০৫ অক্টোবর, ২০২২ ০৫:০৪ পিএম

বদলে যাচ্ছে ঢাকা ডেন্টালের চেহারা, অবকাঠামো উন্নয়নে মন্ত্রণালয়ে বৈঠক

বদলে যাচ্ছে ঢাকা ডেন্টালের চেহারা, অবকাঠামো উন্নয়নে মন্ত্রণালয়ে বৈঠক
প্রস্তাবিত প্রকল্পগুলো হলো-মিরপুর ১৪ নম্বরে ছাত্রদের জন্য দশতলা বিশিষ্ট একটি ছাত্রাবাস, ছাত্রীদের জন্য দশতলা বিশিষ্ট একটি ছাত্রীনিবাস, দশতলা বিশিষ্ট একটি একাডেমিক ভবন, শিক্ষকদের আবাসন ও অধ্যক্ষের বাসভবন।

মেডিভয়েস রিপোর্ট: স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন ‘ঢাকা ডেন্টাল কলেজের অবকাঠামো উন্নয়নে সম্ভাব্যতা যাচাই’ শীর্ষক প্রকল্পের প্রস্তাব বিবেচনার জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মঙ্গলবার (৪ অক্টোবর) স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব মো. সাইফুল হাসান বাদলের সভাপতিত্বে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় অংশ নেওয়া ঢাকা ডেন্টাল কলেজের অধ্যক্ষ ও বাংলাদেশ ডেন্টাল সোসাইটির মহাসচিব অধ্যাপক ডা. হুমায়ুন কবীর বুলবুল আজ বুধবার (৫ অক্টোবর) দুপুরে মেডিভয়েসকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। 

ডা. বুলবুল বলেন, ‘বেশি ব্যয়ের প্রকল্প হলে সম্ভাব্যতা বা সমীক্ষা বাধ্যতামূলক। সে কারণে এই সভা। এটি একটি বড় প্রকল্প এবং ব্যয় বেশি হওয়ায় সম্ভাব্যতা সূচক প্রয়োজন। আশা করি ভালো কিছু হতে যাচ্ছে।’

প্রকল্প নিয়ে মন্ত্রণালয়ের বৈঠকে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এটি একটা নতুন অভিযাত্রা। দায়িত্ব পালন করতে এসে এখানে শিক্ষা, চিকিৎসা ও আবাসনের যেসব সমস্যা চিহ্নিত করেছি, তা সমাধানের জন্য এসব প্রস্তাব পাস হওয়া সময়ের দাবি। আমাদের প্রস্তবনায় স্থানীয় সংসদ সদস্য ও মাননীয় শিল্প প্রতিমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা কামাল আহমেদ মজুমদারের ডিও লেটারও ছিল। মাননীয় সচিব মহোদয়সহ মন্ত্রণালয়ের সবার আন্তরিক সংবেদনশীলতাসহ সবকিছু মিলে সভায় ভালো অগ্রগতি হয়েছে। আমরা এখন সম্ভাব্যতা প্রকল্পের দিকে যাচ্ছি।’

প্রকল্পের নানা দিক তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘৬১ বছর ধরে চিকিৎসা সেবা দিয়ে আসা ডেন্টাল কলেজে শিক্ষা, চিকিৎসা ও অবকাঠামোগত অনেক সীমাবদ্ধতা রয়েছে। এসবের সমাধান হিসেবে আমরা পাঁচটি লক্ষ্যকে একত্রিত করে একটি বড় প্রকল্প প্রস্তাবনা করেছি। স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মাধ্যমে প্রকল্পটির সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের জন্য মন্ত্রণালয়ে সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।’

প্রস্তাবিত প্রকল্পগুলো হলো-মিরপুর ১৪ নম্বরে ছাত্রদের জন্য দশতলা বিশিষ্ট একটি ছাত্রাবাস, ছাত্রীদের জন্য দশতলা বিশিষ্ট একটি ছাত্রীনিবাস, দশতলা বিশিষ্ট একটি একাডেমিক ভবন, শিক্ষকদের আবাসন ও অধ্যক্ষের বাসভবন।

মেডিকেলটিতে শিক্ষার্থীর তুলনায় হোস্টেলে আবাসন ব্যবস্থা অপ্রতুল জানিয়ে ঢাকা ডেন্টাল অধ্যক্ষ বলেন, ‘এখানে যে পরিমাণ শিক্ষার্থী রয়েছে, সে তুলনায় হোস্টেলের আসন সংখ্য খুবই কম। এ ছাড়া ইন্টার্ন চিকিৎসক, পোস্ট গ্রাজুয়েট করতে আসা শিক্ষার্থী ও বিদেশি শিক্ষার্থীদের জন্যও কোনো আবাসনের ব্যবস্থা নেই। দীর্ঘদিন ধরে বিদেশি শিক্ষার্থীরা বিশেষ করে ছাত্রীরা হোস্টেলে আমাদের দেশের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে অবস্থান করায় সংকট আরো ঘনীভূত হয়েছে। কোনো কোনো হলরুমে ধারণক্ষমতার দ্বিগুণ শিক্ষার্থী থাকছেন। যেখানে থাকতে পারবে ২০-৩০ জন, সেখানে রয়েছে ৪০-৫০ জন। এটি তাদের জন্য কষ্টকর, অমানবিকও বটে। ক্ষেত্রবিশেষে হলরুমেও গাদাগাদি করে থাকতে হচ্ছে তাদের।'

অধ্যক্ষের বাসভবনের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘মেডিকেল কলেজের মতো একটি প্রতিষ্ঠান প্রধানের বাস ভবন সেখানে থাকা উচিত, যাতে প্রতিষ্ঠানের যে কোনো প্রয়োজনে দ্রুত সাড়া দেওয়া যায়। এ ছাড়া আমাদের প্রায় ২০০ জন শিক্ষক রয়েছেন, অথচ আবাসনের জন্য রয়েছে মাত্র চারটি ফ্ল্যাট। একাডেমিক ভবন পর্যাপ্ত না থাকায় শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। ১৫-২০টি বিভাগের জন্য যে একাডেমিক ভবন রয়েছে, সেটি প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম।’ 

মেডিভয়েসের জনপ্রিয় ভিডিও কন্টেন্টগুলো দেখতে সাবস্ক্রাইব করুন MedivoiceBD ইউটিউব চ্যানেল। আপনার মতামত/লেখা পাঠান [email protected] এ।
  ঘটনা প্রবাহ : ঢাকা ডেন্টাল কলেজ
  এই বিভাগের সর্বাধিক পঠিত