৩০ জুন, ২০২২ ১১:১২ এএম

ডা. ইমরানের চিকিৎসায় প্রয়োজন ৫০ লাখ টাকা, সবাইকে পাশে থাকার আহ্বান

ডা. ইমরানের চিকিৎসায় প্রয়োজন ৫০ লাখ টাকা, সবাইকে পাশে থাকার আহ্বান
ডা. ইমরান হোসেন মালিথার স্ত্রী ডা. সাজদা আনোয়ার বলেন, ‘বড় বড় একাধিক অস্ত্রোপচার বাকি। অনেকে প্রাণখোলা সহযোগিতা করেছেন। এ পথটা দীর্ঘ, তাই শেষ পর্যন্ত সবাই পাশে থাকবেন।’

মো. মনির উদ্দিন: সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ডা. ইমরান হোসেন মালিথাকে আরও এক সপ্তাহ নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) থাকতে হবে। করাতে হবে আরও তিনটি বড় অস্ত্রোপচার। তার স্বাস্থ্যের উন্নতির ধারা অব্যাহত থাকলে পরিপূর্ণ সুস্থ হতে লাগতে পারে কমপক্ষে ছয় মাস সময়।

এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে ঢাকায় আনাসহ চিকিৎসায় এরই মধ্যে খরচ হয়ে গেছে সাড়ে ২১ লাখ টাকা। দীর্ঘ সময় চিকিৎসা চালাতে প্রায় ৫০ লাখ টাকা লাগবে জানিয়ে এই মানবিক চিকিৎসকের গভীর দুঃসময়ে সবাইকে পূর্বের মতো পাশে থাকার আহ্বান জানিয়েছেন স্বজনেরা।

রাজশাহী মেডিকেল কলেজে (রামেক) ডা. ইমরানের ব্যাচমেট ও দুর্গাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সহকর্মী ডা. তাহিদুল ইসলাম রনি ইউএইচএফপিও ডা. মোছা. মাহবুবা খাতুনের নির্দেশনায় সার্বক্ষণিকভাবে গুরুতর আহত এ চিকিৎসকের খোঁজ-খবর রাখছেন।

রোগীর সার্বিক অবস্থার তথ্য জানিয়ে ডা. রনি বুধবার (৩০ জুন) মেডিভয়েসকে বলেন, সামগ্রিকভাবে ডা. ইমরানের অবস্থা আগের চেয়ে ভালো। তবে বেশ কিছু জটিলতা রয়েছে গেছে, যেমন: নিউমোনিয়ার মতো আছে, অ্যালবোমিনের পরিমাণ কম, ড্রেনটিউব কালেকশন বেড়ে গেছে। ক্লিনিক্যালই উন্নতি হলেও এসব জটিলতার কারণে যে কোনো মুহূর্তে ইনফেকশন বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন চিকিৎসকরা। এসব কারণে আইসিইউতে প্রবেশ আরও সীমিত করে দেওয়া হয়েছে। স্ত্রী ছাড়া আর কাউকে ভেতরে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না।

স্মৃতিচারণ করছেন পুরোনো কথা

মঙ্গলবার (২৯ জুন) রাতে ডা. ইমরান মালিথার সঙ্গে কথা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘কিছু বিষয় এখনো সে পুরোপুরি বুঝে উঠতে পারছে না। ওর ধারণা, এই তো ২/১ দিন হলো, ঢাকায় আসার পর তার অপারেশন হয়েছে। কত দিন ধরে আইসিইউতে আছে, তা বুঝতেই পারছে না। অথচ ১৫/১৬ দিন হয়ে গেলো। আমরাও এ বিষয়ে তাকে কিছু বলিনি। অনেক আগের কিছু বলছে; ওর ধারণা যে, এটা সাম্প্রতিক সময়ে ঘটেছে। যেমন: ওর একজন রুমমেট অসুস্থ হয়েছিল ইন্টার্নশিপের সময়। ও সুস্থ হয়েছে কিনা, তার খোঁজ নিচ্ছে আমার কাছে। তবে বাকি বিষয়গুলো ঠিকঠাক মতোই বুঝতে পারছে। এতো দিন কর্মক্ষেত্রের বাইরে আছে, এজন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে স্বাস্থ্য সেবায় কোনো সমস্যা হচ্ছে কিনা, ওর চাকরিতে সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে কিনা, ইউএইচএফপিও স্যার কিছু বলেছেন কিনা—এ ধরনের স্বাভাবিক প্রশ্নগুলোও করছে। চিকিৎসায় খরচের বিষয়ে জানতে চাচ্ছে। যদিও আমরা বিষয়টি এড়িয়ে গেছি। সবাইকেই চিনেছে, সবার সঙ্গে কথা-বার্তা বলেছে। ফোনেও ওর স্ত্রীর নম্বর থেকে প্রিয় শিক্ষক, আত্মীয়-স্বজনসহ ২/১ জনের সঙ্গে কথা বলেছে।’

চিকিৎসার বিষয়গুলো দেখভালের জন্য বিভিন্ন বিভাগের পাশাপাশি নিউরোর চিকিৎসকরাও পর্যবেক্ষণ করছেন বলে জানান তিনি।

প্রতিদিন খরচ ৮০ হাজার টাকা

এ পর্যন্ত খরচের বিষয়ে জানতে চাইলে দুর্গাপুরের সন্তান ডা. রনি বলেন, ‘গতকাল (মঙ্গলবার) রাত ৯টা পর্যন্ত আইসিইউতে আছে। অর্থাৎ গত ১৭ দিন ধরে আইসিইউতে আছেন। এ পর্যন্ত বিল এসেছে ১৭ লাখের কিছু বেশি। এখন পর্যন্ত ১২ লাখ পরিশোধ করা হয়েছে। কিছু বাকি আছে। এটা শুধু হাসপাতালের বিল। এ ছাড়াও বাইরে থেকে আমাদেরকে কিছু ওষুধ কিনতে হচ্ছে, এতে খরচ হয়েছে প্রায় আড়াই লাখ টাকা। এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে লেগেছে দুই লাখ টাকা। বাইরে থেকে কিছু পরীক্ষা করতে দেওয়া হয়েছিল। সেখানে প্রায় ১৮ হাজার টাকা খরচ হয়। এ নিয়ে বাইরে খরচ হয়েছে সাড়ে চার লাখ টাকা। সব মিলিয়ে খরচ হয়েছে সাড়ে ২১ লাখ টাকা। এর মধ্যে পরিবার থেকে প্রায় চার লাখ দিতে পেরেছে। বাকি টাকা বিভিন্ন জায়গা, যেমন: বন্ধু-স্বজন-শুভাকাঙ্ক্ষী থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে। ৪২তম বিসিএস, বিডিএফ, ডক্টর ওয়েলফেয়ার ট্রাস্ট থেকে তহবিল দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়াও আত্মীয়-স্বজন শুভাকাঙ্ক্ষীরা সহযোগিতা করছেন।

শুরুতে প্রতিদিনের খরচের চিত্র তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘ওর সবচেয়ে বেশি খরচ হয়েছে ওষুধে। শুরুর দিকে এ খাতে ৮০-৯০ হাজার টাকা খরচ হতো। বাকি অন্যান্য মিলিয়ে খরচ হতো এক লাখ ৩০ হাজার টাকা। লাইফ সাপোর্টে থাকা পর্যন্ত এ খরচ অব্যাহত ছিল। এর পর কিছু ওষুধ পরিবর্তন হয়েছে, অ্যান্টিবায়েটিক কিছু বাদ গেছে। ফলে খরচও কমে এসেছে। আগে এক লাখ ১০, এক লাখ বিশও খরচ হতো। এখন প্রায় ৮০ হাজার টাকা খরচ হচ্ছে। এভাবে আইসিইউতে থাকা পর্যন্ত ওষুধসহ প্রতিদিন ৮০ হাজার করেই খরচ হবে।’

লাগবে তিনটি বড় অস্ত্রোপচার

চিকিৎসকদের বরাত দিয়ে ডা. রনি জানান, আইসিইউ থেকে বের হওয়ার পর প্লাস্টিক সার্জারি, পায়খানার রাস্তা পূর্বের মতো যথাস্থানে নেওয়াসহ আরও বড় তিনটি অপারেশন করতে হবে। এসবই আইসিইউ থেকে বের হওয়া এবং কেবিনে আরও ১০-১৫ দিন ফলোআপে রাখার পর পর্যায়ক্রমে শুরু হবে। তার কোলোস্টমি করা আছে, এর অস্ত্রোপচার তিন থেকে চার মাস পরে করা হবে। সেজন্য ৪-৫ মাস সময় লাগতে পারে। সেসব অস্ত্রোপচারসহ আনুসাঙ্গিক আরও ১০ লাখ টাকা খরচ হতে পারে। আইসিইউ থেকে বের হওয়ার পর কেবিনে কত দিন থাকতে হবে, সেটাও সবার অজানা। এখানেও হয় তো আরও ১০ লাখ লাগতে পারে। এই খরচ এবং তিন অস্ত্রোপচার মিলিয়ে আরও ২০ লাখ টাকা খরচ হতে পারে। তাহলে আইসিইউর ত্রিশসহ মোট ৫০ লাখ টাকা খরচ হতে পারে। এর কিছু কম-বেশি হতে পারে।

সবাইকে পূর্বের মতো পাশে থাকার আহ্বান

সুস্থতার জন্য দীর্ঘ সময় লাগবে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘জ্ঞান ফিরেছে জেনে অনেকেই মনে করেছেন, ও সুস্থ হয়ে গেছে। হয় তো আর সহযোগিতা না করলেও চলবে। কিন্তু চিকিৎসকের ভাষ্য অনুযায়ী বাস্তবতা হলো, যে গতিতে ওর স্বাস্থ্যের উন্নতি হচ্ছে, তাতে আইসিইউতে কমপক্ষে আরও এক সপ্তাহ থাকতে হবে। আইসিইউ থেকে বের হতেই খরচ হবে ৩০ লাখ টাকা। পূর্ণ সুস্থতার জন্য আরও মাস ছয়েক সময় লাগবে। তাই স্বাভাবিক জীবনে ফেরা পর্যন্ত সবার আরও সহযোগিতা দরকার। পরিবারের পক্ষে বহন একেবারেই দুরুহ। সুতরাং তার চিকিৎসার ব্যাপারে সবাইকে উদার হস্তই থাকতে হবে।’

সহযোগিতার ব্যাপারে শুরুর দিকের তুলনায় কম সাড়া পাওয়ায় হতাশা ব্যক্ত করে তিনি বলেন, সবাই যদি আরেকটু সহযোগিতার হাত বাড়ান তাহলে হয় তো ত্রিশ-চল্লিশ লাখ তোলা সম্ভব হতে পারে। ইতিপূর্বে অনেকে একাধিকবার সহযোগিতা করেছেন জানিয়ে তাঁদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন তিনি।

খোঁজ নিচ্ছে স্বাস্থ্য বিভাগ

ডা. ইমরান মালিথার খোঁজ নিতে ইবনে সিনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এসেছিলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক (হাসপাতাল ও ক্লিনিকসমূহ) ডা. শাফিউর রহমান। তিনি যে কোনো প্রয়োজনে সাহায্য-সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন। 

ডা. রনি জানান, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক রোগীকে সরকারি হাসপাতালে স্থানান্তরের পরামর্শ দিয়েছিলেন। তবে এতে চিকিৎসার ধারাবাহিতায় বিঘ্ন ঘটতে পারে জানালে ডা. শাফিউর রহমান বলেন, যেহেতু স্থানান্তর সম্ভব না, সেহেতু যে কোনো আর্থিক সহযোগিতার জন্য নিয়ম অনুযায়ী চেষ্টা চালান।

তিনি আরও জানান, ডা. ইমরানকে দেখতে এসেছিলেন ঢাকা জেলা সিভিল সার্জন ডা. আবু হোসেন মো. মঈনুল আহসান বাপ্পী। তিনি প্রতিনিয়ত খোঁজ-খবর নিচ্ছেন। রাজশাহীর জেলার সিভিল সার্জনের মাধ্যমে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বরাবর একটি আবেদনপত্র দেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছেন তিনি। সেই অনুযায়ী, পরিবার থেকে একটি চিঠি লেখা হয়, যেটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে ইউএইচএফপিও সিভিল সার্জনের কাছে পাঠিয়েছেন। চিঠি অধিদপ্তরে জমা দেওয়ার প্রক্রিয়ায় আছে। ঢাকা জেলা সিভিল সার্জন এটা নিজ দায়িত্বে নিয়ে যাওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। সরকারি নিয়ম অনুযায়ী বিষয়টি এগোচ্ছে। চিকিৎসা চালানোর জন্য ওটারও প্রত্যাশায় আছি। পরবর্তী চিকিৎসা চালানোর জন্য বড় অংকের টাকা লাগবে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সহযোগিতাটা যেন ত্বরান্বিত হয়।

ডা. ইমরানের স্ত্রীর আবেদন

চিকিৎসকদের বরাত দিয়ে ডা. ইমরান হোসেন মালিথার স্ত্রী ডা. সাজদা আনোয়ার মেডিভয়েসকে বলেন, ‘আমার স্বামী পুরোপুরি শঙ্কামুক্ত, তা এখনো বলা ঠিক হবে না।’

তিনি বলেন, ‘কর্মস্থলে যাওয়ার পথে, ‘আমরা একটি চিঠি দিয়েছি, যেটি ঢাকার সিভিল সার্জন স্যার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে নিয়ে যাওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। আমাদের তরফ থেকে প্রত্যাশা হলো, এই চিঠির বিষয়ে যেন যত দ্রুত সম্ভব পদক্ষেপ নেওয়া হয়। কারণ এখন আমাদের আর্থিক সাহায্য জরুরি হয়ে পড়েছে। এটা পেলে আমাদের জন্য খুবই উপকার হয়। আমাদের অবস্থান থেকে যতদূর সম্ভব ছিল, আমরা করেছি। অনেকে প্রাণখোলা সহযোগিতা করেছেন। আমরা কতটুকু চালাতে পারবো, তা বলা কঠিন। এখনো চিকিৎসার অনেক কিছু বাকি। বড় বড় একাধিক অপারেশন বাকি। পথটা দীর্ঘ, আমাদের ধৈর্য ধরতেই হচ্ছে। আমার স্বামী প্রজাতন্ত্রের একজন কর্মচারী। রাষ্ট্রের দায়িত্ব নিবেদিতপ্রাণ হয়ে পালন করছিলেন। রাষ্ট্র তার পাশে দাঁড়াবে বলে আমরা প্রত্যাশা করি।’

দুঃসময়ের ব্যাপক সাড়ায় কৃতজ্ঞ

স্বামীর দুঃসময়ে চিকিৎসক মহলের ব্যাপক সাড়ায় কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বিএসএমএমইউর এই রেসিডেন্ট বলেন, ‘৪২তম বিসিএস, ব্যাচমেট, বিডিএফ, ডক্টর ওয়েলফেয়ার ট্রাস্ট ও বিভিন্ন সংগঠনের পাশাপাশি অনেকের পক্ষ থেকে যথেষ্ট সহযোগিতা করা হয়েছে। এ পথটা অনেক দীর্ঘ। এখন পর্যন্ত থেকেছেন। আমি আশা করবো, শেষ পর্যন্ত আমাদের পাশে থাকবেন।’

প্রসঙ্গত, গত ৮ জুন সকালে বানেশ্বর বাজার থেকে সিএনজি যোগে নিজ কর্মস্থল দুর্গাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যাচ্ছিলেন ডা. ইমরান হোসেন মালিথা। বাছেরের মোড়ের কাছে মাছ বোঝাই নসিমন গাড়ির সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এ সময় সিএনজি থেকে রাস্তায় ছিটকে পড়ে গুরুতর আহত হন ডা. ইমরান।

পরে তাঁকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান স্থানীয়রা। অবস্থার অবনতি হলে তাৎক্ষণিকভাবে তাঁকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। উন্নত চিকিৎসার জন্য গত ১২ জুন তাঁকে ঢাকায় স্থানান্তর করা পর্যন্ত সেখানে আইসিইউতে ভর্তি ছিলেন তিনি।

রাজশাহী মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস সম্পন্ন করেন ডা. ইমরান হোসেন। তিনি ছিলেন রামেকের ৫৪তম ব্যাচের শিক্ষার্থী। বর্তমানে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে উচ্চতর প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন ঈশ্বরদী উপজেলার রূপপুরের এই কৃতি সন্তান।

মেডিভয়েসের জনপ্রিয় ভিডিও কন্টেন্টগুলো দেখতে সাবস্ক্রাইব করুন MedivoiceBD ইউটিউব চ্যানেল। আপনার মতামত/লেখা পাঠান [email protected] এ।
  এই বিভাগের সর্বাধিক পঠিত
এক দিনে চিরবিদায় পাঁচ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক
করোনা ও বার্ধক্যজনিত অসুস্থতা

এক দিনে চিরবিদায় পাঁচ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক