খেলা একটি সাময়িক চোখের নেশা

গতকাল পার্কে একজন বিস্ময় প্রকাশ করে বললেন, এখনো একটা খেলাও দেখেননি! বললাম অর্ধেকটা দেখেছি। চেম্বার থেকে হেঁটে হেঁটে বাসায় ফেরার পথে দেখলাম ব্রাজিল আর ক্রোয়েশিয়ার মধ্যে খেলা চলছে। বাসায় গিয়ে সাড়ে নয়টা পর্যন্ত খেলা দেখলাম তারপর ঘুমাতে গেলাম। এটাই যে আমার ঘুমের সময়। কতক্ষণ পর-ই আঁতশবাজির শব্দে ঘুম ভেঙে গেলে বুঝতে পারি হয়তো ব্রাজিল গোল দিয়েছে।
শেষ রাতের দিকে আবারো আঁতশবাজির শব্দে ঘুম ভেঙে গেলে বুঝতে পারলাম এবার বোধহয় আর্জেন্টিনা গোল দিয়েছে। সকালে উঠে জানতে পারলাম ব্রাজিল হেরে গেছে আর আর্জেন্টিনা জিতেছে।
এতো গুরুত্বপূর্ণ খেলা আর আপনি ঘুমাতে পারলেন? তারাতো দিনের বেলায়ই খেলেছে। আমি কেন আমার ঘুম নষ্ট করবো?
এটা তাদের পেশা, মিলিয়ন মিলিয়ন ডলারের পেশা। এখানে তারা সর্বোচ্চ পেশাদারিত্ব দেখায়। সময়ের সর্বোচ্চ ব্যবহারের চেষ্টা করে। শুধুমাত্র টাকার জন্য নিজের দীর্ঘদিনের ক্লাব ছেড়ে অন্য ক্লাবে চলে যায়। এমনকি অন্য দেশের হয়ে নিজ দেশের জালে বল ঢুকাতেও দেখেছি।
আর আমরা বড়োই কিউট! আমার ছেলে বলে এমন পরীক্ষা অনেক আসবে, এমন খেলা কি বারে বারে আসবে নাকি? আমরা ইন্টারের অংক পরীক্ষার আগের রাতে সারারাত খেলা দেখি। আমরাই জমি বেঁচে তিন কিলোমিটার দীর্ঘ ভীনদেশী পতাকা বানাই।
আমরাই মায়ের গহনা চুরি করে বিক্রি করি খেলা দেখার খরচ মিটাতে। আমরাই ব্রাজিল আর্জেন্টিনার পরাজয়ে চোখের জল ফেলি, খানদানা বন্ধ করে দেই, কখনো খুন করি কখনো নিজে আত্মহত্যা করি। আচ্ছা, অন্য দলগুলোওতো জিততেই এসেছে, নাকি? তারাও ফুটবল খেলে, কম্পিটিশন করেই এসেছে, তাদেরও দেশ আছে, তাদেরও সমর্থক আছে, থাকবেই।
সর্বোপরি এটা খেলা,সাময়িক চোখের নেশা। সাময়িক খেল তামাশা ছাড়া আর কিছুই না । আমার কথায় হতাশ হচ্ছেন, আমাকে বিরস ভাবছেন। আচ্ছা, ফাইনাল খেলার সময় যদি আপনি বা আপনার প্রিয়জন হার্ট এটাক নিয়ে আসেন আমি কি খেলা দেখতেই থাকবো?
-
১৩ ডিসেম্বর, ২০২২
-
২৩ মে, ২০২২
-
১০ অগাস্ট, ২০২১
-
০১ জানুয়ারী, ২০২০
-
৩০ অক্টোবর, ২০১৯
-
২৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৯
-
২৮ জুন, ২০১৯
-
১১ নভেম্বর, ২০১৮
-
১৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৮
-
০৩ ফেব্রুয়ারী, ২০১৮

পিতাকে নিয়ে ছেলে সাদি আব্দুল্লাহ’র আবেগঘন লেখা
তুমি সবার প্রফেসর আবদুল্লাহ স্যার, আমার চির লোভহীন, চির সাধারণ বাবা
