একদিন পরই স্বাচিপের সম্মেলন, নেতৃত্বে আসছেন কারা?
সাখাওয়াত হোসাইন: আগামী ২৫ ডিসেম্বর বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সহযোগী চিকিৎসকদের সংগঠন স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) ৫ম জাতীয় সম্মেলন। রাজধানীর ঐতিহাসিক শহীদ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অনুষ্ঠিত হবে এ সম্মেলন। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
ইতিমধ্যে সম্মেলন ঘিরে শুধু চিকিৎসকসহ সারা দেশে নেতাকর্মীদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা সৃষ্টি হয়েছে। এ নিয়ে সবার মধ্যে একটাই প্রশ্ন ঘোরপাক খাচ্ছে, কারা আসছেন স্বাচিপের নতুন নেতৃত্বে? কিন্তু কাঙ্খিত এই নতুন নেতৃত্ব সম্মেলনের মাধ্যমেই উঠে আসবে।
জানা গেছে, বর্তমানে দেশে স্বাচিপের সদস্য সংখ্যা ২০ হাজারেরও বেশি। সংগঠনটির প্রতি পাঁচ বছর পর পর সম্মেলন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। ২০১৫ সালের ১৩ নভেম্বর স্বাচিপের সর্বশেষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হলেও ওইদিন কমিটি গঠনের দায়িত্ব প্রধানমন্ত্রীর ওপর ছেড়ে দিয়ে সম্মেলন স্থগিত করা হয়। সম্মেলনের পাঁচ দিন পর ১৮ নভেম্বর অধ্যাপক ডা. ইকবাল আর্সলানকে সভাপতি ও অধ্যাপক ডা. মো. আবদুল আজিজকে মহাসচিব নির্বাচিত করে কমিটি ঘোষণা করা হয়। স্বাচিপের এ সম্মেলন আরও আগে হওয়ার কথা থাকলেও করোনাসহ নানা জটিলতার কারণে ৫ম জাতীয় সম্মেলনের আয়োজন করা সম্ভব হয়নি।
স্বাচিপ সূত্রে জানা গেছে, সম্মেলন হলেও নেতৃত্ব নির্বাচনের দায়িত্ব কাউন্সিলররা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপর ছেড়ে দিবেন। তিনি যাদেরকে নির্বাচন করবেন, তারাই হবেন বঙ্গবন্ধুর আদর্শের চিকিৎসকদের সংগঠন স্বাচিপের নেতা।
এদিকে স্বাচিপের সিনিয়র কয়েকজন নেতা বলেন, ২০২৪ সালের শুরুতে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনের আগে স্বাচিপের নেতৃত্বে পরীক্ষিত নেতাদের পদ দিতে হবে। এক যুগেরও বেশি সময় ধরে দল ক্ষমতায় থাকায় অনেক সুযোগসন্ধানী কথিত স্বাচিপ নেতা তৈরি হয়েছে। স্বাচিপের দুর্দিনে যাদের দেখা যায়নি এখন তাদের অনেকেই বড় নেতার সাজে সেজেছেন। এ কারণে এবারও দলীয় প্রধানের কাছ থেকেই স্বাচিপের শীর্ষ নেতা অর্থাৎ সভাপতি ও মহাসচিবসহ গুরুত্বপূর্ণ পদের ঘোষণা আসতে পারে।
সংগঠনটির সভাপতি ও মহাসচিব পদে বেশ কয়েকজন চিকিৎসক আলোচনায় রয়েছেন। এর মধ্যে সভাপতি পদে আলোচনায় রয়েছেন বর্তমান মহাসচিব অধ্যাপক ডা. এমএ আজিজ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি ও প্রখ্যাত নিউরোসার্জন অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া, সাবেক ভিসি অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান, বর্তমান ভিসি অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ, আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যাবিষয়ক সম্পাদক ডা. রোকেয়া সুলতানা এবং স্বাচিপের বর্তমান সভাপতি অধ্যাপক ডা. ইকবাল আর্সলান।
আর মহাসচিব পদে আলোচনায় আছেন স্বাচিপের বর্তমান কোষাধ্যক্ষ ও স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবু ইউসুফ ফকির, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিসিন অনুষদের ডিন ডা. শাহরিয়ার নবী শাকিল, বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের সাংগঠনিক সম্পাদক এবং স্বাচিপের কার্যকরি কমিটির সদস্য ডা. মো. তারিক মেহেদী (পারভেজ), বিএসএমএমইউর সার্জারি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ হোসেন, জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান মিলন ও ডা. কাজল কুমার কর্মকার।
জানতে চাইলে বিএসএমএমইউর সাবেক ভিসি ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া মেডিভয়েসকে বলেন, স্বাচিপের সম্মেলন অত্যন্ত সুশৃঙ্খল ও সফল হবে। বিভিন্ন জেলা থেকে চিকিৎসকরা আসবেন এবং উৎসমুখর পরিবেশে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। বঙ্গবন্ধুর আদর্শের অনুসারী চিকিৎসকদের মাঝে প্রবল আগ্রহ ও উদ্দীপনা দেখা যাচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের সাংগঠনিক নেত্রী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তাঁর উপরই কাউন্সিলরা হয়তো দায়িত্ব দিয়ে দিবেন। তিনি বিভিন্ন জনের কাছ থেকে খোঁজ খবর নিয়ে নেতৃত্ব নির্বাচন করবেন। তিনি নিশ্চয়ই যোগ্য নেতৃত্ব নির্বাচন করবেন।’
স্বাচিপ সভাপতি অধ্যাপক ডা. ইকবাল আর্সলান মেডিভয়েসকে বলেন, ‘আমি দীর্ঘদিন ধরে রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। স্বাচিপ একটি রাজনৈতিক দলের সহযোগী সংগঠন। আমাদের সংগঠনের মূল চালিকা শক্তি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তাঁর কথাই চূড়ান্ত। তিনি যেটা করবেন ও দিকনির্দেশনা দিবেন, সেটাই মঙ্গলজনক।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে অধ্যাপক ডা. আবু ইউসুফ ফকির মেডিভয়েসকে বলেন, এবারের সম্মেলন সুন্দর ও প্রাণবন্ত হবে। সম্মেলনের মাধ্যমে ভালো ও ডায়নামিক নতুন নেতৃত্ব আসবে। নতুনদের জায়গা করে দিতেই সম্মেলন। দীর্ঘদিন মাঠে যারা কাজ করছেন, তাদের মধ্যে থেকেই নতুন নেতৃত্ব আসবে।
-
২৪ অক্টোবর, ২০২৩
-
২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৩
-
১০ সেপ্টেম্বর, ২০২৩
-
০৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৩
-
২৬ অগাস্ট, ২০২৩
-
২৪ অগাস্ট, ২০২৩
-
০৩ জুলাই, ২০২৩
-
১৮ জুন, ২০২৩
-
০৩ ডিসেম্বর, ২০২২