দগ্ধ হয়। ২০২০ সালের ১৪ই জুন এই কারখানায় আরেক বিস্ফোরণে ৫ জন শ্রমিক গুরুতর ভাবে দগ্ধ হয়।
প্রসঙ্গত, সীমা অটো রি-রোলিং মিলস থেকে মাত্র এক কিলোমিটার দূরে অবস্থিত বিএন কনটেইনার ডিপোতে গত বছরের ৪ঠা জুন হাইড্রোজেন পার-অক্সাইড বিস্ফোরণে ১৩ জন ফায়ার কর্মীসহ ৫১ জন নিহত হন। এ সময় আহত হন অসংখ্য মানুষ। এ ঘটনায় ডিপোর মালিকপক্ষকে বাদ দিয়ে ৮ কর্মকর্তা-কর্মচারীকে আসামি করে মামলা হয়েছিল। সে সময় প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ করে দেয় প্রশাসন। পরে গত ২২শে আগস্ট ডিপোর আংশিক এবং ৬ই নভেম্বর পুরোপুরি খুলে দেয়া হয়।
এএইচ
-
০৭ ডিসেম্বর, ২০২৩
-
২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৩
-
০১ সেপ্টেম্বর, ২০২৩
-
০১ মে, ২০২৩
-
২৩ মার্চ, ২০২৩
-
১৪ মার্চ, ২০২৩
-
০৮ মার্চ, ২০২৩