২৫ অক্টোবর, ২০২২ ০১:০২ পিএম

‘৬৪ জেলার সিভিল সার্জন সতর্ক হলে হাতুড়ে প্র্যাক্ট্রিস থাকবে না’ 

‘৬৪ জেলার সিভিল সার্জন সতর্ক হলে হাতুড়ে প্র্যাক্ট্রিস থাকবে না’ 
দেশের কোনো হাতুড়ে এখন আর নিজেদের ডাক্তার বলে পরিচয় দেয় না।

মেডিভয়ে রিপোর্ট: দেশের কোনো হাতুড়ে এখন আর নিজেদের ডাক্তার বলে পরিচয় দেয় না বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা ডেন্টাল কলেজের অধ্যক্ষ ও বাংলাদেশ ডেন্টাল সোসাইটির মহাসচিব অধ্যাপক ডা. হুমায়ুন কবীর বুলবুল।

রোববার (২৩ অক্টোবর) কিশোরগঞ্জ ডেন্টাল সার্জনস ফোরাম আয়োজিত ‘সায়েন্টিফিক সেমিনার ও সাধারণ সভা ২০২২’ অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।

অধ্যাপক হুমায়ুন কবীর বুলবুল বলেন, ২০১৫ সালে ডেন্টাল সোসাইটির দায়িত্বে আসার পরে একটি অভিযান শুরু করলাম। পেশাগত ও সামাজিকভাবে প্রচারণায় নামলাম। প্রচারণার বিষয় হলো, যেটা বিএমডিসি বলে, ‘এমবিবিএস এবং বিডিএস বহির্ভূত কেউ চিকিৎসক নয়।’

প্রচারণায় সফল হয়েছেন জানিয়ে তিনি বলেন, হাতুড়েদের প্র্যাক্ট্রিস বন্ধ করার জন্য একটি স্লোগান আমরা তৈরি করেছিলাম। তা হলো-‘বিডিএস নয় তো ডেন্টিস্ট নয়।’ এ প্রচারণাটি অব্যাহত রেখেছি। তাই দেশের কোনো হাতুড়ে এখন আর নিজেদের ডাক্তার বলে পরিচয় দেয় না, তবে তারা একটি অভিনব পদ্ধতি বের করেছে। নিজের পরিচয় লিখে টিএফ, ডেন্টিস্ট ওয়াই- এ রকম কিছু, যেগুলোর কোনো ভিত্তি নেই।’

‘ডেন্টাল সার্জারিতে যারা গ্রাজুয়েশন ডিগ্রি নিবে, সারা পৃথিবীতে তারা শুধু ডেন্টিস্ট হিসেবে সমাদৃত ও স্বীকৃতি পাবেন। কোনো কোনো দেশে বা বিশ্ববিদ্যালয় বিডিএস ডিগ্রিটা ভিন্ন ভিন্ন নামে দিয়ে থাকে। শুধু বাংলাদেশে সকল বিশ্ববিদ্যালয় এই ডিগ্রিটা বিডিএস নামে পরিচালিত হয়,’ যোগ করেন ডা. বুলবুল।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত সিভিল সার্জনকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, ‘বিএমডিসি আইন ২০১০ অনুযায়ী বিডিএস ছাড়া কেউ ডেন্টাল প্র্যাক্ট্রিস করতে পারবে না। করলে আইন অনুযায়ী জেল, জরিমানা হবে। হাইকোর্ট, সুপ্রিম কোর্ট আমাদের পক্ষে থাকার পরও দুভার্গ্যবশত প্রতিটি জেলায় কোথাও কোথাও এই প্র্যাক্ট্রিস চলমান আছে। স্বাস্থ্য প্রশাসনের অভিভাবকের দায়িত্ব যারা পালন করছেন, তারা যদি আইনের বাস্তবায়ন বা প্রয়োগে কোনো শিথিলতা প্রদর্শন না করেন, তাহলে হাতুড়ে প্র্যাক্ট্রিস ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বন্ধ হয়ে যাবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা যখন সোসাইটি থেকে প্রেসার তৈরি করি, তখন কিছু দিন বন্ধ থাকে। এরপর আবার নতুন উদ্যোমে তারা শুরু করে। ৬৪ জেলায় যেদিন সতর্ক সিভিল সার্জন পাবো, সেদিন আর দেশে হাতুড়ে প্র্যাক্ট্রিস থাকবে না।’

ডেন্টাল অধ্যক্ষ বলেন, ‘দেশের মানুষ সস্তায় বা অজ্ঞতার জন্য হাতুড়েদের থেকে চিকিৎসা নিয়ে থাকেন। এজন্য সোসাইটির পক্ষ থেকে জন সচেতনতামূলক প্রচারণ করে আসছি। গ্রামে-গঞ্জে, শহরে-বন্দরে ১৭ কোটি মানুষের মাঝে সচেতনতা তৈরি করতে হবে আমাদেরকে। দেশ প্রেমিক মানুষেরও দায়িত্ব আছে এ বিষয়টি ছড়িয় দেওয়ার জন্য। তাহলে মানুষ হাতুড়ে চিকিৎসকের কাছে যাবে না।’ 

মেডিভয়েসের জনপ্রিয় ভিডিও কন্টেন্টগুলো দেখতে সাবস্ক্রাইব করুন MedivoiceBD ইউটিউব চ্যানেল। আপনার মতামত/লেখা পাঠান [email protected] এ।
  এই বিভাগের সর্বাধিক পঠিত