০৪ নভেম্বর, ২০২১ ০২:৫৯ পিএম
বছরে দেড় লাখ শিশুর প্রাণহানি

জরুরি ভিত্তিতে জিবিএস ব্যাকটেরিয়ার টিকা তৈরির আহ্বান ডব্লিউএইচওর

জরুরি ভিত্তিতে জিবিএস ব্যাকটেরিয়ার টিকা তৈরির আহ্বান ডব্লিউএইচওর
বিশ্বের তিন-চতুর্থাংশ প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তিদের শরীরে ব্যাকটেরিয়াটি ঝুঁকি ছাড়াই অবস্থান করে। তবে অপরিণত শিশুদের জন্ম ও বিকলাঙ্গতায় বড় ভূমিকা রাখে এটি। প্রতীকী ছবি

মেডিভয়েস ডেস্ক: বিশ্বে প্রতিবছর গ্রুপ বি স্ট্রেপটোকোককাস ইনফেকশন (জিবিএস) নামের একটি ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণে প্রায় দেড় লাখ শিশুর মৃত্যু হচ্ছে। তাদের মধ্যে রয়েছে গর্ভে থাকা শিশু ও নবজাতকেরা। এ অবস্থায় ব্যাকটেরিয়াটির সংক্রমণ ঠেকাতে জরুরি ভিত্তিতে টিকা তৈরির আহ্বান জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। বুধবার (৪ নভেম্বর) প্রকাশিত একটি যৌথ প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। খবর এএফপির। 

ডব্লিউএইচও ও যুক্তরাজ্যভিত্তিক লন্ডন স্কুল অব হাইজিন অ্যান্ড ট্রপিক্যাল মেডিসিন জানিয়েছে, বিশ্বের তিন-চতুর্থাংশ প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তিদের শরীরে ব্যাকটেরিয়াটি কোনো রকম ঝুঁকি ছাড়াই অবস্থান করে। তবে সময়ের আগে শিশুদের জন্ম ও বিকলাঙ্গতার ক্ষেত্রে এটি বড় ভূমিকা রাখে।

এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এর আগে জিবিএস ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণে প্রতিবছর প্রায় এক লাখ নবজাতকের মৃত্যু হয়। একইভাবে ৫০ হাজারের মতো মৃত শিশু প্রসবের ঘটনা ঘটছে। 

এবারের প্রতিবেদনে আগের ওই তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে। তবে বলা হচ্ছে, শিশুমৃত্যুর প্রকৃত সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে।

প্রতিবছর জিবিএস ব্যাকটেরিয়ার প্রভাবে পাঁচ লাখের বেশি শিশু সময়ের আগে জন্ম নিচ্ছে। এসব শিশুর মধ্যে দীর্ঘমেয়াদি বিকলাঙ্গতা দেখা দিচ্ছে। কিন্তু ব্যাকটেরিয়াটি রুখতে টিকা তৈরিতে তেমন কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।

এ নিয়ে ডব্লিউএইচও টিকাসংক্রান্ত বিভাগের কর্মকর্তা ফিলিপ ল্যামবাহ বলেন, মায়েদের জন্য জিবিএসের টিকা জরুরি ভিত্তিতে তৈরি করার আহ্বান জানাচ্ছে ডব্লিউএইচও। এর টিকা উদ্ভাবন হলে বিশ্বের দেশগুলো অনেক সুবিধা পাবে।

একই মত দিয়ে লন্ডন স্কুল অব হাইজিন অ্যান্ড ট্রপিক্যাল মেডিসিনের অধ্যাপক জয় লন বলেন, জিবিএসের টিকা তৈরির বিষয়টি তিন দশক আগে আমলে নেওয়া হয়েছিল। তবে পরে বিষয়টির তেমন অগ্রগতি হয়নি। 

প্রাপ্ত তথ্য থেকে দেখা গেছে, প্রতিবছর বিশ্বের ১৫ শতাংশ অন্তঃসত্ত্বা নারী তাঁদের জননাঙ্গে জিবিএস ব্যাকটেরিয়া বহন করেন। সাধারণত মায়েদের শরীরে এ ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের কোনো উপসর্গের দেখা মেলে না। তবে তাদের শরীর থেকে ব্যাকটেরিয়াটি গর্ভের শিশুর মধ্যে ছড়িয়ে পড়তে পারে। পাশাপাশি সন্তান জন্মের সময় এটি তাদের শরীরে প্রবেশ করতে পারে।

মায়েদের শরীরে জিবিএসে সংক্রমণ সবচেয়ে বেশি দেখা গেছে আফ্রিকা মহাদেশের সাহারা মরুভূমির দক্ষিণাঞ্চলের দেশগুলোতে। এ ছাড়া পূর্ব ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোতে ব্যাকটেরিয়াটির ব্যাপকতা দেখা গেছে। 

মেডিভয়েসের জনপ্রিয় ভিডিও কন্টেন্টগুলো দেখতে সাবস্ক্রাইব করুন MedivoiceBD ইউটিউব চ্যানেল। আপনার মতামত/লেখা পাঠান [email protected] এ।
  এই বিভাগের সর্বাধিক পঠিত
করোনা ছড়ায় উপসর্গহীন ব্যক্তিও
একদিনেই অবস্থান বদল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার

করোনা ছড়ায় উপসর্গহীন ব্যক্তিও