মেডিভয়েস ডেস্ক: করোনাভাইরাসের কার্যকর ভ্যাকসিন আবিস্কার হলে সারাবিশ্বের সঙ্গে বাংলাদেশও করোনা ভ্যাকসিন পাবে এবং ভ্যাকসিন আসলে সবার আগে ফ্রন্টলাইনার্সদের দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম। এ লক্ষ্যে ভ্যাকসিন সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান গ্যাভির সাথে ইতোমধ্যে চুক্তি করেছে সরকার।

আজ মঙ্গলবার (১১ আগস্ট) স্বাস্থ্য ডিজি হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ উপলক্ষে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।

স্বাস্থ্য ডিজি বলেন, করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন পাওয়ার জন্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান গ্যাভির সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর চুক্তি হয়েছে। গ্যাভি সারা বিশ্বে ভ্যাকসিন সরবরাহ করবে। বাংলাদেশ কীভাবে আগে ভ্যাকসিন পাবে, সে সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী স্বাস্থ্য অধিদপ্তরকে দিক নির্দেশনা দিয়েছেন। অধিদপ্তর তাদের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছে। ভ্যাকসিন আসলে সবার আগে ফ্রন্টলাইনার্সদের দেওয়া হবে। পরে গুরুত্ব অনুযায়ী অন্যদের দেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন ডা. আবুল বাশার।

করোনা শানাক্তকরণ কিট সম্পর্কে তিনি বলেন, দেশে করোনা পরীক্ষার কিটের কোনো সংকট নেই। করোনা পরীক্ষায় পর্যাপ্ত কিট মজুত রয়েছে। করোনা পরীক্ষা করার জন্য সারাদেশে ৮৬টি পিসিআর ল্যাব স্থাপন করা হয়েছে। প্রয়োজন হলে আরও স্থাপন করা হবে।

শীতে করোনার প্রকোপ বাড়ার আশঙ্কা প্রকাশ করে তিনি আরও বলেন, শীতে করোনার প্রকোপ আরো বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। তবে অধিদপ্তর তা মোকাবেলায় প্রস্তুত রয়েছে এবং এ সংক্রান্ত পরিকল্পনা প্রণয়ন করা হবে, যেনো শীতকালে তা ব্যাপক আকার ধারণ করতে না পারে। করোনায় সারাদেশে বিপুলসংখ্যক চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মী আক্রান্ত হলেও স্বাস্থ্যসেবা ভেঙে পড়ার কোনো শঙ্কা নেই বলেও জানিয়েছেন তিনি।

বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি টুঙ্গিপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও শেখ সায়েরা খাতুন মেডিকেল কলেজ পরিদর্শন করেন। এ সময় ডিজির সাথে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন শেখ সায়েরা খাতুন মেডিকেল কলেজের অধ্যাপক ডা. লিয়াকত হোসেন, গোপালগঞ্জের সিভিল সার্জন ডা. নিয়াজ মোহাম্মদ, গোপালগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. অসিত কুমার মল্লিকসহ চিকিৎসকরা।